লোকসংস্কার

লোকসংস্কার মূলত একটি মানসিক ব্যাপার। মানুষের মানসিক দুর্বলতা, অনিশ্চয়তা, শুভাশুভবোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি থেকে এর উদ্ভব। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে ব্যক্তিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

লোকবিশ্বাস ও সংস্কার আপাতদৃষ্টিতে এক মনে হলেও উভয়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্যও আছে। বিশ্বাস পূর্ণাঙ্গ রূপ নেওয়ার আগেই মন থেকে তিরোহিত হতে পারে, কিন্তু কোনো বিশ্বাস যখন পূর্ণরূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে তখন তা হয় সংস্কার। তাছাড়া লোকবিশ্বাস একান্তই ব্যক্তির ধ্যান-ধারণা মাত্র কিন্তু সংস্কারের ক্ষেত্রে কিছু আচার-আচরণের ব্যাপার আছে। লোকবিশ্বাস অনুসৃত না হলে তেমন মানসিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় না কিন্তু সংস্কার অনুসৃত না হলে মনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়; এমনকি ব্যক্তির কর্মোদ্যোগও ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যাহত হয়। যেমন, কোনো শুভ কাজে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় যদি কেউ হোঁচট খায় তাহলে সে কিছুক্ষণের জন্য বসে যায়। অন্যথায় তার বিশ্বাস, শুভ কাজে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে না। এটাই সংস্কার। এরূপ শুভ কাজে হাঁচি, পিছু ডাক ইত্যাদি অমঙ্গলের লক্ষণ।

বিশ্বাস কালিক ও কালাতীত উভয়ই হতে পারে। কালিক বিশ্বাস একটি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বিশ্বাসের মূল্যবোধ সমাজ ও ব্যক্তির গ্রহণ-বর্জনের ওপর নির্ভরশীল। তাই এক সময় যে সংস্কার বা প্রথা সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত থাকে, পরবর্তীকালে পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেগুলির বিলুপ্তি ঘটে। যেমন, হিন্দু বিয়ের সঙ্গে এক সময় বেশ কিছু ব্রতাচার সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু ওই সমাজে বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং বিধবাবিবাহ প্রচলিত হলে সেগুলি গুরুত্ব হারায় এবং পরিণামে অপ্রচলিত হয়ে যায়। আঞ্চলিক পরিবেশ ও আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থান, জীবনোপকরণ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন প্রণালী, নর-নারীর বৈবাহিক প্রকরণ, সামাজিক বিধি-নিষেধের ধরণ ইত্যাদি বিশ্বাসের তারতম্য ঘটায়।

কালাতীত বিশ্বাসের ভিত্তি হচ্ছে ঐতিহ্য। এ ক্ষেত্রে অতীন্দ্রিয় শক্তি একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অতীন্দ্রিয় শক্তির প্রতি মানুষের বিশ্বাস জাগ্রত হয় সভ্যতার ঊষালগ্নে এবং ধীরে ধীরে আদিম মানুষ এই শক্তিকে আবিষ্কার করে দেহের ভেতরে ও বাইরে; মানুষসহ যেকোনো প্রাণী, এমনকি জড়বস্ত্ততেও ওই শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে। মানা, এনিম্যাটিজম ও এনিমিজমের ভেতর ওই বিশ্বাসেরই অস্তিত্ব বর্তমান।

আদিম স্তরের মানুষ শিকার করতে গিয়ে বহিরাগত শক্তিকে আয়ত্তে আনার প্রক্রিয়ায় ইন্দ্রজাল (ম্যাজিক) উদ্ভাবন করে। পাশ্চাত্য নৃবিজ্ঞানীদের মতে ইন্দ্রজাল আদিম ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। ধর্ম মানবসমাজের বহুত্ববাদ থেকে শেষ পর্যন্ত একেশ্বরবাদে রূপ নেয়। ম্যাজিক বা জাদুবিশ্বাস ধর্মের আবির্ভাবের পরে তারমধ্যে অলৌকিকতার মোড়কে টিকে যায় এবং তার বাইরেও অনুকরণমূলক (ইমিটেটিভ ম্যাজিক) ও সংক্রামক (কনট্যাজিয়াস ম্যাজিক) ইন্দ্রজাল হিসেবে তার অস্তিত্ব বজায় থাকে।

ইতিবাচক ও নেতিবাচক ইন্দ্রজাল অভিহিত হয় যথাক্রমে শুক্ল ও কৃষ্ণ ইন্দ্রজাল নামে। মানুষের গোষ্ঠীগত অর্থাৎ পরিবারভিত্তিক রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়তার বন্ধনযুক্ত যে প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, তাকে নৃবিজ্ঞানীরা  টোটেম নামে অভিহিত করেছেন। শিকার স্তরে এর উদ্ভব এবং প্রধানত বিভিন্ন পশুর নামে একেকটি গোষ্ঠী নামাঙ্কিত হতো। প্রাথমিক পর্যায়ে টোটেম পশু ছিল সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর জীবনধারণের একমাত্র উপায়। পরবর্তীকালে বিকল্প খাদ্যের সংস্থান নিশ্চিত হলে টোটেমটি ওই গোষ্ঠীর জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তখন টোটেম হয়ে ওঠে তাদের পূর্বপুরুষ এবং স্বগোষ্ঠীর এক অত্যন্ত আপনজন ও কল্যাণকামী। ফলে টোটেম গোষ্ঠীতে দুটি ক্ষেত্রে ট্যাবু বা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। অভিন্ন টোটেম নামাঙ্কিত গোষ্ঠীতে টোটেম পশু আহত, হত্যা এবং ভক্ষণ করা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। একই টোটেম গোষ্ঠীতে সমপর্যায়ের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিবাহ এবং যৌন সম্পর্কও নিষেধের আওতায় পড়ে।

ট্যাবু-ভঙ্গজনিত সামাজিক শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেও টোটেম গোষ্ঠীর সদস্যদের ভেতর দৈব শাস্তির প্রতি বিশ্বাস ও ভীতি বর্তমান। টোটেম কেবল নিরীহ বা হিংস্র জীবজন্তুই নয়, উদ্ভিদ থেকে বিশাল বৃক্ষ পর্যন্ত টোটেম হিসেবে বিবেচিত হতে দেখা যায়। কোনো কোনো মানবগোষ্ঠী আজও টোটেম পশুর বিভিন্ন অঙ্গ অভক্ষ্য বলে মনে করে। পরবর্তীকালে এসব টোটেম প্রথমে দেবকল্প হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত নরদেহী দেবতার বাহন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। টোটেমের এই বিবর্তনের ধারায় মানুষের ধর্মানুভূতি ক্রিয়াশীল রয়েছে। যাকে প্রত্যক্ষ করা যায়, তেমনি এক শক্তি হলো সূর্য। সুদীর্ঘকালব্যাপী মানুষের বিশ্বাসের ধারায় এর অবস্থান। সূর্যকে উপলক্ষ করে যেসব স্তব ও পূজা সম্পন্ন হতো এবং এখনও হয়ে থাকে, তার পেছনে সূর্যের পালন-শক্তির অস্তিত্ব বিদ্যমান বলে মনে করা হয়। সূর্যের উদয়াস্তের মধ্যে মানুষ তার জীবন-মৃত্যুর প্রতীকী ধারণাকে গ্রহণ করেছে। সূর্য দিয়েছে অসংখ্য মিথের জন্ম। আজটেকদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল, সূর্য নররক্ত না পেলে নিরক্ত অর্থাৎ নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এ জন্য সূর্যমন্দিরের বেদীতে প্রতিদিন একজন করে বন্দিকে সূর্যের উদ্দেশে বলি দেওয়া হতো।

আত্মার ভাবনা থেকেই পরমাত্মার ভাবনার উদ্ভব।  প্রাণ যখন দেহত্যাগ করে তখন দেহ একটি নিশ্চল শবে পরিণত হয়। এ থেকে মানুষ প্রাণ বা আত্মার অস্তিত্বের সন্ধান পায়। এই শক্তি যেমন তাকে ভাবিয়ে তোলে, তেমনি দেহের বাইরে যে প্রাকৃতিক শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে তাও তাকে কৌতূহলী করে তোলে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করতেই ম্যাজিক প্রক্রিয়ার উদ্ভব হয়। মানুষ মরদেহকে নশ্বর এবং আত্মাকে অবিনশ্বর বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। অবিনশ্বর বলেই তার জন্মান্তর আছে। আবার এ বিশ্বাসও আছে যে, মানুষের ঘুমন্ত অবস্থায় আত্মা বহির্ভ্রমণে বের হয়। আরও বিশ্বাস, এ জাতীয় বহির্ভ্রমণ একমাত্র ডাইনিদের মধ্যেই লক্ষ করা যায়। চুরাশি লাখ বার মাতৃগর্ভে জন্ম নিলে তবে তার মধ্যে শুদ্ধতা আসে বলে বাউলরা বিশ্বাস করে। একেশ্বরবাদী ধর্মসমূহ এক মৌলিক শক্তিকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে। আত্মা-পরমাত্মার ভাবনায় সূফিবাদ ও বৈষ্ণববাদের পরমাত্মাপ্রেমের বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

সর্বপ্রাণবাদী আদিবাসী সমাজ ও হিন্দু সমাজে বস্ত্তপূজা এবং বৃক্ষপূজার প্রচলন আছে। তাদের বিশ্বাস ভূতাশ্রিত বা দেবতাশ্রিত বস্ত্ত বা বৃক্ষপূজার মাধ্যমে তারা সংশ্লিষ্টব ভূত বা দেবতার পূজাই করে থাকে। শালগ্রামশিলা, শিবলিঙ্গ, বিষ্ণুপদ ইত্যাদি বস্ত্ত সংশি­ষ্ট সম্প্রদায় কর্তৃক পূজিত বা রক্ষিত হয়ে থাকে। তুলসী, বেল, বট, পাকুড় প্রভৃতি বৃক্ষ পূজিত হওয়ার মূলে সংশি­ষ্ট দেবতাদের অধিষ্ঠানকে কল্পনা করা হয়। এই বিশ্বাসে নদ-নদী, পাহাড়-পর্বতও মানুষের পূজা পেয়ে থাকে।

মানুষের মধ্যে ভূত-প্রেতের প্রতি বিশ্বাস প্রায় সর্বজনীন। তারা মনে করে, অপঘাতে বা অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে যাদের মৃত্যু হয় এবং যারা মৃত্যুর পর সদ্গতির অভাবে মুক্তি পায় না, তারাই অপদেবতায় পরিণত হয়ে মানুষের নানা ধরনের ক্ষতিসাধন করে। শাঁকচুন্নি, চোরাচুন্নি, পেঁচাপেচি, নিশি, মামদো ভূত ইত্যাদি মানুষের নানা রোগ-ব্যাধির জন্য দায়ী বলে বিশ্বাস রয়েছে। বিশেষত গ্রামবাংলায় এ জাতীয় বিশ্বাস জীবনের গভীরে প্রোথিত। গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করে যে, এই ভূত-প্রেত ভোগ ও বলি পেলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়।

বিভিন্ন লৌকিক আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বাসের যে বিস্তার ঘটে তা জীবনের প্রয়োজনেই আপন অস্তিত্বে বিদ্যমান থাকে; প্রয়োজন শেষ হলে তার বিলুপ্তি ঘটে, নতুবা তা কুসংস্কারে পরিণত হয়। গাজী পীর কে তা জানা না গেলেও তিনি শুধু পুথিতে এবং লোকমানসে একজন অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন ব্যাঘ্রদেবতা হিসেবেই পূজ্য নন, বিভিন্ন মানতপূরণকারী হিসেবেও সমাদৃত হয়ে আসছেন। তিনি বনের, বিশেষত সুন্দরবনের অধিপতি; যেমন দক্ষিণরায় সুন্দরবনের অধিপতি এবং বাঘের দেবতা। বনবিবিও লোকমানসে অনুরূপ স্থান অধিকার করে আছে। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য  বাওয়ালি, মাওয়ালি, কাঠুরিয়া ও জালিয়া সম্প্রদায় ব্যাঘ্রদেবতা গাজী-বনবিবি-দক্ষিণ রায়ের পূজা-অনুষ্ঠান করে থাকে।

কুসংস্কার বলতে জাতি বা ধর্ম সম্পর্কে কোনো জনগোষ্ঠীর এক ধরনের বিশ্বাস বা সংস্কারকে বোঝায়। সমাজে অপ্রচলিত হয়ে যাওয়ার পরও যেসব আচার গুরুত্বসহকারে লালন করার প্রয়াস লক্ষ করা যায় সেগুলিকেই সাধারণত কুসংস্কার বলে। তবে একথা ঠিক যে, অনেক সময় একের বিশ্বাসও অন্যের কাছে সাধারণভাবে কুসংস্কার বলে প্রতিভাত হতে পারে।

এমন কিছু বিশ্বাস আছে যা শর্তহীনভাবে মানতে হয়। যেমন শাস্ত্রীয় বিধিবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় কৃত্যাদি ও আচরণের মাধ্যমে উপাস্যের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য প্রকাশ করা। এখানে কোনো প্রকার সন্দেহ বা দোদুল্যমানতার স্থান নেই। তবে ধর্মের কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এমনকি মানুষের ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনে পারস্পরিক সম্পর্ক ও লেনদেনের ব্যাপারে অনেক সময় সন্দেহ প্রযুক্ত হতে দেখা যায়।

লৌকিক ও ধর্মীয় নৃতাত্ত্বিকদের মতে বিশ্বাস দুভাগে বিভক্ত। প্রথমটির সঙ্গে ধর্মশাস্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়টি একান্তভাবেই শাস্ত্রীয়। উভয় ক্ষেত্রে ঐতিহ্যভিত্তিক সংস্কার ক্রিয়াশীল থাকলেও প্রথমটি বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু দ্বিতীয়টি বাধ্যতামূলক। প্রথমটিতে পরিহার করার সুযোগ আছে, দ্বিতীয়টিতে নেই। যেমন,  বেরাভাসান একটি লৌকিক  উৎসব। জলমগ্নতা বা তৎসম্পর্কিত অন্যান্য বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য নদী-বিল-হাওরের তীরের অধিবাসীরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভেলা ভাসায়। কেউ যদি এতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে সেজন্য তাকে অভিযুক্ত হতে হয় না। কিন্তু কেউ যদি ধর্মীয় কৃত্যে অনীহা প্রকাশ করে তাহলে সমাজ তাকে অধর্মাচারী বলে অভিযুক্ত করে।

পারিবারিক ও সামাজিক প্রথাগুলিও ঐতিহ্যনির্ভর সংস্কারে পর্যবসিত। বিশ্বাসের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি বিপরীতধর্মী দিক আছে। একটি পালনীয় এবং অপরটি পরিহারযোগ্য। পরিহারযোগ্যটাই ট্যাবু বা বিধিনিষেধ। যা পালনীয় তার ইতি ও নেতিবাচক দুটি বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে হয়। হিন্দু বিধবারা আষাঢ়ের সাত তারিখ থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত অম্বুবাচী পালন করে। হিন্দু কৃষকরা যে ট্যাবুগুলি মানে তা হলো: তারা এ কদিন চুলায় আগুন জ্বালে না, মাটিতে লোহার অাঁচড় কাটে না, এমন কোনো কাজ করে না যাতে ধরিত্রী কষ্ট পায় বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, কারণ তাঁদের বিশ্বাস, এ কদিন ধরিত্রী থাকে রজঃস্বলা।

লৌকিক ও ধর্মীয় ক্রিয়ানুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সকলে অংশগ্রহণ করতে পারে না। যেমন, বিবাহ অনুষ্ঠানে বিধবা ও বন্ধ্যা নারীর উপস্থিতি সদ্য বিবাহিত দম্পতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে, এই বিশ্বাসে তারা পরিহার্য। অপরদিকে এয়োতিরা বিবাহের মেয়েলি আচারে অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়। এখানেও বিশ্বাস, এয়োতির ন্যায় নববধূ স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখী হবে। আজও গ্রামাঞ্চলে এ বিশ্বাস বিদ্যমান।  [মোমেন চৌধুরী]