ফাতেহায়ে ইয়াযদাহম
ফাতেহায়ে ইয়াযদাহম ‘ইয়াযদাহম’ ফারসি শব্দ, অর্থ ১১ তারিখ। হিজরি সনের রবীউছছানীর ১১ তারিখে গাওছুল আ‘জম বড় পীর হযরত শেখ মুহিয়ুদ্দীন ‘আব্দুল কাদির জীলানীর (র.) নামে যে ফাতিহা অনুষ্ঠান পালিত হয়, তারই নাম ফাতেহায়ে ইয়াযদাহম। এই মহামনীষী ৪৭০ হিজরী পারস্যের জীলান এলাকার নীফ বা নায়ফ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সুফী মতাদর্শের কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা। জ্ঞানচর্চা, আধ্যাত্মিক সাধনা, শরী‘আত ও মা‘রিফাতের শিক্ষাদীক্ষা এবং দানখয়রাতের মাধ্যমে তিনি জীবন অতিবাহিত করেন। ৫৬১ হিজরীর ১১ রবীউছছানীতে ইরাকের বাগদাদ নগরীতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ফাতেহায়ে ইয়াযদাহম অনুষ্ঠানটি তাঁরই ওফাত দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এ অনুষ্ঠানের প্রচলন ইরান, মধ্য এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশেই সর্বাধিক। বাংলাদেশেও এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। দেশব্যাপী মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নানারকম কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তারমধ্যে পবিত্র কুরআন মজীদ খতম, দরূদ পাঠ, যিকির-আযকার, গাওছুল আ‘জমের জীবনী আলোচনা, মীলাদ, দোয়া-মোনাজাত ও তাবাররুক বিতরণ প্রধান। অনুষ্ঠানে আতর, গোলাপপানি ছিটানো হয় ও আগরবাতি জ্বালানো হয়। এ উপলক্ষে কোনো কোনো স্থানে কাওয়ালি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। [মুহাম্মদ আবদুর রহমান আনওয়ারী]