চুনাখোলা মসজিদ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৪৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

চুনাখোলা মসজিদ  বাগেরহাটের  ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি একগম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদ। চুনাখোলা গ্রামে অবস্থিত বলেই এর এরূপ নামকরণ হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক মসজিদটির ব্যাপক মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে।

ইটের তৈরী বর্গাকৃতি মসজিদটির বাইরে প্রতি দিকের দৈর্ঘ্য ১২.৫০ মিটার। ২.১৪ মিটার পুরু দেয়ালের পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট পাঁচটি ধনুকাকৃতির খিলান দরজা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দরজার প্রশস্ততা পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজার সমান। কিবলা দেয়ালের অভ্যন্তরভাগে পূর্ব দিকের প্রবেশপথ বরাবর খিলানযুক্ত তিনটি ধনুকাকৃতির মিহরাব আছে। আয়তাকার কেন্দ্রীয় মিহরাবটি চিরাচরিত নিয়মে দেয়ালের বাইরে সম্প্রসারিত এবং তা ছাদ পর্যন্ত উঁচু। সম্পূর্ণ ছাদ জুড়ে অর্ধগোলাকৃতির বিশাল গম্বুজটি ভেতরের দিকে স্কুইঞ্চের উপর স্থাপিত। মসজিদের বাইরের চার কোণের চারটি মিনার খান জাহানী রীতি অনুযায়ী গোলাকার এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে ঢালাই করা ব্যান্ড দ্বারা বিভক্ত। ইমারতের তিনটি কার্নিশ চিরাচরিত বাংলার স্থাপত্যরীতি অনুযায়ী বাঁকানো।

চুনাখোলা মসজিদ, বাগেরহাট

মসজিদে ব্যবহূত পোড়ামাটির অলঙ্করণে তেমন কোনো স্বাতন্ত্র্য লক্ষ্য করা যায় না। অলঙ্করণের ক্ষেত্রে জালির কাজ, ফুল ও লতাপাতার ডিজাইন, যুক্ত বৃত্ত, বিষমকোণী চতুর্ভুজ এবং প্রচলিত ঝুলন্ত মোটিফ স্থান পেয়েছে। বর্তমানে এ অলঙ্করণগুলি শুধু মিহরাবের কুলুঙ্গিতে, খিলানের উপরে এবং বাঁকানো কার্নিশে লক্ষ করা যায়। স্থানীয় জনশ্রুতি মতে, মসজিদটি খান জাহানের কোনো কর্মচারী নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণরীতিতেও এর সমর্থন মেলে।  [এম.এ বারি]