কচুয়া উপজেলা (বাগেরহাট): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''কচুয়া উপজেলা''' ([[চাঁদপুর জেলা|চাঁদপুর জেলা]])  আয়তন: ২৩৫.৮২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১৫´ থেকে ২৩°২৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৮´ থেকে ৯১°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে [[চান্দিনা উপজেলা|চান্দিনা]] ও [[দাউদকান্দি উপজেলা|দাউদকান্দি ]]উপজেলা, দক্ষিণে [[শাহরাস্তি উপজেলা|শাহরাস্তি ]][[হাজীগঞ্জ উপজেলা |হাজীগঞ্জ ]]উপজেলা, পূর্বে [[বরুড়া উপজেলা|বরুড়া]] ও চান্দিনা উপজেলা, পশ্চিমে [[মতলব দক্ষিণ উপজেলা|মতলব দক্ষিণ]] ও হাজীগঞ্জ উপজেলা।
'''কচুয়া উপজেলা''' ([[বাগেরহাট জেলা|বাগেরহাট জেলা]])   আয়তন: ১৩১.৬২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪' থেকে ২২°৪৫' উত্তর আংশ এবং ৮৯°৪৯' থেকে ৮৯°৫৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে [[চিতলমারী উপজেলা|চিতলমারী]] উপজেলা, দক্ষিণে [[মোরেলগঞ্জ উপজেলা|মোরেলগঞ্জ]], পূর্বে [[নাজিরপুর উপজেলা|নাজিরপুর]] এবং [[পিরোজপুর সদর উপজেলা|পিরোজপুর]] সদর উপজেলা, পশ্চিমে [[বাগেরহাট সদর উপজেলা|বাগেরহাট]] সদর উপজেলা।  


''জনসংখ্যা'' ৩৩১৩৬০; পুরুষ ১৬৩৭২৩, মহিলা ১৬৭৬৩৭। মুসলিম ৩০৬৫৯৩, হিন্দু ২৪৭২৯, বৌদ্ধ ১৩ এবং অন্যান্য ২৫।
''জনসংখ্যা'' ১০০০৯৩; পুরুষ ৫০৭৬৬, মহিলা ৪৯৩২৭। মুসলিম ৭৯২৩৮, হিন্দু ২০৮৩০, বৌদ্ধ ১৬ এবং অন্যান্য ৯।
 
''জলাশয়''  বালেশ্বর, তালেশ্বর ও বিষখালী নদী এবং লারার খাল উল্লেখযোগ্য।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: কচুয়া, কালীছড়ি এবং বোয়ালজুরির খাল ও বাটাকাশি খাল উল্লেখযোগ্য।
''প্রশাসন'' কচুয়া থানা সৃষ্টি হয় ১৮৮৬ সালে এবং এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে।


''প্রশাসন'' কচুয়া থানা গঠিত হয় ১৯১৮ সালে এবং উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালের ২০ জুলাই।
উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব
(প্রতি বর্গ কিমি) শিার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৭ ৭৮ ১০১ ৯৬৩২ ৯০৪৬১ ৭৬০ ৫৮.৭ ৬২.৩
উপজেলা শহর
আয়তন
(বর্গ কিমি) মৌজার সংখ্যা লোকসংখ্যা ঘনত্ব
(প্রতি বর্গ কিমি) শিার হার
(%)
৮.৩২ ৩ ৯৬৩২ ১১৫৮ ৫৮.৭
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন
(একর) লোকসংখ্যা শিার হার
(%)
পুরুষ মহিলা
কচুয়া ৫৭ ৩৭৩১ ৭৫১০ ৭১১২ ৫৯.৫৪
গজালিয়া ৩৮ ৪৯৪৫ ৮৫১১ ৮৪৯৯ ৫৬.৪৫
গোপালপুর ৪৭ ৩৩১৬ ৪৯০২ ৪৮৪৪ ৬১.১০
ধোপাখালী ২৮ ৩১৩৫ ৬৬২৯ ৬৭৪৮ ৫৯.১৮
বাধাল ১৫ ৫২৪৬ ৭৬২৯ ৭২১১ ৬০.৫৯
মঘিয়া ৬৬ ৪৯০৮ ৬৭৭২ ৬৫৪৬ ৬৮.৫৩
রাড়ীপাড়া ৭৬ ৫২২৫ ৮৮১৩ ৮৩৬৭ ৬৮.০১


{| class="table table-bordered table-hover"
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
|-
| colspan="9" | উপজেলা
|-
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
| ১  || ১২  || ১৭৩  || ২৩২  || ২২১৯৭  || ৩০৯১৬৩  || ১৪০৫  || ৪৭.৩  || ৪৪.৬
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|পৌরসভা
|-
| আয়তন(বর্গ কিমি)  || ওয়ার্ড || মহল্লা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
| ১১.২৩  || ৯  || ২০  || ২২১৯৭  || ১৯৭৫  || ৪৭.৩০
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| ইউনিয়ন
|-
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
| পুরুষ  || মহিলা
|-
| আশরাফপুর ১৩  || ৫৭৭৭  || ১৫৬৬২  || ১৬৪২১  || ৫৫.৯২
|-
| উত্তর কচুয়া ৩৯  || ৪১০২  || ১১৫৭১  || ১২২৯১  || ৪২.২
|-
| উত্তর গোহাট ২৩  || ৩৬১২  || ১১৪১৭  || ১১৭২১  || ৪৯.৫৭
|-
| কড়াইয়া ৬৩  || ৭২৩৩  || ১৮৮৫১  || ১৯০৩৯  || ৪৯.৩৮
|-
| কাদলা ৫৫  || ৬৬৭০  || ১২৬৩৬  || ১৩১২৬  || ৪৮.৭৪
|-
| দক্ষিণ কচুয়া ৪৭  || ৩৩৪৯  || ৭৯০৫  || ৮২৩৯  || ৫০.৯৫
|-
| দক্ষিণ গোহাট ৩১  || ৩৫৮১  || ১১৪৩৭  || ১২২৬৯  || ৫১.১৬
|-
| পশ্চিম সহদেবপুর ৯৪  || ৪৫৯৩  || ১১৬৬৮  || ১২৪৪১  || ৩৬.৭৩
|-
| পাথৈর ৭৯  || ৩৬৬২  || ৯৮৯৭  || ১০৫৫৩  || ৩৭.১৮
|-
| পূর্ব সহদেবপুর ৮৭  || ৪১৮৬  || ১০৭৬৭  || ১০৭৩০  || ৩৯.৭৬
|-
| বিটারা ১৫  || ৭৩২৩  || ১৮৫৩৫  || ১৮৪৪৬  || ৩৪.৩৩
|-
| সাচার ৭১  || ৪১৮৩  || ১১৯৮৮  || ১১৫৫৩  || ৩৮.১৮
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' বখতিয়ার খাঁ জামে মসজিদ (উজানী, ১১০৭ হিজরী), পালাগিরি গ্রামের জামে মসজিদ। বেহুলার দীঘি ও বেহুলার পাটা (বেহুলার পৈতৃক বাড়ী), সাচারে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দির (১৮৭০), সাহারপাড়ের দিঘী (রহিমানগর), মনসা মুড়া, তুলাতলীর মঠ (ষোল শতক)।
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' শিবপুরের শিববাড়ি (১৩০০ খ্রি.), মঘিয়া জমিদার বাড়ি সংলগ্ন কালী মন্দির।


''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রঘুনাথপুর বাজারে স্থানীয় রাজাকারদের হামলায় ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১৪ জন নিরীহ লোক নিহত হয়।
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ৩ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাধাল ইউনিয়নের শাঁখারীকাঠী হাটে পাকবাহিনী ৪২ জন গ্রামবাসিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৫ অক্টোবর পাকবাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় মঘিয়া ইউনিয়নের ভাসা বাজার ঘেরাও করে প্রায় ৬০ জন লোককে আটক করে এবং মঘিয়া গ্রামের ভাসারহাট পুলের কাছে গুলি করে হত্যা করে।


[[Image:KachuaUpazilaChandpur.jpg|thumb|right|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন''  গণকবর ৭ (শাঁখারীকাঠী, মঘিয়া ও কচুয়া উল্লেখযোগ্য); স্মৃতিস্তম্ভ ২।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান''  মসজিদ ১৬৯, মন্দির ৪৭, তীর্থস্থান ২।


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৪৪৩, মন্দির ৪৯, মাযার ১০, তীর্থস্থান ১।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৬২.০%; পুরুষ ৬৩.৭%, মহিলা ৬০.২%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৪, মাদ্রাসা ৮। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কচুয়া ডিগ্রি কলেজ, কচুয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৫), গোয়ালহাট রসিক লাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), বাড়ৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাধবকাঠী আহমদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা (১৯১৫)।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৪৪.৮%: পুরুষ ৪৬.৭%, মহিলা ৪৩.১%। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২২৬, এনজিও স্কুল ৪৯, মাদ্রাসা ১৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সাচার উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬), কচুয়া পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৭), নিশ্চিন্তপুর ডি.এস. কামিল মাদ্রাসা (১৯৫৮), চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (২০০৫)।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' সাপ্তাহিক: খানজাহান, সুজনেষু ইন্টারন্যাশনাল, দীপায়ন, তৃতীয় নয়ন, সুন্দরবন, কবিকণ্ঠ, পার্থ সারথী (ধর্মীয় পত্রিকা); সাময়িকী: মুক্তিযুদ্ধে কচুয়া (১৯৯৯)।


''সাময়িকী''  পাক্ষিক কচুয়া কণ্ঠ।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' লাইব্রেরি ৪, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ১, কাব ৫৮।


''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৮৯, লাইব্রেরি ২, থিয়েটার গ্রুপ ২, মহিলা সংগঠন ১৩, খেলার মাঠ ৩২।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫৮.৬৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৬৭%, শিল্প ০.৬%, ব্যবসা ১৭.৫৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪৩%, চাকরি ৭.০৫%, নির্মাণ ১.৪৮%, ধর্মীয় সেবা ০.২০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৫.০৫%।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৫২.৪৭%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৫৩%, শিল্প ০.৭৬%, ব্যবসা ১২.৭৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৯৯%, চাকরি ৯.৯৫%, নির্মাণ ২.০৭%, ধর্মীয় সেবা ০.৫২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৯৬% এবং অন্যান্য ৯.০১%
''কৃষিভূমির মালিকানা'' ভূমিমালিক ৬৩.৭৫%, ভূমিহীন ৩৬.২৫%। শহরে ৪১.৫০% এবং গ্রামে ৬৬.১৩% পরিবারের কৃষিভূমি রয়েছে।


''কৃষিভুমির মালিকানা''  ভূমিমালিক ৬৪.৫৯%, ভূমিহীন ৩৫.৪১%। শহরে ৫৭.৩৭% এবং গ্রামে ৬৫.০৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, আখ, গম, পাট, তুলা, পান, সুপারি, ডাল ও শাকসবজি।


''প্রধান কৃষি ফসল'' ধান, গম, আলু, সরিষা, তিল।
''বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' সরিষা, তিল, মিষ্টি আলু, বাদাম, তামাক।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায়''  ফসলাদি  পাট, কাউন, অড়হর।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' নারিকেল, কলা, সফেদা, তরমুজ।


''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, কুল।
''মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার''  এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি খামার রয়েছে।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' [[পালকি|পালকি]], গরুর গাড়ি।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৫০, আধা-পাকারাস্তা ৭০ কিমি, কাঁচারাস্তা ৭৫০ কিমি।
''উল্লেখযোগ্য শিল্প ও কলকারখানা'' রাইসমিল, স’মিল প্রভৃতি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।
''উল্লেখযোগ্য কুটিরশিল্প'' পাটশিল্প, [[নকশি কাঁথা|নকশি কাঁথা]], বেতের কাজ, বাঁশের কাজ প্রভৃতি।


''শিল্প কলকারখানা'' আটা কল, হিমাগার, বরফ কল, ওয়েল্ডিং কারখানা।
''হাটবাজার মেলা'' হাটবাজার ১৪, মেলা ১১। কচুয়া হাট, বৈরাগীর হাট, সাইনবোর্ড বাজার, গোয়ালমাঠ বাজার এবং বিষখালী বারুণী মেলা ও শিববাড়ির মেলা উল্লেখযোগ্য।


''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ, বিড়ি শিল্প, রেশম শিল্প।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' নারিকেল, সুপারি, কলা, তালের গুড়।


''হাটবাজার, মেলা''   হাটবাজার ৩২, মেলা ১০। কচুয়া, রহিমানগর, সাচার, জগৎপুর, দরবেশগঞ্জ, চাড়াভাঙ্গা বাজার এবং নাউলা হরিসভার মেলা, আইনগিরী মেলা, গোহট মেলা, কড়ইয়া বটতলা মেলা, মেঘদাই মেলা উল্লেখযোগ্য।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৭.৩৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   কুল, কলা, আলু।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৭৫.৭৪%, ট্যাপ ২.৭৫%, পুকুর ২০.২০% এবং অন্যান্য ১.৩১%।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৯.% (শহরে ২৮.০৪% এবং গ্রামে ৫১.১১%)  পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৮.৩১% (গ্রামে ৫১.৪৭% এবং শহরে ১৮.৬৭%) পরিবার স্বাস্ব্যকর এবং ৪৬.৬০% (গ্রামে ৪৩.৩৭% এবং শহরে ৭৬.৮৩%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.০৯% পরিবারের কোন ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯০.৬৮%, ট্যাপ ০.৬২%, পুকুর ৩.৫৯% এবং অন্যান্য ৫.১১%।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' হাসপাতাল ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, কমিউনিটি কিনিক ১০, কিনিক ১।
উল্লেখযোগ্য এনজিও  অন্বেষা, প্রদীপন, আশা, ব্র্যাক,  গ্রামীণ ব্যাংক, কেয়ার, কোডেক।  [পার্থদেব সাহা]


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' ৫২.৬৮% (শহরে ৪৫.৫৭% এবং গ্রামে ৫৩.১৫%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩২.২৪% (শহরে ৪৪.৮১% এবং গ্রামে ৩১.৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৫.০৮% (শহরে ৯.৬২% এবং গ্রামে ১৫.৪৫%) পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কচুয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীা প্রতিবেদন ২০০৭।  
 
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১২।
 
''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৭৪ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
 
''এনজিও''  [[আসা|আশা]], [[ব্র্যাক|ব্র্যাক]], উদ্দীপন, বার্ড, দি গুড আর্থ।  [হাবিবুন্নবি শরীফুল হক শাহ্জী]
 
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কচুয়া উপজেলা মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন ২০০৭।''' '''


[[en:Kachua Upazila (Bagerhat District)]]
[[en:Kachua Upazila (Bagerhat District)]]

০৭:১৬, ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কচুয়া উপজেলা (বাগেরহাট জেলা) আয়তন: ১৩১.৬২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৪' থেকে ২২°৪৫' উত্তর আংশ এবং ৮৯°৪৯' থেকে ৮৯°৫৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে চিতলমারী উপজেলা, দক্ষিণে মোরেলগঞ্জ, পূর্বে নাজিরপুর এবং পিরোজপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে বাগেরহাট সদর উপজেলা।

জনসংখ্যা ১০০০৯৩; পুরুষ ৫০৭৬৬, মহিলা ৪৯৩২৭। মুসলিম ৭৯২৩৮, হিন্দু ২০৮৩০, বৌদ্ধ ১৬ এবং অন্যান্য ৯।

জলাশয় বালেশ্বর, তালেশ্বর ও বিষখালী নদী এবং লারার খাল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন কচুয়া থানা সৃষ্টি হয় ১৮৮৬ সালে এবং এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিার হার (%) শহর গ্রাম শহর গ্রাম - ৭ ৭৮ ১০১ ৯৬৩২ ৯০৪৬১ ৭৬০ ৫৮.৭ ৬২.৩ উপজেলা শহর আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজার সংখ্যা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিার হার (%) ৮.৩২ ৩ ৯৬৩২ ১১৫৮ ৫৮.৭ ইউনিয়ন ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিার হার (%) পুরুষ মহিলা কচুয়া ৫৭ ৩৭৩১ ৭৫১০ ৭১১২ ৫৯.৫৪ গজালিয়া ৩৮ ৪৯৪৫ ৮৫১১ ৮৪৯৯ ৫৬.৪৫ গোপালপুর ৪৭ ৩৩১৬ ৪৯০২ ৪৮৪৪ ৬১.১০ ধোপাখালী ২৮ ৩১৩৫ ৬৬২৯ ৬৭৪৮ ৫৯.১৮ বাধাল ১৫ ৫২৪৬ ৭৬২৯ ৭২১১ ৬০.৫৯ মঘিয়া ৬৬ ৪৯০৮ ৬৭৭২ ৬৫৪৬ ৬৮.৫৩ রাড়ীপাড়া ৭৬ ৫২২৫ ৮৮১৩ ৮৩৬৭ ৬৮.০১

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ শিবপুরের শিববাড়ি (১৩০০ খ্রি.), মঘিয়া জমিদার বাড়ি সংলগ্ন কালী মন্দির।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ৩ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাধাল ইউনিয়নের শাঁখারীকাঠী হাটে পাকবাহিনী ৪২ জন গ্রামবাসিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৫ অক্টোবর পাকবাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় মঘিয়া ইউনিয়নের ভাসা বাজার ঘেরাও করে প্রায় ৬০ জন লোককে আটক করে এবং মঘিয়া গ্রামের ভাসারহাট পুলের কাছে গুলি করে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ৭ (শাঁখারীকাঠী, মঘিয়া ও কচুয়া উল্লেখযোগ্য); স্মৃতিস্তম্ভ ২।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৬৯, মন্দির ৪৭, তীর্থস্থান ২।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬২.০%; পুরুষ ৬৩.৭%, মহিলা ৬০.২%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৪, মাদ্রাসা ৮। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কচুয়া ডিগ্রি কলেজ, কচুয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ, মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৫), গোয়ালহাট রসিক লাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), বাড়ৈখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাধবকাঠী আহমদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা (১৯১৫)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক: খানজাহান, সুজনেষু ইন্টারন্যাশনাল, দীপায়ন, তৃতীয় নয়ন, সুন্দরবন, কবিকণ্ঠ, পার্থ সারথী (ধর্মীয় পত্রিকা); সাময়িকী: মুক্তিযুদ্ধে কচুয়া (১৯৯৯)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৪, সিনেমা হল ১, নাট্যদল ১, কাব ৫৮।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৮.৬৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৬৭%, শিল্প ০.৬%, ব্যবসা ১৭.৫৭%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৪৩%, চাকরি ৭.০৫%, নির্মাণ ১.৪৮%, ধর্মীয় সেবা ০.২০%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৫.০৫%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৩.৭৫%, ভূমিহীন ৩৬.২৫%। শহরে ৪১.৫০% এবং গ্রামে ৬৬.১৩% পরিবারের কৃষিভূমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, আখ, গম, পাট, তুলা, পান, সুপারি, ডাল ও শাকসবজি।

বিলুপ্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি সরিষা, তিল, মিষ্টি আলু, বাদাম, তামাক।

প্রধান ফল-ফলাদি নারিকেল, কলা, সফেদা, তরমুজ।

মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পালকি, গরুর গাড়ি।

উল্লেখযোগ্য শিল্প ও কলকারখানা রাইসমিল, স’মিল প্রভৃতি।

উল্লেখযোগ্য কুটিরশিল্প পাটশিল্প, নকশি কাঁথা, বেতের কাজ, বাঁশের কাজ প্রভৃতি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১৪, মেলা ১১। কচুয়া হাট, বৈরাগীর হাট, সাইনবোর্ড বাজার, গোয়ালমাঠ বাজার এবং বিষখালী বারুণী মেলা ও শিববাড়ির মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য নারিকেল, সুপারি, কলা, তালের গুড়।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৭.৩৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৭৫.৭৪%, ট্যাপ ২.৭৫%, পুকুর ২০.২০% এবং অন্যান্য ১.৩১%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৮.৩১% (গ্রামে ৫১.৪৭% এবং শহরে ১৮.৬৭%) পরিবার স্বাস্ব্যকর এবং ৪৬.৬০% (গ্রামে ৪৩.৩৭% এবং শহরে ৭৬.৮৩%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.০৯% পরিবারের কোন ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, কমিউনিটি কিনিক ১০, কিনিক ১। উল্লেখযোগ্য এনজিও অন্বেষা, প্রদীপন, আশা, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, কেয়ার, কোডেক। [পার্থদেব সাহা]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কচুয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীা প্রতিবেদন ২০০৭।