বেইলী, স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন
বেইলী, স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন (১৮৩৬-১৯২৫) সিভিলিয়ান ও বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর (১৮৮৭-১৮৯০)। তিনি উইলিয়ম বাটারওয়ার্থ বেইলীর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র। তাঁর পিতা বাটারওয়ার্থ বেইলী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন পরিচালক ও ১৮২৮ সালে বাংলার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইটন এবং হেইলিবেরি কলেজে শিক্ষা সমাপ্তির পর কলভিন ১৮৫৬ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস-এ যোগদান করেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর হওয়ার আগে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার (১৮৭১-৭২), বাংলা সরকারের সেক্রেটারি (১৮৭৭), ভারত সরকারের সেক্রেটারি (১৮৭৮), বাংলার ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও আসামের কমিশনার (১৮৭৮-৭৯), হায়দ্রাবাদের রেসিডেন্ট (১৮৮১) এবং গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলের সদস্য (১৮৮২-১৮৮৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৮৭ সালের ২ এপ্রিল কলভিন বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিযুক্ত হন।
ভারতীয় সিভিল সার্ভিস-এর অন্যান্য অধিকাংশ সদস্যের মতো স্টুয়ার্ট কলভিনও শাসনকার্যে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং সরকারের প্রতিদিনের কাজ যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সচেষ্ট ছিলেন। রাষ্ট্রের প্রচলিত রীতিতে পরিবর্তন এনে তিনি অসন্তোষ বা সমালোচনার সুযোগ তৈরি করে দিতে পছন্দ করতেন না। কলভিন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, স্থিতিশীলতার মধ্যেই শান্তি নিহিত, পরিবর্তনের মধ্যে নয়। তাঁর শাসনামলের উল্লেখযোগ্য ঘটনা সমূহের মধ্যে রয়েছে, ২৫ মে ১৮৮৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সংলগ্ন জেলাসমূহে আদিবাসী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ, লুসাই আদিবাসীদের আক্রমণ (১৮৮৯-৯০), কলকাতা পৌর আইন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৮৮৮ সাল থেকে বাংলায় জরিপ ও বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ার শুরু।
ভারত ত্যাগ করার পর বেইলী ভারত অফিসের রাজনৈতিক শাখার সেক্রেটারি (১৮৯০-১৮৯৫) এবং ইন্ডিয়া কাউন্সিল এর (১৮৯৫) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্টুয়ার্ট কলভিনের মৃত্যু ৩ জুন, ১৯২৫। [সিরাজুল ইসলাম]