আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ

আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ  প্রতিষ্ঠা ১৬ জানুয়ারি ১৯৫৭। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম  তৎকালীন সিবিএন্ড আই-এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার এম এ জববার (এডহক কমিটির প্রথম সভাপতি) এবং শিক্ষাবিদ ফেরদাউস খান (এডহক কমিটির প্রথম সেক্রেটারি)। প্রতিষ্ঠা লগ্নে সরকারি অনুদান নগদ ৫,০০,০০০ টাকা এবং ৫.৩৩ একর জমি। শুরুতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এ ডব্লিউ খান চৌধুরী। ১৯৫৮ সালে কাজী আম্বার আলী প্রথম প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। স্কুলটি প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯৬০ সালে। প্রথম বছর পাশ করে পাঁচজন ছাত্রী। এরপর স্কুলের কৃতি ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা এই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন।

আজিমপুর গার্লস হাই স্কুল প্রাঙ্গণে ১৯৯৫ সালে আজিমপুর মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ জাহান আরা বেগম। আজিমপুর গার্লস হাই স্কুল ও আজিমপুর মহিলা কলেজ একীভূত হয় ১৯৯৯ সালে এবং আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামকরণ করে হোসনে আরা বেগমকে প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়।

আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজে প্রভাতি শিফট ও দিবা শিফটে ক্লাস চলে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রভাতি ও দিবা শিফটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্রী অধ্যয়নরত। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী ৮০ জন শিক্ষকশিক্ষিকা, ৫ জন অফিস স্টাফ ও ২১ জন কর্মচারীসহ মোট ১০৬ জন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান জনশক্তি। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের ফলাফল সন্তোষজনক। খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ ও জিমখানা এবং  আইটি প্রশিক্ষণের জন্য আছে কম্পিউটার ক্লাব। প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। আন্তঃস্কুল ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে মেয়েদের প্রথম টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলায় ছাত্রীরা রানারসআপ হয় এবং ফুটবলে গোল্ডেন বুট অর্জন করে। প্রতি বছর চারটি হাউজের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিভাজন করে আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  [হোসনে আরা বেগম]