আউর খান আইবক
আউর খান আইবক (১২৩৬ খ্রিস্টাব্দ) দিল্লীর দাস বংশীয় শাসনের অধীনে লখনৌতির শাসনকর্তা। তবকাত-ই-নাসিরীর সূত্রানুযায়ী, সুলতান ইলতুতমিশ লখনৌতির গভর্নর হিসেবে মালিক আলাউদ্দিন জানী নামের এক তুর্কী শাহজাদাকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অপসারণ করে তার স্থলে কারা খিতাই সম্প্রদায়ভূক্ত এবং সুলতানের ক্রীতদাস সইফ উদ-দীন আইবক নামের তুর্কীকে লখনৌতির শাসক নিযুক্ত করা হয়। ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ এপ্রিল সুলতান ইলতুতমিশ এর মৃত্যু এবং প্রায় একই সময়ে লখনৌতির শাসক সইফ উদ-দীন আইবক এর মৃত্যু হলে দিল্লী শাসন কাঠামোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং সেই সুযোগে আউর খান আইবক নামক ব্যক্তি লখনৌতির ক্ষমতা দখল করেন। সুলতানা রাজিয়া তখন দিল্লীর শাসক। সম্ভবত আউর খান দিল্লীর অনুমতি ছাড়াই লখনৌতির ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিহারের শাসনকর্তা তুগরল তুগান খান (১২৩৬-১২৪৫), আউর খানের এই ক্ষমতা দখলের বিরোধিতা করেন। তিনি দিল্লীর সুলতানের অনুমতি ছাড়াই লখনৌতি আক্রমনের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করেন। প্রাদেশিক গভর্নরদের বেআইনী ও বিদ্রোহাত্মক কার্যকলাপে বাধা দেয়ার মত সামর্থ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তখন ছিল না। তুগান খান লখনৌতির বসনকোট নগরের অভিমুখে সসৈন্য যুদ্ধযাত্রা করলে বসনকোট দুর্গ অধিকারকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং যুদ্ধে আউর খান আইবক পরাজিত ও নিহত হন। ফলে তুগরল তুগান খান সম্মিলিত বিহার এবং লখনৌতির অধিপতি হন। [নাসরীন আক্তার]