চৌধুরী, হামিদুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:ChowdhuryHamidulHaq.jpg|thumb|right|হামিদুল হক চৌধুরী]]
'''চৌধুরী, হামিদুল হক''' (১৯০১-১৯৯২)  আইনজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯১৯ সালে কলকাতা স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯২৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভের পর তিনি কলকাতায় আইনব্যবসা শুরু করেন।
'''চৌধুরী, হামিদুল হক''' (১৯০১-১৯৯২)  আইনজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯১৯ সালে কলকাতা স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯২৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভের পর তিনি কলকাতায় আইনব্যবসা শুরু করেন।


৭ নং লাইন: ৮ নং লাইন:


হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে এই দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। [[যুক্তফ্রণ্ট|যুক্তফ্রন্ট]] গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট-মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ফিরোজ খান নুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহূত সরকার ও বিরোধী দলের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এনডিএফ-এর প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে এই দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। [[যুক্তফ্রণ্ট|যুক্তফ্রন্ট]] গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট-মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ফিরোজ খান নুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহূত সরকার ও বিরোধী দলের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এনডিএফ-এর প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
[[Image:ChowdhuryHamidulHaq.jpg|thumb|right|হামিদুল হক চৌধুরী]]


হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুকাল আগে তিনি পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সরকারের সহায়তায় তিনি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোঃ আজম বেগ]
হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুকাল আগে তিনি পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সরকারের সহায়তায় তিনি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোঃ আজম বেগ]


[[en:Chowdhury, Hamidul Haq]]
[[en:Chowdhury, Hamidul Haq]]

১০:৫২, ২৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

হামিদুল হক চৌধুরী

চৌধুরী, হামিদুল হক (১৯০১-১৯৯২)  আইনজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। ১৯০১ সালে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার রামনগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ১৯১৯ সালে কলকাতা স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং ১৯২৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভের পর তিনি কলকাতায় আইনব্যবসা শুরু করেন।

হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি ভারত-পাকিস্তান সীমানা নির্ধারণের দায়িত্বে নিয়োজিত র‌্যাডক্লিফ কমিশনের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি ঢাকায় এসে হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি প্রাদেশিক সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং পরে ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৯ সালের ১১ মার্চ তিনি পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন।

হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৫৩ সালে এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে এই দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট-মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ফিরোজ খান নুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহূত সরকার ও বিরোধী দলের গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এনডিএফ-এর প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

হামিদুল হক চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার কিছুকাল আগে তিনি পাকিস্তান চলে যান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সরকারের সহায়তায় তিনি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [মোঃ আজম বেগ]