মহাস্থবির, অভয়তিষ্য

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪০, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

মহাস্থবির, অভয়তিষ্য (১৮৮৪-১৯৭৪)  বৌদ্ধ ধর্মগুরু ও সপ্তম সংঘনায়ক। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার মিজ্রিতলা গ্রামে ১২৪৭ মঘি অব্দের ৭ বৈশাখ (মে ১৮৮৪) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নবীনচন্দ্র বড়ুয়া ছিলেন বৌদ্ধ সমাজের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

অভয়তিষ্য জলদি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি শ্রামণ্যধর্মে দীক্ষা নেন এবং ১৯০৩ সালে  উপসম্পদা গ্রহণ করেন। তাঁর দীক্ষাগুরু ছিলেন বৈষ্ণব মহাথের। পন্ডিত প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথেরর নিকট ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে তিনি  ত্রিপিটক-এ বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। পরে তিনি ব্রহ্মদেশের আকিয়াবে গিয়ে দ্বিতীয়বার কর্মবাচা পাঠ করেন। এ সময় তাঁর উপাধ্যায় ছিলেন শ্রীমৎ কেয়ারু ছেয়াদ।

আকিয়াব থেকে চট্টগ্রামে ফিরে অভয়তিষ্য সাতবাড়িয়া শান্তিবিহারের অধ্যক্ষ হন। এখানে অবস্থানকালে তিনি সদ্ধর্মের হিতকল্পে ‘প্রজ্ঞালঙ্কার পালি বিদ্যালয়’ (১৯৩৮) এবং ‘শাসন কল্যাণ পালি পরিষদ’ (১৯৫৮) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৬ সালের ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ভিক্ষু মহাসভা’র বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে ‘সংঘনায়ক’ অর্থাৎ ‘সর্বোচ্চ ধর্মগুরু’ মনোনীত করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর এ পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্মের পুনর্জাগরণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে একতা সম্পাদন তাঁর কর্মবহুল জীবনের এক অনন্যসাধারণ কীর্তি। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই শান্তিবিহারে তাঁর মৃত্যু হয়।  [সুমঙ্গল বড়ুয়া]