ছাত্র রাজনীতি
ছাত্র রাজনীতি উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ছাত্র রাজনীতি বাংলার রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে। বিশ শতকের প্রথম পাদে বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পরিগ্রহ করে। তবে এর আগে যে ছাত্র রাজনীতি একেবারেই ছিল না তা বলা যাবে না। পাশ্চাত্য শিক্ষার একটি বৌদ্ধিক প্রতিক্রিয়া হলেও তৎকালীন ইয়ং বেঙ্গল ছিল ছাত্রদেরই একটি আন্দোলন। এটি ছিল মূলত প্রচলিত নিয়মাচারের প্রতি এক ধরনের বিদ্রোহ। কিন্তু ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী সামাজিক ও অন্যান্য ব্যাপারেও আগ্রহী ছিল, যেগুলি পরবর্তীকালে রাজনীতির অংশ হয়ে ওঠে। উনিশ শতকের সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা সঞ্চারের লক্ষ্যে একটি ছাত্রসংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। একই সময়ে আনন্দমোহন বসু ছাত্রদের রাজনীতিতে যোগদানের আহবান জানান এবং ছাত্রদের রাজনীতি বিষয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদান শুরু করেন। কিন্তু বিদ্যমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি, বিশেষত স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের কড়া শাসন ছিল ছাত্রদের রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠার পথে প্রধান বাধা। এ ছাড়া উনিশ শতকের শেষভাগের পূর্ব পর্যন্ত উপনিবেশিক সরকারের একটি চাকুরির জন্য কিছুটা বিদ্যার্জন ছিল সকল শ্রেণীর ছাত্রের সর্বোচ্চ উচ্চাভিলাষ।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছাত্রদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণে প্রণোদনা জোগায়। জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের উদ্যোগে নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি গঠিত হওয়ার আগে বাঙালি ছাত্রদের কোনো নিজস্ব সংগঠন ছিল না। এ সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে প্রমোদ কুমার ঘোষাল এবং যাদবপুর (জাতীয়) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ও ছাত্র পত্রিকার সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, আর অতিথি বক্তা ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। সংস্থার গঠনতন্ত্রের কাঠামো ছিল কংগ্রেসের আদলে তৈরি। একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও ১৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে সমিতির কাঠামো গঠিত হয়। গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত না থাকলেও কার্যত নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি ছিল কংগ্রেসের ছাত্রফ্রন্ট।
বিশ শতকের বিশের দশকের রাজনীতিতে মুসলিম ছাত্রদের অংশগ্রহণ প্রায় ছিলই না। মুসলিম অভিভাবক ও নেতারা তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার পক্ষপাতী ছিলেন। তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের উদ্যোগে গঠিত নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকা শহরের কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী নিজেদের একটি ছাত্রসংগঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। ফলত ১৯৩০ সালের ১২ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুসলিম ছাত্রদের একটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্কে একটি মুসলিম ছাত্র সমিতি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং ১৯৩২ সালে নিখিলবঙ্গ মুসলিম ছাত্র সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা ছিল এ ছাত্রসংগঠনের ঘোষিত নীতি। ইতঃপূর্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লে. কর্নেল এইচ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু মুসলিম ছাত্রদের এ সংগঠনটি আসলে মুসলিম রাজনৈতিক নেতারাই পরিচালনা করতেন এবং তাদের নানা দল-উপদল এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। এভাবেই অভিন্ন সংগঠনভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও টেইলর হোস্টেল ও কারমাইকেল হোস্টেলের ছাত্ররা যথাক্রমে মুসলিম লীগ ও কৃষক-প্রজা পার্টি এ দুটি রাজনৈতিক দলের অনুগামী হিসেবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৩৭ সালে সাধারণ নির্বাচনকালে এ ধারা আরও ঘনীভূত হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৩৭ সালে গঠন করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন এবং ওই বছরই কলকাতায় এর বঙ্গীয় শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের আগে খুব কমসংখ্যক মুসলিম ছাত্রই এসব রাজনৈতিক সংগঠনে আগ্রহী ছিল।
কিন্তু ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর এবং জিন্নাহর নেতৃত্বে বাংলায় মুসলিম লীগের বিস্তার ঘটলে ছাত্ররা মুসলিম লীগ নেতাদের অনুগামী হয়ে ওঠে। কলকাতায় ইস্পাহানি ও ঢাকায় খাজাদের ভবনগুলি ছাত্রদের ওপর মুসলিম লীগের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৯৩৮ সালে বাংলায় অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নামকরণ হয় অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ। পুনর্গঠিত এ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে ঢাকার আবদুল ওয়াসেক ও যশোরের শামসুর রহমান। এ মুসলিম স্টুডেন্টস লীগই পূর্ববাংলার মুসলিম ছাত্রদের ব্যাপকভাবে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করে। ঢাকার নবাব ছিলেন সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক। মুসলিম স্টুডেন্টস লীগই পাকিস্তান আন্দোলনে ছাত্রদের ব্যাপক যোগদান নিশ্চিত করেছিল।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বিশেষত ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে জিন্নাহর ঘোষণার পর মুসলিম ছাত্রলীগের ওপর খাজা পরিবারের প্রভাব লোপ পায়। মুসলিম লীগের খাজাবিরোধী উপদলটি অল বেঙ্গল মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ থেকে বেরিয়ে ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ গঠন করে। এ বছরই শুরু হয় ভাষা আন্দোলন এবং তাতে নেতৃত্ব দেয় এ ছাত্রলীগ। এ জাতীয় আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান সুজ্ঞাত ও সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু ভাষাসমস্যার সমাধান হলেও ছাত্র আন্দোলন থামে নি। বিভাগোত্তর রাজনীতিতে জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিকদের যতগুলি উপদল গড়ে উঠেছিল ছাত্রসংগঠনও ছিল ঠিক ততগুলিই। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও উপদল নিজস্ব ছাত্রফ্রন্ট গড়ে তুলতে চাইত। ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলায় বাম রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত স্টুডেন্টস ফোর্স ও ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের আগে ও পরে মুসলিম লীগ ও অন্যান্য দক্ষিণপন্থী উপদলগুলোকে সর্মথন করত।
১৯৬৮-১৯৭১ সময়কাল ছিল ছাত্র রাজনীতির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বিশ শতকের ষাটের দশকের গোড়ার দিকের রাজনৈতিক পটভূমিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নানা উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়লে ছাত্রসংগঠনগুলোতেও অনুরূপ বিভক্তি দেখা দেয়। ছাত্রদের এ বিভক্তির দরুন জনসমক্ষে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে থাকে।
তারপরই ঘটল ১৯৬৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের যুগান্তকারী ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ছয়দফা কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু হলে ছয়দফা সমর্থন ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদের মধ্যে এক নজিরহীন ঐক্য গড়ে ওঠে। এ লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে সকল ছাত্রসংগঠন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এবং জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১-দফা দাবিনামা উপস্থাপন করে। পরিষদ গোড়ার দিকে ১১-দফা দাবির জন্য আন্দোলন করলেও পরবর্তীকালে ছাত্রনেতারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেন। পরিষদের নেতারা জাতীয়তাবাদী অর্থে ‘বাংলাদেশ’ নাম ব্যবহার করেন। তারা ‘জয় বাংলা’ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জাতীয় স্লোগান ও প্রতীক উদ্ভাবন করেন।
১৯৬৯ সালের গোড়ার দিকের যে গণ-অভ্যুত্থান আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তিদানে বাধ্য করে, তা ছিল প্রধানত সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দ্বারাই সংগঠিত। ফলত এ পরিষদ দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়। মুক্তিলাভের পর শেখ মুজিবুর রহমান এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রদের এ প্রভাবকে স্বীকৃতি দেন।
ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে এ প্রথম ছাত্রসমাজ একটি স্বাধীন অবস্থান অর্জন করে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তা ও কর্মকান্ডের স্বাক্ষর রাখে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চের পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ তারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। পরদিন তারা পল্টন ময়দানে এক বিরাট জনসভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা করে। একই সভায় ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়। তারপরই শুরু হয় জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে জনগণকে সংগঠিত করার এক উদ্যোগ। শেখ মুজিবের সাতই মার্চের ভাষণ ছিল ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ।
ছয়দফা রাজনীতির আওতায় ২ মার্চ থেকে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ অসহযোগ আন্দোলন সংগঠনে আত্মনিয়োগ করে। ছাত্রদের এ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন এতই ব্যাপক ও বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি এতটাই সম্মোহক হয়ে উঠেছিল যে তাতে ছয়দফা ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্যে এক প্রতীকী সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চের মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণ ৩ মার্চ ছাত্রদের স্বাধীনতা ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল বস্ত্তত ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীনতা ঘোষণারই স্বীকৃতি। উল্লেখ্য, মুজিবনগর সরকার যথার্থভাবেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জাতীয়তাবাদী অভিধাগুলি, যেমন দেশের নাম, জয় বাংলা স্লোগান, জাতীয় পতাকা ইত্যাদিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রসংগঠনগুলোর বীরত্বপূর্ণ অবদান সর্বজনস্বীকৃত ও যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী গোড়ার দিকের বছরগুলোতেও ছাত্রদের ভূমিকার মধ্যে স্বাধীন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ছাত্রসমাজের অভ্যুদয় সুচিহ্নিত হয়ে আছে। তবে এ সময়কার সরকারের অনুসৃত সবগুলি নীতি ও উদ্যোগের সঙ্গে ছাত্ররা একমত হতে পারে নি। সরকারের সঙ্গে এ বিরোধ থেকেই ছাত্রদের একটি অংশের উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রদল নামের একটি নতুন ছাত্রসংগঠনের জন্ম হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এবং ১৯৯১ সালে তাঁর পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে পুনরায় ছাত্ররা ঐক্য ও শক্তির পরিচয় দিলেও তৎকালীন ছাত্র রাজনীতির ভাবমূর্তি অব্যাহত রাখা সম্ভব হয় নি। নানা কারণে এর দ্রুত অবক্ষয় ঘটছিল। এর প্রধান কারণ ছিল ছাত্ররাজনীতিতে স্বকীয়তার অভাব। ছাত্রসংগঠনগুলো ক্রমেই পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক দলের উপাঙ্গ হয়ে উঠছিল। ছাত্রদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টায় সবগুলো প্রধান রাজনৈতিক দল ও উপদল ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে অ-ছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে থাকে। নানা ছাত্রসংগঠনের অ-ছাত্র নেতারা নিজ দল ও অন্যান্য দলের মধ্যেকার কোন্দলে ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করে এবং ছাত্র রাজনীতিতে অস্ত্র ব্যবহারের প্রবণতা দেখা দেয়। কোনো কোনো ছাত্র সংগঠনের কর্মিদের দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে নস্যাৎ করার জন্য রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনের ফলে জনগণের মধ্যে ছাত্র রাজনীতির ভাবমূর্তি দ্রুত বিনষ্ট হতে থাকে। এসব কারণে বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে। [মোহাম্মদ হান্নান]