বঙ্গীয় আইন সভা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বঙ্গীয় আইন সভা''' (Bengal Legislative Assembly)'''  '''ভারত শাসন সংক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক সংস্কারের চূড়ান্ত পরিণতি স্বরূপ গঠিত হয়েছিল। ১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন পর্যন্ত শাসন সংস্কারের শেষ পর্যায় হিসেবে বঙ্গীয় আইন সভার আত্মপ্রকাশ। ১৯৩৫ সালের আইনে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারতের সকল প্রদেশের সাংবিধানিক পরিষদ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে। ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির যাত্রা শুরু।
'''বঙ্গীয় আইন সভা''' (Bengal Legislative Assembly) ভারত শাসন সংক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক সংস্কারের চূড়ান্ত পরিণতি স্বরূপ গঠিত হয়েছিল। ১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন পর্যন্ত শাসন সংস্কারের শেষ পর্যায় হিসেবে বঙ্গীয় আইন সভার আত্মপ্রকাশ। ১৯৩৫ সালের আইনে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারতের সকল প্রদেশের সাংবিধানিক পরিষদ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে। ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির যাত্রা শুরু।


১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে বাংলা প্রদেশের আইন সভার আসন বণ্টন ছিল নিম্নরূপ:
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে বাংলা প্রদেশের আইন সভার আসন বণ্টন ছিল নিম্নরূপ:
২৬ নং লাইন: ২৬ নং লাইন:
নির্বাচনের পর মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁর সরকার গঠন করেন। [সিরাজুল ইসলাম]
নির্বাচনের পর মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁর সরকার গঠন করেন। [সিরাজুল ইসলাম]


''আরও দেখুন'' বঙ্গীয় আইন পরিষদ।
''আরও দেখুন'' [[বঙ্গীয় আইন পরিষদ|বঙ্গীয় আইন পরিষদ]]
 
[[en:Bengal Legislative Assembly]]
 
[[en:Bengal Legislative Assembly]]
 
[[en:Bengal Legislative Assembly]]


[[en:Bengal Legislative Assembly]]
[[en:Bengal Legislative Assembly]]

০৬:৩৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বঙ্গীয় আইন সভা (Bengal Legislative Assembly) ভারত শাসন সংক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে সাংবিধানিক সংস্কারের চূড়ান্ত পরিণতি স্বরূপ গঠিত হয়েছিল। ১৮৬১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন পর্যন্ত শাসন সংস্কারের শেষ পর্যায় হিসেবে বঙ্গীয় আইন সভার আত্মপ্রকাশ। ১৯৩৫ সালের আইনে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ভারতের সকল প্রদেশের সাংবিধানিক পরিষদ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হবে। ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির যাত্রা শুরু।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে বাংলা প্রদেশের আইন সভার আসন বণ্টন ছিল নিম্নরূপ:

মোট আসন সংখ্যা- ২৫০। এর মধ্যে সাধারণ আসন- ৭৮টি, মুসলমান প্রার্থীদের আসন- ১১৭টি (শহরে- ৬টি এবং গ্রামে- ১১১টি); অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য বরাদ্দ আসন- ৩ টি, ইউরোপীয়দের জন্য বরাদ্দ- ১১, ভারতীয় খ্রিস্টানদের জন্য ২, বাণিজ্য, শিল্প ও পুঁজিবাদী কৃষি আসন- ১৯, জমিদার বা ভূস্বামীদের জন্য আসন- ৫, শ্রমিক প্রতিনিধির আসন- ৮। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের আসন- ২ (ঢাকা- ১ ও কলকাতা-১), এবং মহিলা আসন-  ৫ (সাধারণ- ২, মুসলিম- ২ এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ান- ১)।

আসন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত বঙ্গীয় আইন সভায় বিভিন্ন দলের অবস্থান ছিল নিম্নরূপ:

কংগ্রেস- ৫৪, নিরপেক্ষ মুসলিম-৪২, মুসলিম লীগ- ৪০, নিরপেক্ষ হিন্দু- ৩৭, কৃষক প্রজা পার্টি (কেপিপি)- ৩৫, অন্যান্য- ৩২, ত্রিপুরা কৃষক পার্টি- ৫, জাতীয়তাবাদী- ৩, হিন্দু মহাসভা- ২।

ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনস্ত অবস্থায় ভারতীয় কংগ্রেস সরকার গঠনে কোনরূপ সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার গভর্নর কৃষক প্রজা পার্টির নেতা এ.কে ফজলুল হককে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে নিজেদের মধ্যেই কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহবান জানান। ফজলুল হক মুসলিম লীগ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে মন্ত্রিসভা গঠনে কৃতকার্য হন। এ মন্ত্রিসভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন নলিনী রঞ্জন সরকার, স্যার খাজা নাজিমউদ্দীন, স্যার বিজয় প্রসাদ সিংহ রায়, নওয়াব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর, মহারাজা শিরিশ চন্দ্র নন্দী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, নওয়াব মোশাররফ হুসেইন খান বাহাদুর, সৈয়দ নওশের আলী, প্রসন্ন দেব রায়কুট এবং মুকুন্দ বিহারী মল্লিক।

১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক সমস্যা এবং সৃষ্ট হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অচলাবস্থার কারণে বঙ্গীয় আইন সভার নির্বাচন স্থগিত করে রাখা হয়। তবে ইতোমধ্যে দুটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। একটি একে ফজলুল হক এর নেতৃত্বে (১৯৪১) এবং অপরটি স্যার খাজা নাজিমউদ্দীনের নেতৃত্বে (১৯৪৩)। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ভারত বিভাগের পূর্বে শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯-২২ মার্চ ১৯৪৬ সালে। নির্বাচনের ফলাফল ছিল নিম্নরূপ:

মুসলিম লীগ-                         ১১৩

কংগ্রেস-                                ৮৬

নিরপেক্ষ হিন্দু-                         ১৩

নিরপেক্ষ মুসলিম-                     ০৯

অন্যান্য-                                ২৯

নির্বাচনের পর মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁর সরকার গঠন করেন। [সিরাজুল ইসলাম]

আরও দেখুন বঙ্গীয় আইন পরিষদ