ময়মনসিংহ জিলা স্কুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন: | ২ নং লাইন: | ||
'''ময়মনসিংহ জিলা স্কুল''' একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র কালেক্টর এফ.বি ক্যাম্প এর উদ্যোগে ময়মনসিংহে ‘হার্ডিঞ্জ স্কুল’ নামে একটি মিডল ইংলিশ স্কুল স্থাপন করা হয়। কালেক্টরের কাচারি সংলগ্ন একটি লাল ইঁটের তৈরি একতলা দালানে যাত্রা শুরু করা এ স্কুলে প্রথমে শুধু উচ্চ বিত্তদের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পেত। পরবর্তীকালে উড্স ডেসপ্যাচের শিক্ষা নীতির আলোকে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর হার্ডিঞ্জ স্কুলকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তখন থেকেই স্কুলটি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল নামে পরিচিতি পায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার [[বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র|জগদীশচন্দ্র বসু]]র পিতা ভগবান চন্দ্র বসু। | '''ময়মনসিংহ জিলা স্কুল''' একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র কালেক্টর এফ.বি ক্যাম্প এর উদ্যোগে ময়মনসিংহে ‘হার্ডিঞ্জ স্কুল’ নামে একটি মিডল ইংলিশ স্কুল স্থাপন করা হয়। কালেক্টরের কাচারি সংলগ্ন একটি লাল ইঁটের তৈরি একতলা দালানে যাত্রা শুরু করা এ স্কুলে প্রথমে শুধু উচ্চ বিত্তদের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পেত। পরবর্তীকালে উড্স ডেসপ্যাচের শিক্ষা নীতির আলোকে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর হার্ডিঞ্জ স্কুলকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তখন থেকেই স্কুলটি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল নামে পরিচিতি পায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার [[বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র|জগদীশচন্দ্র বসু]]র পিতা ভগবান চন্দ্র বসু। | ||
[[Image:MymensunghZillaSchool.jpg|thumb|right|400px|ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]] | |||
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হান্টার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রেণিকক্ষ আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে নতুন একটি পাকা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এই ভবনে ‘ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুল’ নামে একটি বেসরকারি বিদ্যালয় চালু রয়েছে। লর্ড কার্জনের শিমলা কনফারেন্সের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৯১২ সালে জমি অধিগ্রহণ করে ১৯১৩ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের কারণে স্কুলটিকে সাময়িকভাবে স্কুল গেটের উল্টোদিকে অবস্থিত ‘দারুল হাছানা’ ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। | ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হান্টার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রেণিকক্ষ আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে নতুন একটি পাকা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এই ভবনে ‘ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুল’ নামে একটি বেসরকারি বিদ্যালয় চালু রয়েছে। লর্ড কার্জনের শিমলা কনফারেন্সের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৯১২ সালে জমি অধিগ্রহণ করে ১৯১৩ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের কারণে স্কুলটিকে সাময়িকভাবে স্কুল গেটের উল্টোদিকে অবস্থিত ‘দারুল হাছানা’ ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। | ||
পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালে আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৫৭ সালের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলকে ‘মাল্টিলেটারাল পাইলট স্কুল’ এর মর্যাদা দেওয়া হয় এবং ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার পাশাপাশি কারিগরি শাখা খোলা হয়। ১৯৬৪ সালে স্কুলে বাণিজ্য শাখা খোলা হয়। | পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালে আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৫৭ সালের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলকে ‘মাল্টিলেটারাল পাইলট স্কুল’ এর মর্যাদা দেওয়া হয় এবং ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার পাশাপাশি কারিগরি শাখা খোলা হয়। ১৯৬৪ সালে স্কুলে বাণিজ্য শাখা খোলা হয়। | ||
১৫ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
১৯৯১ সাল থেকে স্কুলে দিবা ও প্রভাতী নামে দুটি শিফট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দুই শিফট মিলিয়ে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৭৪৩। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এস.এস.সি কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে (২০১০) স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১৭৪৩ জন। | ১৯৯১ সাল থেকে স্কুলে দিবা ও প্রভাতী নামে দুটি শিফট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দুই শিফট মিলিয়ে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৭৪৩। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এস.এস.সি কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে (২০১০) স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১৭৪৩ জন। | ||
লেখাপড়ার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ছাত্ররা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ২০০১ ও ২০০৩ সালে টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জিলা স্কুল ৩য় স্থান লাভ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এছাড়াও স্কুল প্রশাসন বছরের বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করে আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রতি বছর স্কুলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। ছাত্রদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা ও প্রতি দুই বছর অন্তর বিদ্যালয় বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। | লেখাপড়ার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ছাত্ররা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ২০০১ ও ২০০৩ সালে টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জিলা স্কুল ৩য় স্থান লাভ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এছাড়াও স্কুল প্রশাসন বছরের বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করে আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রতি বছর স্কুলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। ছাত্রদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা ও প্রতি দুই বছর অন্তর বিদ্যালয় বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। [মো. ইউনুছ ফারুকী] | ||
[মো. ইউনুছ ফারুকী] | |||
[[en:Mymensingh Zila School]] | [[en:Mymensingh Zila School]] |
০৪:২৬, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কালেক্টর এফ.বি ক্যাম্প এর উদ্যোগে ময়মনসিংহে ‘হার্ডিঞ্জ স্কুল’ নামে একটি মিডল ইংলিশ স্কুল স্থাপন করা হয়। কালেক্টরের কাচারি সংলগ্ন একটি লাল ইঁটের তৈরি একতলা দালানে যাত্রা শুরু করা এ স্কুলে প্রথমে শুধু উচ্চ বিত্তদের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পেত। পরবর্তীকালে উড্স ডেসপ্যাচের শিক্ষা নীতির আলোকে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর হার্ডিঞ্জ স্কুলকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইংরেজি বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তখন থেকেই স্কুলটি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল নামে পরিচিতি পায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা ভগবান চন্দ্র বসু।
১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হান্টার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রেণিকক্ষ আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে নতুন একটি পাকা ভবনে স্কুলটি স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এই ভবনে ‘ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুল’ নামে একটি বেসরকারি বিদ্যালয় চালু রয়েছে। লর্ড কার্জনের শিমলা কনফারেন্সের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৯১২ সালে জমি অধিগ্রহণ করে ১৯১৩ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্কুলটি স্থানান্তরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের কারণে স্কুলটিকে সাময়িকভাবে স্কুল গেটের উল্টোদিকে অবস্থিত ‘দারুল হাছানা’ ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালে আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৫৭ সালের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলকে ‘মাল্টিলেটারাল পাইলট স্কুল’ এর মর্যাদা দেওয়া হয় এবং ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার পাশাপাশি কারিগরি শাখা খোলা হয়। ১৯৬৪ সালে স্কুলে বাণিজ্য শাখা খোলা হয়।
জিলা স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সময় থেকেই এ স্কুলের একটি আবাসিক হোস্টেল ছিল। ১৯৫৬-৫৭ সালের দিকে হোস্টেলের টিনশেড অংশে ময়মনসিংহ টি.টি কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। ই.পি.আর ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করার কারণে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত হোস্টেলটি সাময়িকভাবে গুলকীবাড়ী রায়মনি লজে স্থানান্তর করা হয় এবং হোস্টেলটি ‘আঞ্জুমান মুসলিম হোস্টেল’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্কুল প্রাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। এ স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। এছাড়াও এ স্কুল থেকে পাস করে পরবর্তীকালে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে খ্যাতিমান হয়েছেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ আনন্দমোহন বসু, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনেম খান, মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন, আইনবিদ ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ, সাহিত্যিক ড. আশরাফ সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী ও শাহ মোহাম্মদ ফারুক এবং সঙ্গীতশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান (২০১০) সময় পর্যন্ত ৩৬ জন শিক্ষাবিদ স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বপালন করেছেন। স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন ভগবান চন্দ্র বসু। এ স্কুলের শিক্ষক গিরিশচন্দ্র সেন ধর্মগ্রন্থ কুরআনের বাংলা অনুবাদ করেন।
১৯৯১ সাল থেকে স্কুলে দিবা ও প্রভাতী নামে দুটি শিফট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দুই শিফট মিলিয়ে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৭৪৩। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত এস.এস.সি কার্যক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে (২০১০) স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১৭৪৩ জন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ছাত্ররা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ২০০১ ও ২০০৩ সালে টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জিলা স্কুল ৩য় স্থান লাভ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এছাড়াও স্কুল প্রশাসন বছরের বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজন করে আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রতি বছর স্কুলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। ছাত্রদের উদ্যোগে দেয়াল পত্রিকা ও প্রতি দুই বছর অন্তর বিদ্যালয় বার্ষিকী প্রকাশিত হয়। [মো. ইউনুছ ফারুকী]