সেনগুপ্ত, গুরুনাথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
| ১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সেনগুপ্ত, গুরুনাথ''' (১৮৪৮-১৯১৪) সংস্কৃত | '''সেনগুপ্ত, গুরুনাথ''' (১৮৪৮-১৯১৪) সংস্কৃত পন্ডিত। তাঁর জন্ম [[নড়াইল জেলা|নড়াইল]] জেলায়। তিনি ১৮৬৭ সালে কলকাতার নর্মাল স্কুল থেকে ত্রিবার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘কবিরত্ন’ উপাধি লাভ করেন। কলকাতার আহিরীটোলা বঙ্গবিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করেন। [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] ও বাংলা ভাষায় গুরুনাথ বহু [[কাব্য|কাব্য]], টীকা ও ভাষ্যগ্রন্থ, ধর্ম ও [[দর্শন|দর্শন]] গ্রন্থ, [[উপন্যাস|উপন্যাস]], প্রবন্ধ প্রভৃতি রচনা করেন। সংস্কৃত ভাষায় রচিত তাঁর প্রধান কয়েকটি গ্রন্থ হচ্ছে সত্যধর্ম, গুণরত্ন্ম্, সত্যামৃত, গুণসূত্রম্, ধর্মজিজ্ঞাসা, শ্রীরামচরিতম্ (মহাকাব্য), শ্রীগৌরবৃত্তম্ (মহাকাব্য), বারিদূতম্, পত্নীশতকম্, শিক্ষাশতকম্ প্রভৃতি। বাংলা ভাষায় রচিত তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে তত্ত্বজ্ঞান, দম্পতীধর্মালাপ, অদ্ভুত উপাখ্যান, কমলিনী (মহাকাব্য) ও সুভদ্রাহরণ (মহাকাব্য)। | ||
একজন আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও গুরুনাথ পরিচিত ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ তিনি কঠোর সাধনা ও আত্মানুশীলন দ্বারা সিদ্ধিলাভ করেন। তিনি সত্যধর্ম নামে একটি নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। গুণসাধন দ্বারা আত্মোৎকর্ষ ছিল এ ধর্মের মর্মবাণী। তিনি অভ্যাস এবং ঈশ্বরের উপাসনা দ্বারা গুণসাধনের উপদেশ দেন। | একজন আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও গুরুনাথ পরিচিত ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ তিনি কঠোর সাধনা ও আত্মানুশীলন দ্বারা সিদ্ধিলাভ করেন। তিনি সত্যধর্ম নামে একটি নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। গুণসাধন দ্বারা আত্মোৎকর্ষ ছিল এ ধর্মের মর্মবাণী। তিনি অভ্যাস এবং ঈশ্বরের উপাসনা দ্বারা গুণসাধনের উপদেশ দেন। [নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস] | ||
[নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস] | |||
[[en:Sengupta, Gurunath]] | [[en:Sengupta, Gurunath]] | ||
[[en:Sengupta, Gurunath]] | [[en:Sengupta, Gurunath]] | ||
০৯:৫৭, ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সেনগুপ্ত, গুরুনাথ (১৮৪৮-১৯১৪) সংস্কৃত পন্ডিত। তাঁর জন্ম নড়াইল জেলায়। তিনি ১৮৬৭ সালে কলকাতার নর্মাল স্কুল থেকে ত্রিবার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘কবিরত্ন’ উপাধি লাভ করেন। কলকাতার আহিরীটোলা বঙ্গবিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতা করেন। সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় গুরুনাথ বহু কাব্য, টীকা ও ভাষ্যগ্রন্থ, ধর্ম ও দর্শন গ্রন্থ, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রভৃতি রচনা করেন। সংস্কৃত ভাষায় রচিত তাঁর প্রধান কয়েকটি গ্রন্থ হচ্ছে সত্যধর্ম, গুণরত্ন্ম্, সত্যামৃত, গুণসূত্রম্, ধর্মজিজ্ঞাসা, শ্রীরামচরিতম্ (মহাকাব্য), শ্রীগৌরবৃত্তম্ (মহাকাব্য), বারিদূতম্, পত্নীশতকম্, শিক্ষাশতকম্ প্রভৃতি। বাংলা ভাষায় রচিত তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে তত্ত্বজ্ঞান, দম্পতীধর্মালাপ, অদ্ভুত উপাখ্যান, কমলিনী (মহাকাব্য) ও সুভদ্রাহরণ (মহাকাব্য)।
একজন আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবেও গুরুনাথ পরিচিত ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ তিনি কঠোর সাধনা ও আত্মানুশীলন দ্বারা সিদ্ধিলাভ করেন। তিনি সত্যধর্ম নামে একটি নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। গুণসাধন দ্বারা আত্মোৎকর্ষ ছিল এ ধর্মের মর্মবাণী। তিনি অভ্যাস এবং ঈশ্বরের উপাসনা দ্বারা গুণসাধনের উপদেশ দেন। [নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস]
