জীমূতবাহন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
জীমূতবাহন ছিলেন বঙ্গদেশের তিনজন প্রসিদ্ধ স্মৃতিশাস্ত্রকারের একজন; অন্য দুজন হলেন [[শূলপাণি|শূলপাণি]] ও [[রঘুনন্দন ভট্টাচার্য|রঘুনন্দন]]। জীমূতবাহনের তিনটি স্মৃতিগ্রন্থ পাওয়া গেছে: কালবিবেক, ব্যবহারমাতৃকা ও [[দায়ভাগ|দায়ভাগ]]। কালবিবেকে বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানের কাল নির্ণয় করা হয়েছে। এ থেকে লেখকের মীমাংসা ও জ্যোতিষশাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। গ্রন্থটিতে লেখকের পূর্ববর্তী অনেক স্মৃতিকারের নাম থাকায় ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব অনেক। | জীমূতবাহন ছিলেন বঙ্গদেশের তিনজন প্রসিদ্ধ স্মৃতিশাস্ত্রকারের একজন; অন্য দুজন হলেন [[শূলপাণি|শূলপাণি]] ও [[রঘুনন্দন ভট্টাচার্য|রঘুনন্দন]]। জীমূতবাহনের তিনটি স্মৃতিগ্রন্থ পাওয়া গেছে: কালবিবেক, ব্যবহারমাতৃকা ও [[দায়ভাগ|দায়ভাগ]]। কালবিবেকে বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানের কাল নির্ণয় করা হয়েছে। এ থেকে লেখকের মীমাংসা ও জ্যোতিষশাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। গ্রন্থটিতে লেখকের পূর্ববর্তী অনেক স্মৃতিকারের নাম থাকায় ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব অনেক। | ||
ব্যবহারমাতৃকার অপর নাম ন্যায়রত্নমাতৃকা বা ন্যায়মাতৃকা। ব্যবহার অর্থাৎ মামলা-মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিধিবিধান এর আলোচ্য বিষয়। এতে নারদ, কাত্যায়ন ও বৃহস্পতিসহ মোট বিশজন পূর্ববর্তী স্মৃতিকারের নাম উল্লিখিত হয়েছে। জীমূতবাহনের শ্রেষ্ঠ রচনা দায়ভাগ। এটি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত গ্রন্থ। বঙ্গদেশে উত্তরাধিকার-বিষয়ক আইনের ক্ষেত্রে দায়ভাগই একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ। পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে বঙ্গদেশ ভিন্ন ভারতের অন্যান্য প্রদেশে প্রচলিত মিতাক্ষরা পদ্ধতির সঙ্গে দায়ভাগের মৌলিক পার্থক্য আছে। | ব্যবহারমাতৃকার অপর নাম ন্যায়রত্নমাতৃকা বা ন্যায়মাতৃকা। ব্যবহার অর্থাৎ মামলা-মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিধিবিধান এর আলোচ্য বিষয়। এতে নারদ, কাত্যায়ন ও বৃহস্পতিসহ মোট বিশজন পূর্ববর্তী স্মৃতিকারের নাম উল্লিখিত হয়েছে। জীমূতবাহনের শ্রেষ্ঠ রচনা দায়ভাগ। এটি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত গ্রন্থ। বঙ্গদেশে উত্তরাধিকার-বিষয়ক আইনের ক্ষেত্রে দায়ভাগই একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ। পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে বঙ্গদেশ ভিন্ন ভারতের অন্যান্য প্রদেশে প্রচলিত মিতাক্ষরা পদ্ধতির সঙ্গে দায়ভাগের মৌলিক পার্থক্য আছে। [ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়] | ||
[ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়] | |||
[[en:Jimutavahana]] | [[en:Jimutavahana]] |
০৮:৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জীমূতবাহন (আনু. ১০৫০-১১৫০) স্মৃতিকার। তিনি গ্রন্থের পরিশিষ্টে পারিভদ্রীয় ব্রাহ্মণরূপে আত্মপরিচয় দিয়েছেন। বাংলার রাঢ় অঞ্চল তাঁর জন্মস্থান বলে মনে করা হয়।
জীমূতবাহন ছিলেন বঙ্গদেশের তিনজন প্রসিদ্ধ স্মৃতিশাস্ত্রকারের একজন; অন্য দুজন হলেন শূলপাণি ও রঘুনন্দন। জীমূতবাহনের তিনটি স্মৃতিগ্রন্থ পাওয়া গেছে: কালবিবেক, ব্যবহারমাতৃকা ও দায়ভাগ। কালবিবেকে বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানের কাল নির্ণয় করা হয়েছে। এ থেকে লেখকের মীমাংসা ও জ্যোতিষশাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। গ্রন্থটিতে লেখকের পূর্ববর্তী অনেক স্মৃতিকারের নাম থাকায় ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব অনেক।
ব্যবহারমাতৃকার অপর নাম ন্যায়রত্নমাতৃকা বা ন্যায়মাতৃকা। ব্যবহার অর্থাৎ মামলা-মোকদ্দমা সংক্রান্ত বিধিবিধান এর আলোচ্য বিষয়। এতে নারদ, কাত্যায়ন ও বৃহস্পতিসহ মোট বিশজন পূর্ববর্তী স্মৃতিকারের নাম উল্লিখিত হয়েছে। জীমূতবাহনের শ্রেষ্ঠ রচনা দায়ভাগ। এটি উত্তরাধিকার সংক্রান্ত গ্রন্থ। বঙ্গদেশে উত্তরাধিকার-বিষয়ক আইনের ক্ষেত্রে দায়ভাগই একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ। পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়ে বঙ্গদেশ ভিন্ন ভারতের অন্যান্য প্রদেশে প্রচলিত মিতাক্ষরা পদ্ধতির সঙ্গে দায়ভাগের মৌলিক পার্থক্য আছে। [ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]