আমতলী উপজেলা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:১৯, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))

আমতলী উপজেলা (বরগুনা জেলা)  আয়তন: ৭২০.৭৬ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২১°৫১´ থেকে ২২°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°০০´ থেকে ৯০°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পটুয়াখালী সদর, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে গলাচিপা উপজেলা ও কলাপাড়া উপজেলা, পশ্চিমে বরগুনা সদর উপজেলা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৫৯৭৫৭; পুরুষ ১৩২০১৭, মহিলা ১২৭৭৪০। মুসলিম ২৪২৫১৭, হিন্দু ১৬০৫৮, খ্রিস্টান ১১৩৪, বৌদ্ধ ১৮ এবং অন্যান্য ৩০।  উপজেলার বড়বগী ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসবাস আছে।

জলাশয় বুড়িশ্বর ও আন্ধারমানিক নদী এবং রাবনাবাদ চ্যানেল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন ১৮৫৯ সালে স্থাপিত গুলিশাখালী থানা ১৯০৪ সালে আমতলীতে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি উপজেলা।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১ (আমতলী) ১০ ৬৬ ১৮১ ১৮১৭৯ ২৪১৫৭৮ ৩৬০ ৬৪.৩% ৪৪.৫



পৌরসভা
আয়তন(বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৮.৭৫ ১৫ ১৩৩০৫ ১৫২১ ৬৯.৯


উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১২.২৫ ৪৮৭৪ ৪০০ ৪৮.২
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
আঠারগাশিয়া ২৩ ৮৮৭৩ ১১৩৫৭ ১১২৭১ ৪২.৬৭
অর্পণগাশিয়া ১৫ ৬৬৩৩ ৭৪৮৩ ৭০৫০ ৪২.২১
আমতলি ১৩ ১২৫৩১ ১২১২২ ১১৭২৮ ৮৪.২৬
কড়াইবাড়িয়া ৭৯ ১৩৪২৯ ১০৪৫২ ১০০২০ ৫২.২৪
কুকুয়া ৮৭ ৪৪৪৪ ১১৫৭১ ১১৭৮৮ ৩৯.৭৩
গুলিসাখালি ৬৩ ১০৯৩৫ ১৪০৬৫ ১৪১১৮ ৪৫৩৪১
চৌরা ৪৭ ৮০৬২ ১০১৭৮ ৯৯৬৮ ৪৭.৮৩
পঞ্চকোরালিয়া ৯৪ ১৩০৪৪ ১২২৬৯ ১১৯৯৫ ২৯.১৫
বড়বাগী ৩৯ ৩৩৪২৩ ২০০৩৪ ১৮৪৩৮ ৪৮.৯৫
হলদিয়া ৭১ ১৭৪৪৪ ১৫৪৩৯ ১৫১০৬ ৪৬.৬৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ তেপুরার গাজী কালুর মাযার, চাওড়া পাতাকাটার মাটির দুর্গ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিফলক ৩।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়হার ৪৫.৯%; পুরুষ ৪৯.১%, মহিলা ৪২.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: আমতলী ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৯), আমতলী একে পাইলট হাইস্কুল (১৯৩৪)।


পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সাপ্তাহিক পায়রাপাড়, শোক নয় শক্তি।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ২৬, লাইব্রেরি ১, নাট্যদল ২, সাহিত্য সংগঠন ২, মহিলা সংগঠন ২৬, সিনেমা হল ৩।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০.৪৬%, অকৃষি শ্রমিক ৪.০১%, ব্যবসা ৯.৪২%, চাকরি ৪.২৭%, নির্মাণ ১.০২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ১.৭৪%, শিল্প ০.২৬, অন্যান্য ৮.৪৮%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, চিনাবাদাম, খেসারি, মুগ, ছোলা, সরিষা, আলু, মরিচ, কুমড়া।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিসি, তিল।

প্রধান ফল-ফলাদিব পেয়ারা, আমড়া, তরমুজ।

যোগাযোগ বিশেষত্ব নৌপথ ৪১০ নটিক্যাল মাইল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা করাতকল, আটাকল, সাবান কারখানা, কলম কারখানা।

কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, ওয়েল্ডিং কারখানা, মৃৎশিল্প, বাঁশ, বেত ও কাঠের কাজ।

হাটবাজার, মেলা   গাজিপুরের গরুর হাট ও গাজী কালুর মেলা উল্লেখযোগ্য।

বিদ্যুৎ ব্যবহার উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯.০৫% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.৮২%, ট্যাপ ০.৩০%, পুকুর ৪.৩৭% এবং অন্যান্য ১.৫১%। এ উপজেলার অগভীর নলকূপের পানিতে সহনীয় মাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা উপজেলার ৩৪.৯৮% (গ্রামে ৩১.৭০% ও শহরে ৮০.১৮%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৫৫.৪৪% (গ্রামে ৫৮.২৩% ও শহরে ১৭.০৫%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৯.৫৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্যাটলাইট ক্লিনিক ৩, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১০।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্লাবন ও ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলায় বেশসংখ্যক লোকের প্রাণহানির ঘটনাসহ গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এনজিও কেয়ার, ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, কারিতাস, সিএমএইচ।  [শাহাবুদ্দিন পান্না]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  আমতলী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন  ২০০৭।