লিজিং

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৫৮, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

লিজিং বাংলাদেশের আর্থিক ইতিহাসে লিজিং ব্যবসা অপেক্ষাকৃতভাবে একটি নতুন ঘটনা। ১৯৮৫ সালে আইডিএলসির (Industrial Development Leasing Company of Bangladesh Limited) সঙ্গে একত্রে লিজিং কোম্পানির আত্মপ্রকাশ ঘটে। যৌথ উদ্যোক্তা হিসেবে এই কোম্পানি কোরিয়ান ডেভেলপমেন্ট লিজিং কর্পোরেশন (কেডিএলসি), আইএফসি, বিশ্বব্যাংকের একটি বেসরকারি শাখা এবং অন্যান্য সংস্থা নিয়ে গঠিত। অ-আমানতী সংগঠন হিসেবে এটি তার কার্যক্রম শুরু করে। লিজিং কোম্পানির জটিল হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, কর প্রদান সংক্রান্ত জটিল বৈশিষ্ট্য এবং বাংলাদেশে কোনো লিজিং বিশেষজ্ঞ না পাওয়ায় মি. জে.ডি.লি (J.D. Lee) নামক একজন কোরিয়ান লিজিং বিশেষজ্ঞকে আইডিএলসি’র প্রথম সিইও (CEO) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। মি. জে.ডি.লি-ই প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে লিজিং ব্যবসার ভিত্তি স্থাপন করেন। বর্তমানে দেশে কার্যকর ৩০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলির মধ্যে একটি সরকারি মালিকানাধীন, ১৫টি স্থানীয়, ১১টি বিদেশি অংশীদারিত্বের যৌথ উদ্যোগে এবং ২টি গৃহনির্মাণ ফিন্যান্স কোম্পানি।

পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তার জন্য মধ্যস্বত্বভোগী বিদ্যমান থাকে। সমাজের যেসব শ্রেণি সহজে ব্যাংক ঋণের সুবিধা পায়না এই মধ্যস্বত্ব ভোগকারীগণ তাদের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করে। সমাজের যেসব শ্রেণি সমমূলধন (equity) আকারে পর্যাপ্ত নগদ কিছু (cash mergin) ও ঋণ আদায়ের জন্য জামানত দিতে পারে না ব্যাংক সাধারণত তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে স্বস্তিবোধ করে না, কারণ এসব ক্ষেত্রে তাদের ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তা থাকে না। পক্ষান্তরে, লিজিং কোম্পানিগুলি ঋণ আদায়ের জন্য জামানত ও সমমূলধনের পরিবর্তে ব্যবসার সম্ভাবনা ও নগদ অর্থ প্রবাহের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। এসব কারণে দেখা গেছে যে, লিজিং কোম্পানিগুলি এসএমই (SME) খাতে দ্রুত বিস্তারলাভ করছে এবং ব্যাংকগুলি পিছিয়ে পড়ছে। ফলে সমগ্র দেশে এসএমই খাতে প্রায় ৬০ লক্ষের মতো গ্রাহক রয়েছে। লিজিং কোম্পানিগুলির প্রায় ৯০% অর্থ এসএমই খাতে ব্যয় করা হয় যা জিডিপি-র ক্ষেত্রে প্রায় ২৫% অবদান রাখে। সনি, স্যামসাং, মাইক্রোসফট ইত্যাদির মতো বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি এসএমই প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ব্যবসা শুরু করে। ১৯৪৬ সালে সনি ২০ জন কর্মচারী, ১৯৬৯ সালে স্যামসাং ৪০জন কর্মচারী এবং ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফট মাত্র ২জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা শুরু করে।

লিজিং কোম্পানিগুলি তাদের গ্রাহকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে মূলত সকল প্রকার ঝুঁকি গ্রহণের অধিকার ও স্বাধীনতা প্রদান করে এবং কোম্পানি কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূলধন ফেরত দিলে মালিককে পুরস্কৃত করা হয়। এরূপ আর্থিক সহায়তা পদ্ধতির অধীনে লিজ কোম্পানি লিজ চুক্তি আইনের মাধ্যমে গ্রাহক (ইজারাদার) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানিকে (ইজারাদাতাকে) কোনো কারণে ঋণ প্রদানে ব্যর্থ হলে কোম্পানি ঋণ প্রদানকৃত সম্পদের মালিকানার অধিকার লাভ করে। কিন্তু বাস্তবে ঋণ প্রদানকৃত সম্পদের পুনরাধিকার লাভের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয় এবং এর ফলে আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়। ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, আইএএস ১৭ ঋণ প্রদানকৃত অর্থকে এমন শ্রেণিতে শ্রেণিকৃত করেছে যেখানে কোম্পানি (ইজারাদাতা) গ্রাহককে (ইজাদার) সম্পদের মালিকানা হস্তান্তর করুক বা নাই-ই করুক ইজারাদার ক্ষেত্র বিশেষে সকল প্রকার ঝুঁকি ও পুরস্কার লাভের অধিকারী হবেন। আর্থিক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সম্পদের জন্য মূলধন খাতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য কোম্পানিকে সেই পরিমাণ পাওনা পরিশোধ করতে হবে যাতে বিনিয়োগের উপর ব্যয়িত অর্থ ফেরত আসে।

১৯৯৩ সালে নন-ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (এনবিএফআই) এবং ১৯৯৪ সালে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস রেগুলেশন পাশ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লিজিং কোম্পানিগুলি বাংলাদেশের ব্যাংকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। লিজিং কোম্পানিগুলির তদারকি ও কার্যাবলি তত্ত্বাবধানের জন্য সরকার প্রথম আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে, এবং পরবর্তীকালে তাদের কার্যাবলির অধিকতর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা আনার জন্য এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (এফআই)। ফলে পূর্বে প্রদত্ত সকল লিজিং কোম্পানিগুলিকে পূর্বের দেয়া অনুমতিপত্র/লাইসেন্স বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন করে গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব লিজিং কোম্পানির নামকরণ করে এনবিএফআই/ এফআই। এর পর থেকে লিজিং কোম্পানিগুলি তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৩ সলের ২৯ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, কোম্পানিগুলিকে তাদের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাংলাদেশের টাকায় কমপক্ষে ২৫০ মিলিয়নে উন্নীত করতে হবে এবং ২০০৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেয়ার বাজারে আইপিও ইস্যু করার মাধ্যমে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। এই নির্দিশে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের প্রায় সকল কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তত্ত্বাবধান, নজরদারি, ব্যাপক পরিকল্পনা এবং নীতি নির্ধারণী পরামর্শ দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিউশনগুলির কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। ১৯৯৩ সালের এনবিএফআই-এর আইনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলিকে জনসাধারণ, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়াদি আমানত (term deposit) গ্রহণের অনুমতি প্রদান। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন তাদের আমানত পুঁজি থেকে চলতি তহবিলের ৫৫ শতাংশ সম্পূরণ করতে পারে। এই ব্যবস্থা তাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার নির্ভরতা অনেকাংশেই কমিয়ে দিয়েছে। ১৯৯০ সালের মধ্যভাগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিউটশনগুলির নিয়ম অনুযায়ী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পূর্ব অনুমতি নিয়ে বন্ড ইস্যু, সম্পদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান, বিদেশি প্রতিষ্ঠান এবং দাতা তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে তাদের চলতি তহবিলের কাজ চালিয়ে যেতে পারে।

ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিউশনগুলির বিকাশের সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে তহবিল ব্যয় ও স্বল্পতা। ব্যাংকগুলির ৭% থেকে ৮% তহবিল ব্যয়ের বিপরীতে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলির তহবিল ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ যা গড় হিসাব করলে দাঁড়ায় ১২.৫% থেকে ১৩.৫%। ফলে ব্যাংকগুলি সুদমুক্ত চাহিদা আমানত, স্বল্প ব্যয় সম্বলিত সঞ্চয়ী আমানত, স্বল্প মেয়াদি আমানত সহ বিভিন্ন প্রকার আমানতের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারে। ব্যাংক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক আমানত ব্যতীত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি জনগণের নিকট থেকে সাধারণত কমপক্ষে এক বছরের জন্য মেয়াদি আমানত গ্রহণ করতে পারে। ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলি এবং নিগমবদ্ধ সংস্থা (corporate bodies) ব্যাংক থেকে মাত্র ৬ মাসের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আমানত গ্রহণ করতে পারে। অবশ্য ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তলবি অর্থ বাজার থেকে (call-money market) তাদের প্রকৃত মূলধনের ১৫% গ্রহণ করতে পারে।

ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান আর্থিক বিনিয়োগের স্থানগুলি হচ্ছে: বস্ত্রশিল্প, পোশাক শিল্প ও আনুষঙ্গিক উপকরণ, সড়ক ও সামুদ্রিক জলপথ যোগাযোগ, ঔষধ তৈরি ও রাসায়নিক সামগ্রী, লোহা, হালকা প্রকৌশলী কারখানাসহ স্টিল ও প্রকৌশল, ট্রাক্টর, ট্রেইলর ও পাওয়ার টিলার সহ কৃষিভিত্তিক শিল্প ও যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, তথ্যপ্রযুক্তি/তথ্য ও কম্পিউটার প্রযুক্তি, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং, ভূ-সম্পত্তি ও গৃহনির্মাণ, খাদ্য ও পানীয়, সেবাখাত, ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি।

ফিন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের চলতি তহবিল শক্তিশালী এবং ব্যাংক থেকে নগদ অর্থের ঋণের নির্ভরতা হ্রাসকরণের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রকার আমানতী ও সেবা প্রদান সুযোগ-সুবিধার প্রচলন করছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে: আকর্ষণীয় সুদের হার ও অর্থ বিনিয়োগ, যেমন মাসিক সুদ প্রদান, অগ্রিম সুদ প্রদান, দ্বিগুণ, তিনগুণ অর্থ প্রদান ইত্যাদি। ব্যাংকের তুলনায় তাদের সুদের হারের পরিমাণ ১% থেকে ৫.২% বেশি। নিজস্ব উৎস থেকে এসব সুযোগ-সুবিধা প্রদান তাদের চলতি তহবিল সংকট কিছুটা দূর করে আমানতের গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে সত্য, কিন্তু এতে তাদের তহবিল ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে সুদের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এরূপ উচ্চ সুদের হার প্রদানে অসমর্থ একটি বিরাট সংখ্যক গ্রাহকের নিকট তাদের সেবা প্রদান কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

উপর্যুক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছে যে, তাদের তহবিল ব্যয় হ্রাসকরণের জন্য যেন জন-অর্থায়ন শাখা খোলা হয়, যাতে তারা ব্যাংকগুলির পাশাপাশি একটি মধ্যপন্থী ভূমিকা পালন করতে পারে। ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের এই সমস্যা অনুধাবন করে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এসএমই ফাইন্যান্সিং স্কিম, লো-কস্ট স্পেশিয়াল ইউজিং ফিন্যান্স স্কিম, এ্যাগ্রো বেইসড ইন্ডাস্ট্রিজ ফিন্যান্সিং স্কিম ইত্যাদির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ প্রদান করছে। বর্তমানে তারা ব্যাংকগুলির মতোই পুনঅর্থায়ন শাখার অধীনে কাজ করছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের অ-নিষ্পন্ন অগ্রিম (এনপিও) ২০০৮-২০০৯ সাল ব্যতীত বিগত কয়েক বছরে ৫% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে। এখানে উল্লেখ্য যে , ২০০৮-২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে এই হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল।

সরকার ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ১৯৮৪ সালের ৩৬ নং অধ্যাদেশের তৃতীয় তফসিল সংশোধন করে। এই সংশোধনীর ফলে জন্মলগ্ন থেকে বিগত ২০ বছর ধরে লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলি যে অবচয় সঞ্চিতি/ভাতা/অধিদেয় (depreciation allowance) লাভ করে আসছিল তা প্রত্যাহার করা হয়। অবচয় সঞ্চিতি ছিল ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড ১৭-এর একটি স্বীকৃত অংশ। তাই এই অবচয় সঞ্চিতি প্রত্যাহারের ফলে লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলি মারাত্মক সমস্যার সন্মুখীন হয় এবং শুধুমাত্র একটি ঋণ প্রদান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।

শুধুমাত্র একটি আর্থিক দিক নিয়ে শুরু করলেও লিজিং কোম্পানিগুলি প্রাথমিকভাবে ৫ বছরের জন্য কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করে। এই কর অব্যাহতি সুবিধা ২০০১ সালে তুলে নেয়া হয়। অবশ্য স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ এবং গৃহনির্মাণ ঋণ ইত্যাদি ঋণ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের মোট আর্থিক কর্মকান্ডের প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসের বাংলাদেশের টাকায় ৮৬.৯ বিলিয়ন টাকার বিপরীতে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তাদের মোট অর্থের/পুঁজির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৯.৫ বিলিয়ন টাকা। শতকরা হিসেবে পরিমাপ করলে সমগ্র ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে লিজিং খাতের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫% হবে। [এ কাদির চৌধুরী]