অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৭:৫০, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা  ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। কালপ্রবাহে এটি প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র অফিসারদের মিলনস্থল হয়ে উঠে। এছাড়া ব্যাংক, বীমা এবং সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও এর সদস্য হতে পারেন। সাড়ে চার একর জমির উপর অফিসার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠিত। একটি নির্বাহী কমিটি ক্লাবটি পরিচালনা করে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব নির্বাহী কমিটির সভাপতি। প্রতি দুই বছর অন্তর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির সদস্যগণ নির্বাচিত হন। ক্লাবের একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, হলঘর, পেভিলিয়ন, সুইমিংপুল, হেলথক্লাব ও তিনটি টেনিস কোর্ট আছে। ক্লাবে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড, তাস, দাবা এবং অন্যান্য ইনডোর খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। ক্লাব চাঁদার ভিত্তিতে মাঝে মাঝে ডিনারের আয়োজন করে থাকে। এছাড়া ক্লাব হাউজি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে। ক্লাবের রয়েছে একটি মহিলা কমিটি। এই কমিটির প্রধান হলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্ত্রী। এই কমিটি সমাজকল্যাণমূলক কাজ ও সামাজিক অনুষ্ঠান করে থাকে। সভা, সম্মেলন, বিবাহ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য ক্লাবের হলঘর, পেভিলিয়ন ও অন্যান্য স্থান ভাড়া দেওয়া হয়।

শুরুতে ক্লাবের ২৭ জন সদস্য ছিল। এর বর্তমান সদস্যসংখ্যা ৩০০০। নির্দিষ্ট মানদন্ডের ভিত্তিতে যোগ্য বিবেচিত হলে যে কোনো অফিসার ক্লাবের সদস্য হতে পারেন। ক্লাব দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং মহান  মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সভার আয়োজন করে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, নববর্ষ,  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, জাতীয় শোক দিবস, নজরুল-রবীন্দ্র জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী এবং ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সদস্যদের বিনোদনের জন্য ক্লাব প্রতিবছর নৌভ্রমণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ক্লাব সবসময় এগিয়ে যায়। সরকারের ত্রাণ তহবিলেও ক্লাব অর্থসাহায্য প্রদান করে।  [রণজিৎ বিশ্বাস]