রূপচাঁদ পক্ষী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
রূপচাঁদের জীবিতকালে তাঁর গানের সংকলন সঙ্গীতরসকল্লোল প্রকাশিত হয়। পাঁচালি, আখড়াই, ঢপ, [[যাত্রা|যাত্রা]], কবিগান, গাজনের সঙ প্রভৃতি নানা ধরনের ২১১টি গান এতে স্থান পায়। ভণিতায় তিনি ‘পক্ষী’, ‘খগবর’, ‘খগরাজ’ প্রভৃতি নাম ব্যবহার করেছেন। উপরন্তু সঙ্গীতজীবনের শুরুতে তিনি ‘পক্ষীর জাতিমালা’ নামে একটি সখের পাঁচালি দলও গঠন করেন। এসব কারণে তিনি রূপচাঁদ পক্ষী নামেই পরিচিত হন। | রূপচাঁদের জীবিতকালে তাঁর গানের সংকলন সঙ্গীতরসকল্লোল প্রকাশিত হয়। পাঁচালি, আখড়াই, ঢপ, [[যাত্রা|যাত্রা]], কবিগান, গাজনের সঙ প্রভৃতি নানা ধরনের ২১১টি গান এতে স্থান পায়। ভণিতায় তিনি ‘পক্ষী’, ‘খগবর’, ‘খগরাজ’ প্রভৃতি নাম ব্যবহার করেছেন। উপরন্তু সঙ্গীতজীবনের শুরুতে তিনি ‘পক্ষীর জাতিমালা’ নামে একটি সখের পাঁচালি দলও গঠন করেন। এসব কারণে তিনি রূপচাঁদ পক্ষী নামেই পরিচিত হন। | ||
ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত রঙ্গরসের গান রচনায় তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না। ‘লেট মি গো ওরে দ্বারী/ আই ভিজিট টু বংশীধারী’, ‘আমারে ফ্রেন্ড করে কালিয়া শ্যাম তুই কোথা গেলি।’ তাঁর এরূপ গানের দুটি নমুনা। ‘মাথুর-সখী-সংবাদ’ গানেও এরূপ ভাষার ব্যবহার করে তিনি লোকমনে যথেষ্ট কৌতুক সঞ্চার করতেন। অবশ্য অবিমিশ্র বাংলা ভাষায় গান রচনা করেও রূপচাঁদ কবিত্বশক্তি, ভাষাজ্ঞান ও সুরুচির পরিচয় দিয়েছেন। | ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত রঙ্গরসের গান রচনায় তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না। ‘লেট মি গো ওরে দ্বারী/ আই ভিজিট টু বংশীধারী’, ‘আমারে ফ্রেন্ড করে কালিয়া শ্যাম তুই কোথা গেলি।’ তাঁর এরূপ গানের দুটি নমুনা। ‘মাথুর-সখী-সংবাদ’ গানেও এরূপ ভাষার ব্যবহার করে তিনি লোকমনে যথেষ্ট কৌতুক সঞ্চার করতেন। অবশ্য অবিমিশ্র বাংলা ভাষায় গান রচনা করেও রূপচাঁদ কবিত্বশক্তি, ভাষাজ্ঞান ও সুরুচির পরিচয় দিয়েছেন। [ওয়াকিল আহমদ] | ||
[ওয়াকিল আহমদ] | |||
[[en:Rupchand Pakshi]] | [[en:Rupchand Pakshi]] |
০৪:২৭, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
রূপচাঁদ পক্ষী (১৮১৫-১৮৯০) গীতিকার, গায়ক। তাঁদের আদি নিবাস ছিল উড়িষ্যার চিল্কা হ্রদের তীরবর্তী অঞ্চলে। পিতা গৌরহরি দাস মহাপাত্র কর্মস্থল কলকাতায় বসবাস করতেন। রূপচাঁদ সেখানেই বড় হন এবং হেয়ার স্কুলে শিক্ষালাভ করেন। স্বভাবকবির ধর্ম ও সুকণ্ঠ গায়কের প্রতিভা নিয়ে তিনি সঙ্গীত-জগতে প্রবেশ করেন এবং তৎকালে প্রচলিত পাঁচালি, কবিগান, আখড়াই ও ঢপ জাতীয় গান গেয়ে লোকপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এর আগে তিনি কলকাতার বিখ্যাত ছোটে মিঞা, ছুটি খাঁ, রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, তবলচি গোলাম মহাববাস, সেতারী পন্নু মিঞা প্রমুখের নিকট কালোয়াতি সঙ্গীত ও যন্ত্রসঙ্গীত অভ্যাস করেন। রাধাকৃষ্ণলীলা ও আগমনীবিষয়ক ভক্তিরস, দেহতত্ত্ব ও নীতিমূলক গান ছাড়াও সমকালের ঘটনাবলি অবলম্বনে রঙ্গব্যঙ্গ ও কৌতুক রসের গান রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন; তবে আগমনী গানেই তিনি অধিকতর দক্ষতার পরিচয় দেন। রঙ-তামাসার হাল্কা রসের এসব গানের মাধ্যমে তিনি কলকাতার সব শ্রেণির শ্রোতাকে মাতিয়ে তুলতেন।
রূপচাঁদের জীবিতকালে তাঁর গানের সংকলন সঙ্গীতরসকল্লোল প্রকাশিত হয়। পাঁচালি, আখড়াই, ঢপ, যাত্রা, কবিগান, গাজনের সঙ প্রভৃতি নানা ধরনের ২১১টি গান এতে স্থান পায়। ভণিতায় তিনি ‘পক্ষী’, ‘খগবর’, ‘খগরাজ’ প্রভৃতি নাম ব্যবহার করেছেন। উপরন্তু সঙ্গীতজীবনের শুরুতে তিনি ‘পক্ষীর জাতিমালা’ নামে একটি সখের পাঁচালি দলও গঠন করেন। এসব কারণে তিনি রূপচাঁদ পক্ষী নামেই পরিচিত হন।
ইংরেজি-বাংলা মিশ্রিত রঙ্গরসের গান রচনায় তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না। ‘লেট মি গো ওরে দ্বারী/ আই ভিজিট টু বংশীধারী’, ‘আমারে ফ্রেন্ড করে কালিয়া শ্যাম তুই কোথা গেলি।’ তাঁর এরূপ গানের দুটি নমুনা। ‘মাথুর-সখী-সংবাদ’ গানেও এরূপ ভাষার ব্যবহার করে তিনি লোকমনে যথেষ্ট কৌতুক সঞ্চার করতেন। অবশ্য অবিমিশ্র বাংলা ভাষায় গান রচনা করেও রূপচাঁদ কবিত্বশক্তি, ভাষাজ্ঞান ও সুরুচির পরিচয় দিয়েছেন। [ওয়াকিল আহমদ]