পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(fix: </u>]])
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, ১৯৫২'''  পাকিস্তান আমলে প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের প্রথম সংগঠন। প্রগতি লেখক সংঘের ধারায় সাম্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যান-ধারণার বশবর্তী হয়ে কয়েকজন  লেখক পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠন করেন। [[১০৬৪৬৭|কাজী মোতাহার হোসেন]] সভাপতি এবং ফয়েজ আহমদ এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে আতোয়ার রহমান ও [[১০৫১৩৬|হাসান হাফিজুর রহমান]] সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল গনি হাজারী, কামরুল হাসান, অজিত কুমার গুহ, ফজলে লোহানী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মোস্তাফা নূরউল ইসলাম, আনিসুজ্জামান প্রমুখ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।  
'''পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, ১৯৫২'''  পাকিস্তান আমলে প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের প্রথম সংগঠন। প্রগতি লেখক সংঘের ধারায় সাম্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যান-ধারণার বশবর্তী হয়ে কয়েকজন  লেখক পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠন করেন। [[হোসেন, কাজী মোতাহার|কাজী মোতাহার হোসেন]] সভাপতি এবং ফয়েজ আহমদ এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে আতোয়ার রহমান ও [[রহমান, হাসান হাফিজুর|হাসান হাফিজুর রহমান]] সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল গনি হাজারী, কামরুল হাসান, অজিত কুমার গুহ, ফজলে লোহানী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মোস্তাফা নূরউল ইসলাম, আনিসুজ্জামান প্রমুখ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।  


পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের অবস্থান ছিল মৌলবাদী চেতনার বিপরীত। এর সংকল্প ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। পাটুয়াটুলির [[১০৫৭৫০|সওগাত]] পত্রিকার অফিসে পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের নিয়মিত পাক্ষিক সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হতো। তাতে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধপাঠ এবং এসব সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনা করা হতো। সাহিত্য সংসদের বিশেষ সভারও ব্যবস্থা ছিল। তাতে ম্যাক্সিম গোর্কি (১৯৫২), বঙ্কিমচন্দ্র (১৯৫৩) ও রবীন্দ্রনাথকে (১৯৫৫) নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ-কে নিয়েও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রথম যে ঐতিহাসিক সাহিত্য সংকলন (১৯৫৩) প্রকাশিত হয়, তা এই সাহিত্য সংসদের উদ্যোগেই সম্পন্ন হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সাহিত্য সম্মেলন এর আরো একটি সফল পদক্ষেপ ছিল। সম্মেলনে ১০৮জন সাহিত্যিক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী যুক্ত প্রচারপত্রে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য ঐক্য গড়ে তোলার সংকল্প ব্যক্ত করেন; সেই সঙ্গে বিশ্বশান্তি ও মানবকল্যাণের জন্য সাহিত্যকর্ম রচনা করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।  
পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের অবস্থান ছিল মৌলবাদী চেতনার বিপরীত। এর সংকল্প ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। পাটুয়াটুলির [[সওগাত|সওগাত]] পত্রিকার অফিসে পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের নিয়মিত পাক্ষিক সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হতো। তাতে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধপাঠ এবং এসব সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনা করা হতো। সাহিত্য সংসদের বিশেষ সভারও ব্যবস্থা ছিল। তাতে ম্যাক্সিম গোর্কি (১৯৫২), বঙ্কিমচন্দ্র (১৯৫৩) ও রবীন্দ্রনাথকে (১৯৫৫) নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ-কে নিয়েও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রথম যে ঐতিহাসিক সাহিত্য সংকলন (১৯৫৩) প্রকাশিত হয়, তা এই সাহিত্য সংসদের উদ্যোগেই সম্পন্ন হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সাহিত্য সম্মেলন এর আরো একটি সফল পদক্ষেপ ছিল। সম্মেলনে ১০৮জন সাহিত্যিক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী যুক্ত প্রচারপত্রে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য ঐক্য গড়ে তোলার সংকল্প ব্যক্ত করেন; সেই সঙ্গে বিশ্বশান্তি ও মানবকল্যাণের জন্য সাহিত্যকর্ম রচনা করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।  
 
1958 mvj ch©š— cvwK¯—vb mvwnZ¨ msm`-Gi Kvh©µg Pvjy wQj| ZLb ch©š— GwU c~e© evsjvi bexb I cÖMwZkxj mvwnwZ¨K‡`i gyL¨ msMVb wQj| 1958 mv‡j mvgwiK kvmb Rvwi nIqvi ci Gi wejywß N‡U| ZLb GLvbKvi †jLK-eyw×Rxexiv [[১০৩১০৮|পাকিস্তান লেখক সংঘ]] I cvwK¯—vb †jLK msN c~e©vÂj kvLvq e¨vcKfv‡e †hvM`vb K‡ib|  [IqvwKj Avng`]


১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ-এর কার্যক্রম চালু ছিল। তখন পর্যন্ত এটি পূর্ব বাংলার নবীন ও প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের মুখ্য সংগঠন ছিল। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর এর বিলুপ্তি ঘটে। তখন এখানকার লেখক-বুদ্ধিজীবীরা [[পাকিস্তান লেখক সংঘ|পাকিস্তান লেখক সংঘ]] ও পাকিস্তান লেখক সংঘ পূর্বাঞ্চল শাখায় ব্যাপকভাবে যোগদান করেন।  [ওয়াকিল আহমদ]


[[en:Pakistan Sahitya Sangsad, 1952]]
[[en:Pakistan Sahitya Sangsad, 1952]]

০৮:০০, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ, ১৯৫২  পাকিস্তান আমলে প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের প্রথম সংগঠন। প্রগতি লেখক সংঘের ধারায় সাম্যবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ ধ্যান-ধারণার বশবর্তী হয়ে কয়েকজন  লেখক পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠন করেন। কাজী মোতাহার হোসেন সভাপতি এবং ফয়েজ আহমদ এর সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে আতোয়ার রহমান ও হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল গনি হাজারী, কামরুল হাসান, অজিত কুমার গুহ, ফজলে লোহানী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মোস্তাফা নূরউল ইসলাম, আনিসুজ্জামান প্রমুখ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের অবস্থান ছিল মৌলবাদী চেতনার বিপরীত। এর সংকল্প ছিল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। পাটুয়াটুলির সওগাত পত্রিকার অফিসে পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের নিয়মিত পাক্ষিক সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হতো। তাতে কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধপাঠ এবং এসব সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনা করা হতো। সাহিত্য সংসদের বিশেষ সভারও ব্যবস্থা ছিল। তাতে ম্যাক্সিম গোর্কি (১৯৫২), বঙ্কিমচন্দ্র (১৯৫৩) ও রবীন্দ্রনাথকে (১৯৫৫) নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, কাজী আবদুল ওদুদ, মোহাম্মদ আকরম খাঁ-কে নিয়েও স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রথম যে ঐতিহাসিক সাহিত্য সংকলন (১৯৫৩) প্রকাশিত হয়, তা এই সাহিত্য সংসদের উদ্যোগেই সম্পন্ন হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সাহিত্য সম্মেলন এর আরো একটি সফল পদক্ষেপ ছিল। সম্মেলনে ১০৮জন সাহিত্যিক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী যুক্ত প্রচারপত্রে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য ঐক্য গড়ে তোলার সংকল্প ব্যক্ত করেন; সেই সঙ্গে বিশ্বশান্তি ও মানবকল্যাণের জন্য সাহিত্যকর্ম রচনা করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ-এর কার্যক্রম চালু ছিল। তখন পর্যন্ত এটি পূর্ব বাংলার নবীন ও প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের মুখ্য সংগঠন ছিল। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর এর বিলুপ্তি ঘটে। তখন এখানকার লেখক-বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তান লেখক সংঘ ও পাকিস্তান লেখক সংঘ পূর্বাঞ্চল শাখায় ব্যাপকভাবে যোগদান করেন।  [ওয়াকিল আহমদ]