আনন্দলহরী

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৮:০৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)


আনন্দলহরী (খুলনা)

আনন্দলহরী   একটি লোকবাদ্যযন্ত্র। এর নির্মাণপ্রক্রিয়া খুবই সহজ। প্রথমে মাটি বা কাঠের তৈরী একটি শূন্যগর্ভ খোলের তলা চামড়া দ্বারা আবৃত করা হয়। তারপর এর ঠিক মাঝখানে কাঠি বা ধাতব চাকতি দ্বারা একগাছি সুতা আটকিয়ে চামড়ার ছাউনি ভেদ করে ওপরে তোলা হয়। খোলের ওপরের অংশে চামড়ার ঈষৎ ঘের থাকে। সুতার মাথায় থাকে মুঠ করে ধরার মতো ছোট আকারের একটি মাটির ভাঁড় বা কাঠের টুকরা। খোলটি বাম বগলে চেপে ধরে সুতার মাথা বাম হাত দিয়ে টেনে ধরা হয়। পরে ডান হাতে খুটনি বা শলাকা দিয়ে সুতায় টোকা দিলে গুব্গুব্ ধ্বনি ওঠে। মুঠের সুতা টান-ঢিল করে এ ধ্বনি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গুব্গুব্ ধ্বনি হওয়ার কারণে আঞ্চলিক ভাষায় যন্ত্রটিকে ‘গাব গুবাগুব’ বা ‘গুবগুবি’ও বলা হয়। এর অপর নাম ‘খমক’, আর শাস্ত্রীয় নাম ‘আনন্দলহরী’। সাধারণত  বাউল ও অন্যান্য আধ্যাত্মিক গানে আনন্দলহরী বাজানো হয়। মধ্যযুগে বিপ্রদাসের মনসাবিজয়, মুকুন্দরামের  চন্ডীমঙ্গল, মানিক গাঙ্গুলির ধর্মমঙ্গল  ইত্যাদি কাব্যে খমকের উল্লেখ আছে। [ওয়াকিল আহমদ]