পতিসর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
১৯২১ সালে জমিদারি ভাগ হলে পতিসর রবীন্দ্রনাথের ভাগেই পড়ে, কিন্তু সাংসারিক নানা কারণে একদা পতিসরের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত সম্পর্কে ছেদ পড়ে। কবি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলে পতিসরের প্রজারা তাঁকে মানপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানায় (১৯১৩)। প্রজাদের অনুরোধে  [[পুণ্যাহ|পুণ্যাহ]] উপলক্ষে তিনি ১৯৩৭ সালে শেষবারের মতো পতিসর পরিদর্শন করেন।
১৯২১ সালে জমিদারি ভাগ হলে পতিসর রবীন্দ্রনাথের ভাগেই পড়ে, কিন্তু সাংসারিক নানা কারণে একদা পতিসরের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত সম্পর্কে ছেদ পড়ে। কবি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলে পতিসরের প্রজারা তাঁকে মানপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানায় (১৯১৩)। প্রজাদের অনুরোধে  [[পুণ্যাহ|পুণ্যাহ]] উপলক্ষে তিনি ১৯৩৭ সালে শেষবারের মতো পতিসর পরিদর্শন করেন।


পতিসর এখন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু রবীন্দ্রভক্ত প্রতিবছর রবীন্দ্রস্পর্শধন্য এই পতিসর পরিদর্শনে আসেন। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে প্রতিবছর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবেও পতিসরে রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালিত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, এমনকি বিদেশ থেকেও রবীন্দ্রভক্ত এবং রবীন্দ্রগবেষকগণ এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
পতিসর এখন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু রবীন্দ্রভক্ত প্রতিবছর রবীন্দ্রস্পর্শধন্য এই পতিসর পরিদর্শনে আসেন। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে প্রতিবছর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবেও পতিসরে রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালিত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, এমনকি বিদেশ থেকেও রবীন্দ্রভক্ত এবং রবীন্দ্রগবেষকগণ এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। [আহমদ রফিক]
 
[আহমদ রফিক]
 
[[en:Patisar]]
 
[[en:Patisar]]


[[en:Patisar]]
[[en:Patisar]]

০৫:০৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পতিসর  রবীন্দ্রস্মৃতি-বিজড়িত উত্তর বঙ্গের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত আত্রাই উপজেলাধীন একটি গ্রাম। জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার এবং আত্রাই রেলস্টেশন থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্ব দিকে নাগর নদীর তীরে গ্রামটি অবস্থিত। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারির কালিগ্রাম পরগনার সদর কাচারি ছিল এই পতিসরে। রবীন্দ্রনাথের পিতামহ  দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮৩০ সালে এ জমিদারি ক্রয় করেন। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং জমিদারি দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালের জানুয়ারিতে প্রথম পতিসরে আসেন।

পতিসরের দোতলা কুঠিবাড়ির স্থাপত্যশৈলী  শিলাইদহ ও শাহজাদপুরের কুঠিবাড়ির অনুরূপ। এর মূল ভবনসংলগ্ন ঘরগুলি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত। বাড়ির সামনে প্রশস্ত খোলা মাঠ  নাগর নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। এক পাশে ‘রবীন্দ্রসরোবর’ নামের পুকুরটি এখন মজা ডোবায় পরিণত হয়েছে। চারপাশ গাছ-গাছালিতে আচ্ছন্ন।

পতিসরের কুঠিবাড়ি ও পদ্মাবোটে অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ নানা কবিতা, গল্প,  উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছিন্নপত্রের অনেক চিঠি এবং বিদায় অভিশাপ কাব্যনাট্য রচনা করেন। এছাড়াও কবি পল্লীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য স্থাপন করেন বহু পাঠশালা, রথীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, পতিসর কৃষিব্যাংক (১৯০৫) ইত্যাদি। কৃষির উন্নতির জন্য তিনি পতিসরের মাঠে কলের লাঙ্গল চালিয়েছিলেন; গড়ে তুলেছিলেন কৃষি, তাঁত ও মৃৎশিল্পের সমবায় সংগঠন। তাঁর নোবেল পুরস্কারের এক লক্ষ টাকাও তিনি পতিসর কৃষিব্যাংকে দিয়েছিলেন, যা আর ফেরত পান নি।

১৯২১ সালে জমিদারি ভাগ হলে পতিসর রবীন্দ্রনাথের ভাগেই পড়ে, কিন্তু সাংসারিক নানা কারণে একদা পতিসরের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত সম্পর্কে ছেদ পড়ে। কবি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলে পতিসরের প্রজারা তাঁকে মানপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানায় (১৯১৩)। প্রজাদের অনুরোধে  পুণ্যাহ উপলক্ষে তিনি ১৯৩৭ সালে শেষবারের মতো পতিসর পরিদর্শন করেন।

পতিসর এখন একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু রবীন্দ্রভক্ত প্রতিবছর রবীন্দ্রস্পর্শধন্য এই পতিসর পরিদর্শনে আসেন। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে প্রতিবছর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবেও পতিসরে রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালিত হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, এমনকি বিদেশ থেকেও রবীন্দ্রভক্ত এবং রবীন্দ্রগবেষকগণ এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। [আহমদ রফিক]