এনজিও ফেডারেশন
এনজিও ফেডারেশন বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের একটি বড় মাধ্যম হলো বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন বা এনজিও সেক্টর। ২০০৩ সালের জাতীয় সম্মেলনে ১৮৫০ জন এনজিও প্রতিনিধির অংশগ্রহণে এনজিওদের কর্ম পরিবেশ ও স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) গঠিত হয় এবং একই সালের ৪ মে সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট ১৮৬০-এর আওতায় রেজিস্ট্রিকৃত হয়।
এনজিও ফেডারেশনের মূল লক্ষ্য হলো এনজিও সেক্টরের স্বার্থ রক্ষা করা, ক্ষুদ্র এনজিওদের সামর্থ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, জাতীয় উন্নয়ন চেতনা সঞ্চারিত করা, অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা, জেন্ডারভিত্তিক নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা, এনজিওদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তোলা। ছোট, মাঝারি ও বড় এনজিও নিয়ে ফেডারেশনের সদস্য সংখ্যা ৫০০। এদের মধ্যে এএলআরডি, বেলা, ব্র্যাক, বুরো বাংলাদেশ, গণসাক্ষরতা অভিযান, সিএমইএস, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ডরপ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, এনজিও ফোরাম, নিজেরা করি, পদক্ষেপ, আরডিআরএস, রিক, সমতা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ, টিএমএসএস, কোডেক (চট্টগ্রাম), ঘাসফুল (চট্টগ্রাম), সিডিএ (দিনাজপুর), জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন (যশোর) ও এসএসএস (টাঙ্গাইল) উল্লেখযোগ্য। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন (স্যার) ফজলে হাসান আবেদ ফেডারেশনের উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক এবং সিএমইএস-এর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম-এর চেয়ারম্যান।
এনজিও সদস্যদের অনুসরণের জন্য একটি আচরণবিধি রয়েছে। এনজিও ফেডারেশন ইতোমধ্যে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অনেক ক্ষেত্রে এনজিও বান্ধব নীতি ও কর্ম পরিবেশ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষুদ্র এনজিওদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এডভোকেসির ক্ষেত্রেও ফেডারেশন কাজ করে যাচ্ছে। [শামসুল হুদা]