কুমুদিনী কলেজ
কুমুদিনী কলেজ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী রায় বাহাদুর রনদা প্রসাদ সাহা (আর.পি সাহা) নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর মাতার নামানুসারে কলেজটির নামকরণ করেন কুমুদিনী কলেজ। ১৯৪৩ সালে টাঙ্গাইল শহরের প্রেমাদিত্য ঘোষের বাড়িতে কুমুদিনী কলেজের ক্লাশ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যতীন্দ্রনাথ রায় চৌধুরীর গুদামঘরে কলেজের ক্লাস অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কুমুদিনী কলেজ ছিল ঢাকা ইডেন কলেজ এবং সিলেট মহিলা কলেজ-এর পর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের তৃতীয় মহিলা কলেজ। কুমুদিনী কলেজের প্রথম অধ্যক্ষা ছিলেন শ্রীমতি জ্যোতির্ময়ী গঙ্গোপাধ্যায়।
আর.পি সাহা টাঙ্গাইলের বিশ্বাসবেতকা এলাকায় ১৯৪৫ সালে কলেজটি স্থানান্তর করেন। বর্তমানে কলেজটি ১৪ একর জায়গার উপর মনোরম পরিবেশে স্থাপিত। ১ জানুয়ারি ১৯৭৯ তারিখে জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত এই কলেজের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হতো কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে। বর্তমানে কলেজটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে স্বীকৃত। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাশ) পর্যায়ে পাঠদান ছাড়াও এর ১৬টি বিভাগের ৮টি বিষয়ে অনার্স ও ২টি মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজের শিক্ষকশিক্ষিকা সংখ্যা ৪৯ (শিক্ষক ৩২ এবং শিক্ষিকা ১৭) এবং ছাত্রী সংখ্যা ৪৭০৯। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই কলেজে ছাত্রীদের থাকার জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। হোস্টেলের আসন সংখ্যা ৪৫০। কলেজের একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে।
বাংলাদেশে নারীশিক্ষার অন্যতম পাদপীঠ কুমুদিনী কলেজ শিক্ষাবিস্তারের পাশাপাশি দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। কলেজের গার্লস গাইড ও মহিলা স্কাউট জাতীয়ভাবে সুনাম অর্জন করেছে। [মো আসাদুজ্জামান]