দেব, রাধাকান্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''দেব'''''', ''''''রাধাকান্ত '''(১৭৮৪-১৮৬৭)  একজন পন্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা। তাঁর পিতা গোপীমোহন দেব ছিলেন মহারাজ নবকৃষ্ণ দেবের দত্তক পুত্র ও উত্তরাধিকারী। নবকৃষ্ণ ছিলেন ফারসি ভাষায় দক্ষ এবং প্রকৃতপক্ষে তাঁর সময় থেকেই এ পরিবারের উন্নতি শুরু হয়। মেধা ও আকস্মিক পরিস্থিতির মাধ্যমে তিনি  [[১০০৫৮০|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র একজন বিশ্বস্ত মুন্সি হন। [[১০১২১৯|ক্লাইভ]] ও ওয়ারেন হেস্টিংস এর অধীনে তিনি চাকরি করেন এবং তাঁর বিশ্বস্ত ও অনুগত কাজের জন্য মহারাজা উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন। নবকৃষ্ণের দত্তক পুত্র গোপীমোহন অর্থ ও ভাগ্যের জোরে নিজেকে কলকাতার হিন্দু সমাজের প্রধান নেতারূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।  
'''দেব, রাধাকান্ত''' (১৭৮৪-১৮৬৭)  একজন পন্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা। তাঁর পিতা গোপীমোহন দেব ছিলেন মহারাজ নবকৃষ্ণ দেবের দত্তক পুত্র ও উত্তরাধিকারী। নবকৃষ্ণ ছিলেন ফারসি ভাষায় দক্ষ এবং প্রকৃতপক্ষে তাঁর সময় থেকেই এ পরিবারের উন্নতি শুরু হয়। মেধা ও আকস্মিক পরিস্থিতির মাধ্যমে তিনি  [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]র একজন বিশ্বস্ত মুন্সি হন। [[ক্লাইভ, রবার্ট|ক্লাইভ]] ও [[হেস্টিংস, ওয়ারেন|ওয়ারেন হেস্টিংস]]-এর অধীনে তিনি চাকরি করেন এবং তাঁর বিশ্বস্ত ও অনুগত কাজের জন্য মহারাজা উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন। নবকৃষ্ণের দত্তক পুত্র গোপীমোহন অর্থ ও ভাগ্যের জোরে নিজেকে কলকাতার হিন্দু সমাজের প্রধান নেতারূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।  


রাধাকান্ত ছিলেন সংস্কৃত'', ''ফারসি ও আরবিতে দক্ষ পন্ডিত এবং ইংরেজিতেও তাঁর মোটামুটি ভালো জ্ঞান ছিল। তিনি আটখন্ডে সংস্কৃত ভাষার অভিধান শব্দকল্পদ্রুম প্রকাশ করেন। এর প্রথম খন্ড ১৮২২ সালে এবং শেষ খন্ড ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই অভিধান তাঁকে পন্ডিত হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দান করে এবং তিনি লন্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি ও ইউরোপের অন্যান্য বিদ্বৎ সমাজ দ্বারা সম্মানিত হন। রাধাকান্ত দেব সবসময়ই শিক্ষার উন্নয়ন, বিশেষত হিন্দুদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রবর্তনের প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। ১৮১৭ সালে কলকাতা [[১০৬৪১৮|হিন্দু কলেজ]] প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং ত্রিশ বছরেরও বেশি কাল ধরে তিনি এই কলেজের একজন সক্রিয় পরিচালক ছিলেন। বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রেও তিনি গভীর আগ্রহী ছিলেন। [[১০০৯০৭|কলকাতা স্কুল]][[১০০৯০৭|-বুক সোসাইটি]] (১৮১৭) এবং [[১০০৯০৬|কলকাতা স্কুল সোসাইটি]]র (১৮১৮) প্রতিষ্ঠা ও কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
রাধাকান্ত ছিলেন সংস্কৃত, ফারসি ও আরবিতে দক্ষ পন্ডিত এবং ইংরেজিতেও তাঁর মোটামুটি ভালো জ্ঞান ছিল। তিনি আটখন্ডে সংস্কৃত ভাষার অভিধান শব্দকল্পদ্রুম প্রকাশ করেন। এর প্রথম খন্ড ১৮২২ সালে এবং শেষ খন্ড ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই অভিধান তাঁকে পন্ডিত হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দান করে এবং তিনি লন্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি ও ইউরোপের অন্যান্য বিদ্বৎ সমাজ দ্বারা সম্মানিত হন। রাধাকান্ত দেব সবসময়ই শিক্ষার উন্নয়ন, বিশেষত হিন্দুদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রবর্তনের প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। ১৮১৭ সালে কলকাতা [[হিন্দু কলেজ|হিন্দু কলেজ]] প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং ত্রিশ বছরেরও বেশি কাল ধরে তিনি এই কলেজের একজন সক্রিয় পরিচালক ছিলেন। বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রেও তিনি গভীর আগ্রহী ছিলেন। [[কলকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি|]কলকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি] (১৮১৭) এবং [[কলিকাতা স্কুল সোসাইটি|কলিকাতা স্কুল সোসাইটি]]র (১৮১৮) প্রতিষ্ঠা ও কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।


তিনি নারী শিক্ষারও সমর্থক ছিলেন। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রাধাকান্ত অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড হর্টিকালচারাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৮৫১ সালে [[১০৪২৭৩|ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন]] প্রতিষ্ঠিত হলে রাধাকান্ত দেব এর সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।  
তিনি নারী শিক্ষারও সমর্থক ছিলেন। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রাধাকান্ত অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড হর্টিকালচারাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৮৫১ সালে [[ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন|ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন]] প্রতিষ্ঠিত হলে রাধাকান্ত দেব এর সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।  


শিক্ষার উন্নতিসাধনে অবদান রাখলেও রাধাকান্ত দেব ছিলেন সামাজিক রক্ষণশীলতার বলিষ্ঠ সমর্থক। সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রবক্তা [[১০৫১৯৫|রামমোহন রায় ]]এর (১৭৭৪-১৮৩৩) মতো উদারমনা হিন্দুদের বিরুদ্ধাচারণকারী গোঁড়া হিন্দু শ্রেণীর তিনি ছিলেন নেতা। ব্রিটিশ সরকারের অনুগত সমর্থক হলেও রাধাকান্ত জনগণের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। এ কারণে পরিবারে প্রচলিত না থাকলেও সরকার [[১০৫৭৭৯|সতী প্রথা]] উচ্ছেদের চিন্তা করলে তিনি ওই অমানুষিক প্রথার সমর্থনে এগিয়ে আসেন। ১৮২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক আইন বলে লর্ড উইলিয়ম [[১০৪১৭২|বেন্টিঙ্ক]] এর সরকার শেষপর্যন্ত সতীদাহ প্রথা রহিত করলে রাধাকান্তদেব তার রক্ষণশীল হিন্দু সঙ্গীদের নিয়ে ধর্মসভা নামে একটি সমিতি গঠন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের গোঁড়া শ্রেণীর পক্ষে গভর্নর জেনারেলের কাছে দরখাস্ত পেশ করে এই ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। [এ.এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ]
শিক্ষার উন্নতিসাধনে অবদান রাখলেও রাধাকান্ত দেব ছিলেন সামাজিক রক্ষণশীলতার বলিষ্ঠ সমর্থক। সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রবক্তা [[রায়, রাজা রামমোহন|রামমোহন রায় ]]এর (১৭৭৪-১৮৩৩) মতো উদারমনা হিন্দুদের বিরুদ্ধাচারণকারী গোঁড়া হিন্দু শ্রেণীর তিনি ছিলেন নেতা। ব্রিটিশ সরকারের অনুগত সমর্থক হলেও রাধাকান্ত জনগণের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। এ কারণে পরিবারে প্রচলিত না থাকলেও সরকার [[সতীদাহ প্রথা|সতীদাহ প্রথা]] উচ্ছেদের চিন্তা করলে তিনি ওই অমানুষিক প্রথার সমর্থনে এগিয়ে আসেন। ১৮২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক আইন বলে লর্ড উইলিয়ম [[বেন্টিঙ্ক, লর্ড উইলিয়ম|বেন্টিঙ্ক]] এর সরকার শেষপর্যন্ত সতীদাহ প্রথা রহিত করলে রাধাকান্তদেব তার রক্ষণশীল হিন্দু সঙ্গীদের নিয়ে ধর্মসভা নামে একটি সমিতি গঠন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের গোঁড়া শ্রেণীর পক্ষে গভর্নর জেনারেলের কাছে দরখাস্ত পেশ করে এই ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। [এ.এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ]


'''গ্রন্থপঞ্জি'''  AF Salahuddin Ahmed, ''Social Ideas and Social Change in Bengal , 1818-1835'', Leiden , 1965.
'''গ্রন্থপঞ্জি'''  AF Salahuddin Ahmed, ''Social Ideas and Social Change in Bengal, 1818-1835'', Leiden, 1965.
 
<!-- imported from file: দেব, রাধাকান্ত.html-->
 
[[en:Deb, Radhakanta]]


[[en:Deb, Radhakanta]]
[[en:Deb, Radhakanta]]

০৬:৫০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দেব, রাধাকান্ত (১৭৮৪-১৮৬৭)  একজন পন্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা। তাঁর পিতা গোপীমোহন দেব ছিলেন মহারাজ নবকৃষ্ণ দেবের দত্তক পুত্র ও উত্তরাধিকারী। নবকৃষ্ণ ছিলেন ফারসি ভাষায় দক্ষ এবং প্রকৃতপক্ষে তাঁর সময় থেকেই এ পরিবারের উন্নতি শুরু হয়। মেধা ও আকস্মিক পরিস্থিতির মাধ্যমে তিনি  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন বিশ্বস্ত মুন্সি হন। ক্লাইভওয়ারেন হেস্টিংস-এর অধীনে তিনি চাকরি করেন এবং তাঁর বিশ্বস্ত ও অনুগত কাজের জন্য মহারাজা উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন। নবকৃষ্ণের দত্তক পুত্র গোপীমোহন অর্থ ও ভাগ্যের জোরে নিজেকে কলকাতার হিন্দু সমাজের প্রধান নেতারূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

রাধাকান্ত ছিলেন সংস্কৃত, ফারসি ও আরবিতে দক্ষ পন্ডিত এবং ইংরেজিতেও তাঁর মোটামুটি ভালো জ্ঞান ছিল। তিনি আটখন্ডে সংস্কৃত ভাষার অভিধান শব্দকল্পদ্রুম প্রকাশ করেন। এর প্রথম খন্ড ১৮২২ সালে এবং শেষ খন্ড ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই অভিধান তাঁকে পন্ডিত হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দান করে এবং তিনি লন্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি ও ইউরোপের অন্যান্য বিদ্বৎ সমাজ দ্বারা সম্মানিত হন। রাধাকান্ত দেব সবসময়ই শিক্ষার উন্নয়ন, বিশেষত হিন্দুদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রবর্তনের প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। ১৮১৭ সালে কলকাতা হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং ত্রিশ বছরেরও বেশি কাল ধরে তিনি এই কলেজের একজন সক্রিয় পরিচালক ছিলেন। বাংলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রেও তিনি গভীর আগ্রহী ছিলেন। [[কলকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি|]কলকাতা স্কুল-বুক সোসাইটি] (১৮১৭) এবং কলিকাতা স্কুল সোসাইটির (১৮১৮) প্রতিষ্ঠা ও কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

তিনি নারী শিক্ষারও সমর্থক ছিলেন। ১৮১৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রাধাকান্ত অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড হর্টিকালচারাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হলে রাধাকান্ত দেব এর সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

শিক্ষার উন্নতিসাধনে অবদান রাখলেও রাধাকান্ত দেব ছিলেন সামাজিক রক্ষণশীলতার বলিষ্ঠ সমর্থক। সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রবক্তা রামমোহন রায় এর (১৭৭৪-১৮৩৩) মতো উদারমনা হিন্দুদের বিরুদ্ধাচারণকারী গোঁড়া হিন্দু শ্রেণীর তিনি ছিলেন নেতা। ব্রিটিশ সরকারের অনুগত সমর্থক হলেও রাধাকান্ত জনগণের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপের বিরোধী ছিলেন। এ কারণে পরিবারে প্রচলিত না থাকলেও সরকার সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদের চিন্তা করলে তিনি ওই অমানুষিক প্রথার সমর্থনে এগিয়ে আসেন। ১৮২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এক আইন বলে লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক এর সরকার শেষপর্যন্ত সতীদাহ প্রথা রহিত করলে রাধাকান্তদেব তার রক্ষণশীল হিন্দু সঙ্গীদের নিয়ে ধর্মসভা নামে একটি সমিতি গঠন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের গোঁড়া শ্রেণীর পক্ষে গভর্নর জেনারেলের কাছে দরখাস্ত পেশ করে এই ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। [এ.এফ সালাহউদ্দীন আহমেদ]

গ্রন্থপঞ্জি  AF Salahuddin Ahmed, Social Ideas and Social Change in Bengal, 1818-1835, Leiden, 1965.