ইছামতী নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''ইছামতী নদী''' (Ichamati River) বাংলাদেশে মোট চারটি [[নদী|নদী]] ইছামতী নামে পরিচিত। যথা- (১) জাফরগঞ্জের দক্ষিণে [[হুরাসাগর নদী|হুরাসাগর]]-এর মোহনার বিপরীত দিকে নাথপুর ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে মুন্সিগঞ্জের কাছে যোগিনীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এ নদী এক সময়ে পশ্চিম ঢাকার প্রধানতম নদী হিসেবে পরিচিত ছিল। এ নদীর তীরে আগলা, তীর্থঘাট, সোলপুর, বারুণীঘাট এবং যোগিনীঘাট এ পাঁচটি তীর্থঘাট বিদ্যমান। যোগিনীঘাট [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র]] ও ইছামতীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। (২) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে রায়তার কাছে [[গঙ্গা নদী|গঙ্গা]] নদী থেকে বের হয়ে প্রথমে পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণে বেঁকে গিয়ে কুষ্টিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ইছামতী নামে পরিচিত। দর্শনার কাছে ভারতে প্রবেশ করে পরে বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা বরাবর দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কাছে এ নদী কালিন্দী নাম ধারণ করেছে এবং হাড়িয়াভাঙ্গা নামে [[বঙ্গোপসাগর|বঙ্গোপসাগর]]এ পড়েছে। (৩) আবার দিনাজপুরেও ইছামতী নামে একটি নদী রয়েছে যা বর্তমানে ওই এলাকায় তুলসীগঙ্গা নামে পরিচিত। [[রেনেল, জেমস|জেমস রেনেল]] তাঁর মানচিত্রে যেভাবে নদীটিকে এঁকেছেন তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঢাকার ইছামতী ও দিনাজপুরের ইছামতী অভিন্ন। (৪) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়াতে কর্ণফুলি নদীর একটি উপনদীর নামও ইছামতী। [ | '''ইছামতী নদী''' (Ichamati River) বাংলাদেশে মোট চারটি [[নদী|নদী]] ইছামতী নামে পরিচিত। যথা- (১) জাফরগঞ্জের দক্ষিণে [[হুরাসাগর নদী|হুরাসাগর]]-এর মোহনার বিপরীত দিকে নাথপুর ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে মুন্সিগঞ্জের কাছে যোগিনীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এ নদী এক সময়ে পশ্চিম ঢাকার প্রধানতম নদী হিসেবে পরিচিত ছিল। এ নদীর তীরে আগলা, তীর্থঘাট, সোলপুর, বারুণীঘাট এবং যোগিনীঘাট এ পাঁচটি তীর্থঘাট বিদ্যমান। যোগিনীঘাট [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র]] ও ইছামতীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। (২) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে রায়তার কাছে [[গঙ্গা নদী|গঙ্গা]] নদী থেকে বের হয়ে প্রথমে পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণে বেঁকে গিয়ে কুষ্টিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ইছামতী নামে পরিচিত। দর্শনার কাছে ভারতে প্রবেশ করে পরে বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা বরাবর দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কাছে এ নদী কালিন্দী নাম ধারণ করেছে এবং হাড়িয়াভাঙ্গা নামে [[বঙ্গোপসাগর|বঙ্গোপসাগর]]এ পড়েছে। (৩) আবার দিনাজপুরেও ইছামতী নামে একটি নদী রয়েছে যা বর্তমানে ওই এলাকায় তুলসীগঙ্গা নামে পরিচিত। [[রেনেল, জেমস|জেমস রেনেল]] তাঁর মানচিত্রে যেভাবে নদীটিকে এঁকেছেন তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঢাকার ইছামতী ও দিনাজপুরের ইছামতী অভিন্ন। (৪) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়াতে কর্ণফুলি নদীর একটি উপনদীর নামও ইছামতী। [তাহমিনা আহমেদ] | ||
''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[নদী|নদী]], [[নদী ও নিষ্কাশন প্রণালী|নদী ও নিষ্কাশন প্রণালী]]। | ''মানচিত্রের জন্য দেখুন'' [[নদী|নদী]], [[নদী ও নিষ্কাশন প্রণালী|নদী ও নিষ্কাশন প্রণালী]]। | ||
[[en:Ichamati River]] | [[en:Ichamati River]] |
০৮:৪০, ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ইছামতী নদী (Ichamati River) বাংলাদেশে মোট চারটি নদী ইছামতী নামে পরিচিত। যথা- (১) জাফরগঞ্জের দক্ষিণে হুরাসাগর-এর মোহনার বিপরীত দিকে নাথপুর ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উৎপন্ন হয়ে মুন্সিগঞ্জের কাছে যোগিনীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এ নদী এক সময়ে পশ্চিম ঢাকার প্রধানতম নদী হিসেবে পরিচিত ছিল। এ নদীর তীরে আগলা, তীর্থঘাট, সোলপুর, বারুণীঘাট এবং যোগিনীঘাট এ পাঁচটি তীর্থঘাট বিদ্যমান। যোগিনীঘাট ব্রহ্মপুত্র ও ইছামতীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। (২) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে রায়তার কাছে গঙ্গা নদী থেকে বের হয়ে প্রথমে পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণে বেঁকে গিয়ে কুষ্টিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ইছামতী নামে পরিচিত। দর্শনার কাছে ভারতে প্রবেশ করে পরে বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা বরাবর দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কাছে এ নদী কালিন্দী নাম ধারণ করেছে এবং হাড়িয়াভাঙ্গা নামে বঙ্গোপসাগরএ পড়েছে। (৩) আবার দিনাজপুরেও ইছামতী নামে একটি নদী রয়েছে যা বর্তমানে ওই এলাকায় তুলসীগঙ্গা নামে পরিচিত। জেমস রেনেল তাঁর মানচিত্রে যেভাবে নদীটিকে এঁকেছেন তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, ঢাকার ইছামতী ও দিনাজপুরের ইছামতী অভিন্ন। (৪) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়াতে কর্ণফুলি নদীর একটি উপনদীর নামও ইছামতী। [তাহমিনা আহমেদ]
মানচিত্রের জন্য দেখুন নদী, নদী ও নিষ্কাশন প্রণালী।