খেলাধুলা

খেলাধুলা মানসিক আনন্দ প্রদান ছাড়া দৈহিক বৃদ্ধি এবং শারীরিক সুস্থতার অন্যতম উৎস। যান্ত্রিক সভ্যতার পূর্বে মানুষ দু-পায়ের শক্তিতে ভর করে মাইলের পর মাইল হেঁটে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াতে অভ্যস্থ ছিল। গ্রীক নগর-রাষ্ট্রে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা খুব জনপ্রিয় ছিল। তারা নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করত। পরবর্তীতে এ ধারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন নতুন খেলাধুলার উদ্ভাব ঘটে। উনিশ শতকে খেলাধুলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ব্যরন পিয়ারে দ্যা কুবার্তো প্রবর্তন করেন বিশ্ব অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। ১৮৯৬ সালে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃমহাদেশীয় প্রতিযোগিতা। প্রথমবার শুধুমাত্র ম্যারথন দৌড়ের মধ্য দিয়ে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা শেষ হয়। এভাবে খেলাধুলা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়।

বাংলাদেশের খেলাধুলা  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের খেলাধুলার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি উদ্যোগে ১৯৭২ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ড (বিএসসিবি)। এ সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় খেলার ফেডারেশন গঠিত হয়। যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, হ্যান্ডবল, দাবা, ক্যারম এর মতো বহুল প্রচলিত খেলার ফেডারেশন। তেমনি রয়েছে কুস্তি, ভারোত্তলন, স্কোয়াশ, বিলিয়ার্ড, স্নুকার প্রভৃতির মতো কম জনপ্রিয় খেলার ফেডারেশন। ক্রীড়া উন্নয়নে সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় খেলার জাতীয় ফেডারেশন গঠন করা হয়। যেমন- এ্যাথলেটিকস্, ফুটবল, ভলিবল, হকি, সাঁতার, কাবাডি, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি, শরীর গঠন, সা্ইক্লিং, বক্সিং, ভারত্তোলন, বাস্কেটবল, জুডো ও শুটিং। এছাড়া খো-খো, তায়কোয়ানডো, ঘুড়ি ওড়ানো, ব্রীজ, বিলিয়ার্ড ও সুকার, বধির ক্রীড়া ফেডারেশন, কারাতে, গলফ্, নৌকা বাইচ, আরচ্যারি বা তীরন্দাজ, রোলার স্কেটিং, হ্যান্ডবল, এবং স্কোয়াশ এর মতো ফেডারেশন।

দেশে স্বচ্ছন্দভাবে খেলাধুলার উন্নতির জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নামে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনেখেলাধুলার বিস্তারের জন্য বিএসসিবিকে পরবর্তীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (National Sports Council)এ রূপান্তরিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের বহু ক্রীড়াবিদ আন্তঃপ্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে এসব প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে অনেকে জাতীয় দলে স্থান পেয়েছেন। সরকার ভবিষ্যৎ খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদ তৈরির জন্য ঢাকার অদূরে সাভারে জাতীয় ক্রীড়া শিক্ষা কেন্দ্র (National Sports Education Centre) প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশের গ্রামঞ্চালে যেসব ঐতিহ্যবাহী খেলা খুব জনপ্রিয় তাহলো হা-ডু-ডু, গোল্লছুট, বৌছি, ঘোড়দৌড়, মোরগ লড়াই, ষাঁড় দৌড়, নৌকা বাইছ এবং অন্যান্য জনপ্রিয় খেলাগুলি হলো এ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ভলিবল, হকি, ক্রিকেট, সাঁতার, কাবাডি, বাস্কেটবল, টেনিস, ভলিবল ও রেসলিং ইত্যাদি।

খেলাধুলার প্রকারভেদ  সারা বিশ্বে নানা ধরনের খেলাধুলা রয়েছে যেগুলি বড় বড় প্রতিযোগিতা যেমন, অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলানো হয়। এক্ষেত্রে খেলাধুলাকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করা যায় যেমন, ইনডোর ও আউটডোর খেলা।

ইনডোর খেলা মাল্টিজীম বা নির্দিষ্ট হলরুমে অনুষ্ঠিত খেলাকে ইনডোর খেলা বলা হয়। যেমন ভলিবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল টেবিলটেনিস, ব্যাডমিন্টন, জুডো, কারাতে, জিমন্যাস্টিকস্, তায়কোয়ানডো, বিলিয়ার্ড অ্যান্ড সুকার, বোলিং, ফেন্সিং, ওয়েটলিফটিং, বডি-বিল্ডিং, রেসলিং ইত্যাদি। বর্তমানে আউটডোরের অনেক খেলা যেমন সুইমিং ও হকি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ইনডোর খেলার জন্য সংশ্লিষ্ঠ খেলা উপযোগী তাপমাত্রা ও ছাদের নির্দিষ্ট উচ্চতা রাখা হয়।

আউটডোর খেলা বিশেষভাবে ফুটবল, বেসবল, ক্রিকেট, হকি, আরচ্যারি, সাঁতার, এ্যাথলেটিকস্, হর্স রাইডিং, গলফ, কার রেসিং, সেইলিং, শুটিং ইত্যাদি খেলাগুলি আউটডোরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জনপ্রিয়তার কারণে এগুলি বিশাল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

জনপ্রিয়  খেলাধুলা  প্রাচীনকালে মল্লযুদ্ধ বা কুস্তি, হর্স রাইডিং, পোলো খেলা, তাস খেলা জনপ্রিয় খেলা হিসাবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে ফুটবল, ক্রিকেট, কার-রেসিং, কুস্তি, টেনিস, খেলাগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে মহাদেশ বা এলাকা ভেদে কোনো কোনো খেলার জনপ্রিয়তা অত্যাধিক বলে ধরা হয়। যেমন ক্রিকেট খেলা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে জনপ্রিয়। একইভাবে ইউরোপে ফুটবল খেলা ব্যাপক জনপ্রিয়। আমেরিকাতে বাস্কেটবল এবং বেসবল খেলার জনপ্রিয়তা ব্যাপক।

খেলাধুলা ও লেখাপড়া  খেলাধুলা চর্চার মধ্য দিয়ে যুবসমাজের মানসিক বিকাশ ঘটে এবং তারা লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে জীবনে সাফল্য পেতে পারে। একজন সুস্থ ছাত্র লেখাপড়ায় অধিকতর মনোযোগী হতে পারে। খেলাধুলা একটি নিয়মের মধ্যে চর্চা করলে লেখাপড়াও ভালো করা সম্ভব।

খেলাধুলা ও সামাজিক বন্ধন  ১৮৯৬ সালে আধুনিক অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হওয়ার প্রতি ৪ বছর অন্তর এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। বিশ্বের প্রায় সবদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করছে। বিশ্বের সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ফলে বর্ণবাদ দূর হয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়।

খেলাধূলা ও পরিবেশ উন্নয়ন খেলার আসর যখন বসে তখন প্রতিযোগীদের বরণ করার জন্য তৈরি হয় খেলার স্থাপনা ও বাসস্থান। আর তখন খেলার মাঠ, তার চারপাশসহ ওই শহর-বন্দর এমনকি গোটা দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার আওতায় এনে নতুন সাজে সাজানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়।

খেলাধুলা ও জনসেবা একজন বিখ্যাত ও তারকা খেলোয়াড় সমাজে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিগণিত হয়। তিনি জাতিসংঘের ব্রান্ড অ্যামব্যাস্যাডর হিসাবে দেশে দেশে শান্তিশৃংখলা ও মহৎ কাজের ধারণা প্রচার করছে। নিকট অতীতে পেলে, জিনেদিন জিদান, ম্যারাডোনা, বুবকা, মোহাম্মদ আলীসহ অনেক তারকা খেলোয়াড় মানুষকে ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করতে প্রেরণা যুগিয়েছেন।

ক্রীড়া ও বাণিজ্য  বর্তমান বিশ্বে ক্রীড়ার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নানারকম বাণিজ্য বিস্তার লাভ করেছে। আধুনিক বিশ্বে একজন পেশাদার খেলোয়াড় প্রতিসপ্তাহে কয়েক হাজার ডলার আয় করে। যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপে টান্সফার ফি হিসেবে একজন খেলোয়াড় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করে। যখন কোন জনপ্রিয় খেলা, বিশ্ব অলিম্পিক প্রতিযোগিতা বা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় তখন ব্যবসায়ীরা ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী নিয়ে দর্শকদের সামনে উপস্থিত করে। তারা পণ্যসামগ্রীর বিক্রি বাড়াতে বিশ্বের তারকা খেলোয়াড়দেরকে মডেল হিসাবে ব্যবহার করে। বর্তমানে টেলিভিশনের বদৌলতে দর্শক যখন টেলিভিশনের পর্দায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত খেলা দেখতে জড়ো হয়, তখনই পর্দায় ক্রীড়াবিষয়ক ও অনান্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এভাবে ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রির চাহিদা তৈরিতে এবং ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে বড় বড় ক্রীড়ানুষ্ঠানকে বেছে নেয়। তারা মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে বা বহিরে এমনকি রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর প্রচারের জন্য ব্যানার, ফেস্টুন এবং বিভিন্ন ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে।

ক্রীড়া ও দর্শক  যে কোন ক্রীড়া অনুষ্ঠান বা ক্রীড়ার প্রাণ হলো দর্শক। ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে যখন ক্রীড়াবিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় তার সফলতা নির্ভর করে যদি ওই খেলা দেখার জন্য ষ্টেডিয়ামটি দশর্ক দ্বারা পূর্ণ হয়। সাম্প্রতিককালে বড় বড় ক্রীড়ানুষ্ঠান উপভোগের জন্য দর্শকরা মাঠে চলে যান। নিজ দেশের খেলা থাকলে নিজ দলকে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিভিন্ন রকমের ব্যানার, ফেস্টুন, বাঁশি এমনকি গায়ে দলের পোশাক পরে মাঠে উপস্থিত হয়। ঢোল বা বাদ্য বাজানোর উপকরণ, মুখে দেশের পতাকা এঁকে নিজেদের আনন্দ উপভোগে নিয়োজিত করার পাশাপাশি অন্যদেরকেও আনন্দ দেয়।

ক্রীড়া ও সংগঠক  ক্রীড়া সংগঠক ব্যতীত কোন খেলা আয়োজন সফল হয়না। একটি খেলা আয়োজনে আর্থিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে খেলার স্থান, আবাসন, আয়োজন, নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়াদি ক্রীড়া সংগঠকরা করে থাকে। ক্রীড়া সংগঠকরা শুধু ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনই করেনা বরং ক্রীড়াবিদ তৈরি, দলগঠন, ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের কাজ করে।

খেলাধুলা ও বীরের মর্যাদালাভ  বিশ্ব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একটি পদক অর্জন ক্রীড়াবিদ এবং দেশকে সম্মানিত ও গৌরান্বিত করে। এই বিরল সম্মান একমাত্র খেলাধুলাই প্রদান করে থাকে। সেদিক থেকে বিচার করলে খেলাধুলা জীবনের এক অমূল্য সম্পদ হতে পারে যদি এর সঠিক চর্চা করা যায়। বর্তমান যুগে বিশ্বের প্রতিটি দেশ তাদের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে খেলাধুলায় যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত।

ক্রীড়া ও কলা  বর্তমানে ললিত কলার সাথে খেলাধুলাকেও স্থান দেওয়া হয়। ক্রীড়া শৈলীর প্রধান বিষয় হলো শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিভিমচ আঙ্গিকে প্রদর্শন করে দর্শকদের একটি নান্দনিক কিছু উপহার দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- জিমন্যাস্টিকস্, এ্যারোবিকস, ক্যালেসথেনিকস্, সুইমিং, সিনক্রোনাইজিং সুইমিং-এ খেলোয়াড় যখন বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের বাহারি প্রদর্শন করে, তার মধ্যে এক ধরনের ছন্দ ও ক্রীড়া কৌশলগত আবহ তৈরি হয় যা দর্শকদের মনোরঞ্জনে নতুন মাত্রা এনে দেয়।

ক্রীড়া ও শৃংখলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সুন্দর ও প্রাণবন্ত করতে প্রয়োজন বিচারকের। প্রত্যেক খেলার জন্য রয়েছে নিজ নিজ আইনকানুন। খেলায় যাতে কোন রকম অসদুপায় করে জয়লাভ করার প্রবণতা না থাকে সেজন্য আইনকানুন দিয়ে তা রহিত করা হয়। আর এই আইনকানুন মেনে সব খেলোয়াড়কে খেলায় অংশ নিতে হয়। খেলধুলায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তারকা খেলোয়াড় হতে বা সুনাম অর্জন করতে শৃংখলাবোধের চর্চা শতভাগ প্রয়োজন।

ক্রীড়া ও বিজ্ঞান আধুনিক প্রযুক্তি খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ক্রীড়া সংগঠকদের অনেক উপকারে আসছে। খেলোয়াড় সংগ্রহ থেকে শুরু করে তাদের বাছাই প্রক্রিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যার ফলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। সুতরাং বিজ্ঞান সম্মত প্রশিক্ষণ দিতে প্রযুক্তিগত সব ধরনের সুবিধাদি কাজে লাগছে।

খেলাধুলা ও মিডিয়া বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের কল্যাণে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খেলা ঘরে বসে উপভোগ করা যায়।  স্পোর্টস চ্যানেলগুলি সব ধরনের খেলা সম্প্রচার করে। বর্তমানে খেলাধুলার উন্নয়নে মিডিয়া বড় ভূমিকা পালন করছে।

ক্রীড়া ও ডোপিং অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় কিছু ক্রীড়াবিদ জয়লাভের জন্য নিষিদ্ধ বলবর্ধক ঔষধ সেবন করে। এই প্রবণতা প্রতিরোধে বিশ্ব ক্রীড়া সংস্থা বিশেষ করে আইওসি (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) গঠন করেছে ওয়াদা (ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং এ্যাসোসিয়েশন)।

খেলাধুলা ও নারী বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা দেশের সকল বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় মহিলাদের জন্য এ্যাথলেটিকস, ভলিবল, হকি, সাঁতার, কাবাডি, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও জুডো প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। তারা নিয়মিত ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলাও অনুশীলন করে। [শফিক আনোয়ার]