খান, মুনশি আদালত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (cleanup) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
আদালত খানের জ্ঞানচর্চার দুটি বিশেষ দিক হলো পাঠ্যপুস্তক ও অভিধান প্রণয়ন। তাঁর প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের অধিকাংশই ব্রজবুলি, ফারসি, বাংলা, হিন্দি, [[উর্দু|উর্দু]] ও [[আরবি|আরবি]] থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। বহুভাষিক দুটি অভিধান রচনা তাঁর বিশেষ কীর্তি। সেগুলির একটি ত্রিভাষিক (হিন্দি, ফারসি ও বাংলা, ১৮৭২) এবং অপরটি পঞ্চভাষিক (বাংলা, ইংরেজি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি, ১৮৮০)। তাঁর অপরাপর গ্রন্থ: বেতাল পচিশি (১৮৬৪), বোস্তা (১৮৬৮), রামায়ণ (১৮৭২), প্রেমসাগর ও বাগবাহার (১৮৭৫), ভারতবর্ষের ইতিহাস ও বাগবাহার (১৮৭৭), গুলিস্তা (১৮৮০), ইকদ-ই-গুল (১৮৮৩), [[গুলে বকাওলী|গুলে বকাওলী]], তোতাকাহিনী, বাহার-ই-দানিশ, আলিফ লায়লা ও চাহার দরবেশ। এ সকল গ্রন্থ থেকে ভারত ও আরব-ইরানের বিভিন্ন ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, [[পুরাণ|পুরাণ]], জাতিতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর অসাধারণ পান্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। [বদিউজ্জামান] | আদালত খানের জ্ঞানচর্চার দুটি বিশেষ দিক হলো পাঠ্যপুস্তক ও অভিধান প্রণয়ন। তাঁর প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের অধিকাংশই ব্রজবুলি, ফারসি, বাংলা, হিন্দি, [[উর্দু|উর্দু]] ও [[আরবি|আরবি]] থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। বহুভাষিক দুটি অভিধান রচনা তাঁর বিশেষ কীর্তি। সেগুলির একটি ত্রিভাষিক (হিন্দি, ফারসি ও বাংলা, ১৮৭২) এবং অপরটি পঞ্চভাষিক (বাংলা, ইংরেজি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি, ১৮৮০)। তাঁর অপরাপর গ্রন্থ: বেতাল পচিশি (১৮৬৪), বোস্তা (১৮৬৮), রামায়ণ (১৮৭২), প্রেমসাগর ও বাগবাহার (১৮৭৫), ভারতবর্ষের ইতিহাস ও বাগবাহার (১৮৭৭), গুলিস্তা (১৮৮০), ইকদ-ই-গুল (১৮৮৩), [[গুলে বকাওলী|গুলে বকাওলী]], তোতাকাহিনী, বাহার-ই-দানিশ, আলিফ লায়লা ও চাহার দরবেশ। এ সকল গ্রন্থ থেকে ভারত ও আরব-ইরানের বিভিন্ন ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, [[পুরাণ|পুরাণ]], জাতিতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর অসাধারণ পান্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। [বদিউজ্জামান] | ||
[[bn:Khan, Munshi Adalat]] |
০৯:৩৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
খান, মুনশি আদালত (১৮৪৪-১৮৯৪) ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের মুনশি, লেখক। মানিকগঞ্জ জেলার দাদরখি গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা জুলফিকার খান ছিলেন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রাচ্যশাখার গ্রন্থাগারিক। আদালত খান কলকাতা মাদ্রাসা ও প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। তিনি উচ্চতর পাঠ্যপুস্তক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৬২ সালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বোর্ড অফ একজামিনার্স-এর মুনশিপদে যোগদান করেন। তিনি ফারসি ও হিন্দি বিষয়ে সিভিলিয়ান ও সেনা অফিসারদের শিক্ষা দিতেন। শিক্ষকতা ও সাহিত্যকর্ম উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সুনাম অর্জন করেন। কেবল ভারতবর্ষেই নয়, সুদূর ইউরোপেও তাঁর পান্ডিত্যের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার ছোটলাট তাঁকে এ মর্মে একটি প্রশংসাপত্রও দিয়েছিলেন।
আদালত খানের জ্ঞানচর্চার দুটি বিশেষ দিক হলো পাঠ্যপুস্তক ও অভিধান প্রণয়ন। তাঁর প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের অধিকাংশই ব্রজবুলি, ফারসি, বাংলা, হিন্দি, উর্দু ও আরবি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। বহুভাষিক দুটি অভিধান রচনা তাঁর বিশেষ কীর্তি। সেগুলির একটি ত্রিভাষিক (হিন্দি, ফারসি ও বাংলা, ১৮৭২) এবং অপরটি পঞ্চভাষিক (বাংলা, ইংরেজি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি, ১৮৮০)। তাঁর অপরাপর গ্রন্থ: বেতাল পচিশি (১৮৬৪), বোস্তা (১৮৬৮), রামায়ণ (১৮৭২), প্রেমসাগর ও বাগবাহার (১৮৭৫), ভারতবর্ষের ইতিহাস ও বাগবাহার (১৮৭৭), গুলিস্তা (১৮৮০), ইকদ-ই-গুল (১৮৮৩), গুলে বকাওলী, তোতাকাহিনী, বাহার-ই-দানিশ, আলিফ লায়লা ও চাহার দরবেশ। এ সকল গ্রন্থ থেকে ভারত ও আরব-ইরানের বিভিন্ন ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, পুরাণ, জাতিতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর অসাধারণ পান্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। [বদিউজ্জামান]