চৌধুরী, আশরাফউদ্দীন আহমদ
চৌধুরী, আশরাফউদ্দীন আহমদ (১৮৯৪-১৯৭৬) কুমিল্লার (তৎকালীন ত্রিপুরা) বটগ্রামের এক জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুল ও সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলন-এ অংশগ্রহণ করেন। ১৯১৯ সালে ত্রিপুরা জেলা কৃষক সমিতির উদ্যোক্তা এবং ১৯৩৭ থেকে ১৯৪১ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফউদ্দীন আহমদ ছিলেন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জোরালো প্রবক্তা। উনিশ শতকের চল্লিশের দশকের রাজনীতিতে আশরাফউদ্দীন তাঁর মূল কংগ্রেস সমর্থক কৃষক রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ‘নিখিল বঙ্গ জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ’এ যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জামিয়াত-ই-উলামা-ই-হিন্দের বিভাগোত্তর শাখা তৎকালীন নেজামী ইসলাম পার্টির প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা নির্বাচনী এলাকা থেকে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেমব্লির সদস্য নির্বাচিত হন। আশরাফউদ্দীন চৌধুরী ছিলেন এ.কে ফজলুল হক এর নেতৃত্বে গঠিত (১৯৫৪) যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য। বিশ শতকের ষাটের দশকে এবং সত্তরের দশকের প্রথম দিকে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল অস্পষ্ট। ১৯৭৬ সালের ২৫ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [রাণা রাজ্জাক]