চাইল্ড, স্যার জসিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''চাইল্ড, স্যার জসিয়া''' (১৬৩০-১৬৯৯)  প্রাচ্যে ইংরেজ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ধারণার প্রবর্তক। তিনি সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ের লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সবচেয়ে সৃজনধর্মী ও বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে Brief Observations Concerning Trade and Interest, বইটি প্রকাশের বছরই (১৬৭৮) তিনি ব্যারনের মর্যাদায় ভূষিত হন। জনসংখ্যা বিষয়ক তাঁর যে অভিমত সরকার বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তা ছিল নিঃস্ব ও আইনের দৃষ্টিতে অবাঞ্ছিত লোকদের সমুদ্রের ওপারে ব্রিটিশ কলোনিগুলিতে অপসারণ করা। চাইল্ড সতেরো শতকের আশির দশক ও নববইয়ের দশকের গোড়ার দিকে  [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র একজন পরিচালক ছিলেন।
[[Image:ChildSirJosia.jpg|thumb|400px|right|স্যার জসিয়া চাইল্ড]]
'''চাইল্ড, স্যার জসিয়া''' (১৬৩০-১৬৯৯)  প্রাচ্যে ইংরেজ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ধারণার প্রবর্তক। তিনি সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ের লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সবচেয়ে সৃজনধর্মী ও বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে Brief Observations Concerning Trade and Interest, বইটি প্রকাশের বছরই (১৬৭৮) তিনি ব্যারনের মর্যাদায় ভূষিত হন। জনসংখ্যা বিষয়ক তাঁর যে অভিমত সরকার বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তা ছিল নিঃস্ব ও আইনের দৃষ্টিতে অবাঞ্ছিত লোকদের সমুদ্রের ওপারে ব্রিটিশ কলোনিগুলিতে অপসারণ করা। চাইল্ড সতেরো শতকের আশির দশক ও নববইয়ের দশকের গোড়ার দিকে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র একজন পরিচালক ছিলেন।


কোর্ট অব ডাইরেক্টর্সের সিক্রেট কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কোম্পানির ভারত শাসন ব্যাপারে  উইলিয়ম হেজেজ কর্তৃক সূচিত জঙ্গিনীতি অনুসরণের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে  [[কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স|কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স]] মাদ্রাজের গভর্নরকে এমন একটি বেসামরিক ও সামরিক শক্তির সংগঠন গড়ে তুলতে এবং এর নিরাপত্তার জন্য বিরাট অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন যাতে এ সংগঠন সর্বকালের জন্য ভারতে একটি বিশাল, সুদৃঢ় ও নিরাপদ ইংরেজ রাজ্যের অংশ হয়ে উঠতে পারে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক জসিয়া চাইল্ড এ নতুন নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এ জঙ্গি নীতির কারণে ১৬৮৬ খ্রিস্টাব্দে মুগল প্রশাসনের সঙ্গে কোম্পানির যুদ্ধ বাঁধে এবং পরবর্তী সময়ে এ যুদ্ধ সারাদেশে সম্প্রসারিত হয়। ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও মুগল সরকারের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। শান্তি চুক্তির শর্তানুসারে সরকার কোম্পানিকে কলকাতায় বসতি স্থাপনের অনুমতিসহ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেন। এ সুবিধার ফলে পরবর্তী অর্ধ শতকের মধ্যে বাংলায় ব্রিটিশ রাজ্য প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন হয়।
কোর্ট অব ডাইরেক্টর্সের সিক্রেট কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কোম্পানির ভারত শাসন ব্যাপারে  উইলিয়ম হেজেজ কর্তৃক সূচিত জঙ্গিনীতি অনুসরণের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে  [[কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স|কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স]] মাদ্রাজের গভর্নরকে এমন একটি বেসামরিক ও সামরিক শক্তির সংগঠন গড়ে তুলতে এবং এর নিরাপত্তার জন্য বিরাট অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন যাতে এ সংগঠন সর্বকালের জন্য ভারতে একটি বিশাল, সুদৃঢ় ও নিরাপদ ইংরেজ রাজ্যের অংশ হয়ে উঠতে পারে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক জসিয়া চাইল্ড এ নতুন নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এ জঙ্গি নীতির কারণে ১৬৮৬ খ্রিস্টাব্দে মুগল প্রশাসনের সঙ্গে কোম্পানির যুদ্ধ বাঁধে এবং পরবর্তী সময়ে এ যুদ্ধ সারাদেশে সম্প্রসারিত হয়। ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও মুগল সরকারের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। শান্তি চুক্তির শর্তানুসারে সরকার কোম্পানিকে কলকাতায় বসতি স্থাপনের অনুমতিসহ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেন। এ সুবিধার ফলে পরবর্তী অর্ধ শতকের মধ্যে বাংলায় ব্রিটিশ রাজ্য প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন হয়। [সিরাজুল ইসলাম]
 
[[Image:ChildSirJosia.jpg|thumb|right|স্যার জসিয়া চাইল্ড]]
 
[সিরাজুল ইসলাম]


[[en:Child, Sir Josiah]]
[[en:Child, Sir Josiah]]

০৯:০৫, ২১ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

স্যার জসিয়া চাইল্ড

চাইল্ড, স্যার জসিয়া (১৬৩০-১৬৯৯)  প্রাচ্যে ইংরেজ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ধারণার প্রবর্তক। তিনি সামুদ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ের লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সবচেয়ে সৃজনধর্মী ও বিখ্যাত গ্রন্থ হচ্ছে Brief Observations Concerning Trade and Interest, বইটি প্রকাশের বছরই (১৬৭৮) তিনি ব্যারনের মর্যাদায় ভূষিত হন। জনসংখ্যা বিষয়ক তাঁর যে অভিমত সরকার বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তা ছিল নিঃস্ব ও আইনের দৃষ্টিতে অবাঞ্ছিত লোকদের সমুদ্রের ওপারে ব্রিটিশ কলোনিগুলিতে অপসারণ করা। চাইল্ড সতেরো শতকের আশির দশক ও নববইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন পরিচালক ছিলেন।

কোর্ট অব ডাইরেক্টর্সের সিক্রেট কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কোম্পানির ভারত শাসন ব্যাপারে  উইলিয়ম হেজেজ কর্তৃক সূচিত জঙ্গিনীতি অনুসরণের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে  কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স মাদ্রাজের গভর্নরকে এমন একটি বেসামরিক ও সামরিক শক্তির সংগঠন গড়ে তুলতে এবং এর নিরাপত্তার জন্য বিরাট অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন যাতে এ সংগঠন সর্বকালের জন্য ভারতে একটি বিশাল, সুদৃঢ় ও নিরাপদ ইংরেজ রাজ্যের অংশ হয়ে উঠতে পারে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক জসিয়া চাইল্ড এ নতুন নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এ জঙ্গি নীতির কারণে ১৬৮৬ খ্রিস্টাব্দে মুগল প্রশাসনের সঙ্গে কোম্পানির যুদ্ধ বাঁধে এবং পরবর্তী সময়ে এ যুদ্ধ সারাদেশে সম্প্রসারিত হয়। ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি ও মুগল সরকারের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। শান্তি চুক্তির শর্তানুসারে সরকার কোম্পানিকে কলকাতায় বসতি স্থাপনের অনুমতিসহ কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দেন। এ সুবিধার ফলে পরবর্তী অর্ধ শতকের মধ্যে বাংলায় ব্রিটিশ রাজ্য প্রতিষ্ঠার গোড়াপত্তন হয়। [সিরাজুল ইসলাম]