অনুস্রবণ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৭:৪৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

অনুস্রবণ (Percolation)  সচ্ছিদ্র বস্ত্তর মধ্য দিয়ে তরল পদার্থের অতিক্রমণ। মৃত্তিকা বিজ্ঞানে অনুস্রবণ বলতে মৃত্তিকার মধ্য দিয়ে বৃষ্টি বা সেচের পানি এবং এ পানি বহনকারী বস্ত্তর নিম্নমুখী চলনকে বুঝায়। মৃত্তিকার পানিশোষণ করার ক্ষমতাকেই মৃত্তিকার অনুস্রবণ বলা হয়। মৃত্তিকার মধ্যে কতদ্রুত পানির অনুস্রবণ হবে তা নির্ভর করে মৃত্তিকার গ্রথন বৈশিষ্ট্যের উপর। যে ধরনের মৃত্তিকায় বড় ও মিহি উভয় প্রকার দানাই সমপরিমাণে থাকে সে ধরনের মৃত্তিকা অনুস্রবণের জন্য সর্বাদিক উপযোগী। গাঙ্গেয় পললভূমি এলাকায় মধ্যম গ্রথনযুক্ত মৃত্তিকার অনুস্রবণ হার প্রতি ঘণ্টায় ০.২ থেকে ২.০ সেন্টিমিটার এবং এঁটেল ও পলিমাটির ক্ষেত্রে এ মান ঘণ্টায় ১ থেকে ৮ সেন্টিমিটার। পলিময় পৃষ্ঠমৃত্তিকা ভিজে উঠলে পানির সংস্পর্শে সহজেই এর প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায় এবং মধ্যম গ্রথনের মৃত্তিকায় নিম্নহারের অনুস্রবণ ঘটে। কোনো কোনো এঁটেল মৃত্তিকায় অধিক অনুস্রবণ হার মৃত্তিকার পৃষ্ঠে ফাটল সৃষ্টি ও নিচের মৃত্তিকাস্তরে দৃঢ় সংযুতি সৃষ্টির কারণেই হয়ে থাকে। মধ্যম গ্রথন সম্পন্ন মৃত্তিকার কম অনুস্রবণ হার সম্ভবত পললভূমি ও চাষাবাদকৃত বিভিন্ন সোপান মৃত্তিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে বনাঞ্চলের সোপান মৃত্তিকাতে অনুস্রবণের হার অধিক হতে পারে। গাঙ্গেয় পললভূমি এলাকার এঁটেল মৃত্তিকার অনুস্রবণ হার অন্যান্য যেসব পলল মৃত্তিকার সঙ্কোচন-স্ফীতি বৈশিষ্ট্য কম প্রকট সেসব এলাকার অববাহিকা এঁটেলের চাইতে অধিক হয়ে থাকে।  [মোহাম্মদ খুরশিদ আলম]