হাই, মিরজা আবদুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

০৫:১৭, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

হাই, মিরজা আবদুল (১৯১৯-১৯৮৪) কথাসাহিত্যিক। প্রকৃত নাম মিরজা আবু মুসা আবদুল হাই। ১৯১৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার আবদা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা মিরজা আবদুল হেকিম ছিলেন এলএমএফ চিকিৎসক।

আবদুল হাই ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক (১৯৩৭) এবং মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে আইএসসি (১৯৩৯) ও বিএসসি (১৯৪২) পাস করেন। পরের বছর তিনি আসাম প্রাদেশিক সরবরাহ বিভাগের ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে ইস্ট পাকিস্তান জুনিয়র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন বিভাগে যোগ দেন। পরের বছর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯৬৪ সালে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ১৯৭৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৪০ সাল থেকে মিরজা আবদুল হাইয়ের গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ছায়া-প্রচ্ছায়া (১৯৭৬), বিস্ফোরণ (১৯৭৮) এবং উপন্যাস ফিরে চলো (১৯৭৯), তোমার পতাকা (১৯৮১) ইত্যাদি। ব্যক্তি ও সমাজকে তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে ছোটগল্প ও উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। তাঁর ফিরে চলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি সফল উপন্যাস। এতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা স্থান পেয়েছে। তিনি ছোটগল্পের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৮৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। [শোয়াইব আহমেদ জিবরান]

@@ ১ নং লাইন: / ১ নং লাইন: @@
 [[Category:বাংলাপিডিয়া]]
-'''হাই, মিরজা আবদুল '''(১৯১৯-১৯৮৪)'''  '''কথাসাহিত্যিক। প্রকৃত নাম মিরজা আবু মুসা আবদুল হাই।''' '''১৯১৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার আবদা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা মিরজা আবদুল হেকিম ছিলেন এলএমএফ চিকিৎসক।
+'''হাই, মিরজা আবদুল''' (১৯১৯-১৯৮৪)  কথাসাহিত্যিক। প্রকৃত নাম মিরজা আবু মুসা আবদুল হাই। ১৯১৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার আবদা গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা মিরজা আবদুল হেকিম ছিলেন এলএমএফ চিকিৎসক।
+[[Image:HyeMirzaAbdul.jpg|thumb|400px|মিরজা আবদুল হাই]]
 আবদুল হাই ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক (১৯৩৭) এবং মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে আইএসসি  (১৯৩৯) ও বিএসসি (১৯৪২) পাস করেন। পরের বছর তিনি আসাম প্রাদেশিক সরবরাহ বিভাগের ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে ইস্ট পাকিস্তান জুনিয়র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন বিভাগে যোগ দেন। পরের বছর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯৬৪ সালে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ পদে তিনি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি ১৯৭৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
-[[Image:HyeMirzaAbdul.jpg|thumb|400px|মিরজা আবদুল হাই]]
+১৯৪০ সাল থেকে মিরজা আবদুল হাইয়ের গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ছায়া-প্রচ্ছায়া  (১৯৭৬), বিস্ফোরণ (১৯৭৮) এবং উপন্যাস ফিরে চলো (১৯৭৯), তোমার পতাকা (১৯৮১) ইত্যাদি। ব্যক্তি ও সমাজকে তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে  [[ছোটগল্প|ছোটগল্প]] ও উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। তাঁর ফিরে চলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি সফল  [[উপন্যাস|উপন্যাস]]। এতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা স্থান পেয়েছে। তিনি ছোটগল্পের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৮৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [শোয়াইব আহমেদ জিবরান]
-১৯৪০ সাল থেকে মিরজা আবদুল হাইয়ের গল্প বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। তাঁর প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ছায়া-প্রচ্ছায়া  (১৯৭৬), বিস্ফোরণ (১৯৭৮) এবং উপন্যাস ফিরে চলো (১৯৭৯), তোমার পতাকা (১৯৮১) ইত্যাদি। ব্যক্তি ও সমাজকে তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে  [[ছোটগল্প|ছোটগল্প]] ও উপন্যাসে''' '''তুলে ধরেছেন। তাঁর ফিরে চলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি সফল  [[উপন্যাস|উপন্যাস]]। এতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঘটনা স্থান পেয়েছে। তিনি ছোটগল্পের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৮৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
-[শোয়াইব আহমেদ জিবরান]
 [[en:Hye, Mirza Abdul]]