সাতগাছিয়া মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:SatgachiaMosque.jpg|thumb|right|সাতগাছিয়া মসজিদ, ঝিনাইদহ (বর্তমান অবস্থা)]] | |||
'''সাতগাছিয়া মসজিদ''' ঝিনাইদহ জেলার [[বারোবাজার|বারোবাজার]] এ অবস্থিত (কালিগঞ্জ উপজেলার কষ্টভঙ্গ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৬ কিমি পশ্চিমে)। সম্ভবত পনেরো শতকের শেষভাগে নির্মিত বা মুগলপূর্ব যুগের এ মসজিদটি ১৯৭৮ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে সাতগাছিয়ার গ্রামবাসীর সামনে উন্মোচিত হয়। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চলে এবং বর্তমানে সাতগাছিয়া মসজিদটি [[প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর|বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর]]-এর অধীনে একটি সংরক্ষিত ইমারত। | '''সাতগাছিয়া মসজিদ''' ঝিনাইদহ জেলার [[বারোবাজার|বারোবাজার]] এ অবস্থিত (কালিগঞ্জ উপজেলার কষ্টভঙ্গ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৬ কিমি পশ্চিমে)। সম্ভবত পনেরো শতকের শেষভাগে নির্মিত বা মুগলপূর্ব যুগের এ মসজিদটি ১৯৭৮ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে সাতগাছিয়ার গ্রামবাসীর সামনে উন্মোচিত হয়। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চলে এবং বর্তমানে সাতগাছিয়া মসজিদটি [[প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর|বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর]]-এর অধীনে একটি সংরক্ষিত ইমারত। | ||
আয়তাকার সাতগাছিয়া মসজিদটির প্রতি দেয়ালের পুরুত্ব ১.৫ মিটার এবং দেয়ালের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণে ২৪.২৫ মি. ও পূর্ব-পশ্চিমে ১৮.৫৫ মিটার। মসজিদের পূর্বদিকে ছিল সাতটি খিলান বিশিষ্ট প্রবেশদ্বার। এ ছাড়াও দক্ষিণে ছিল পাঁচটি, উত্তরে ছিল তিনটি প্রবেশদ্বার ও দু’টি কুলুঙ্গি এবং পশ্চিমদিকে ছিল একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার। মসজিদের মূল ইমারতটি ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। এর প্রার্থনা কক্ষটি ৭টি আইল ও পাঁচটি বে তে বিভক্ত এবং ৬ সারিতে মোট চারটি করে ২৪টি নিরাবলম্ব স্তম্ভে বিন্যাস্ত। চারকোণের চারটি স্তম্ভ ছিল গোলাকার টারেটে আচ্ছাদিত। ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট সাতগাছিয়া মসজিদটির সঙ্গে ষাটগম্বুজ মসজিদের সাদৃশ্য বিদ্যমান। | আয়তাকার সাতগাছিয়া মসজিদটির প্রতি দেয়ালের পুরুত্ব ১.৫ মিটার এবং দেয়ালের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণে ২৪.২৫ মি. ও পূর্ব-পশ্চিমে ১৮.৫৫ মিটার। মসজিদের পূর্বদিকে ছিল সাতটি খিলান বিশিষ্ট প্রবেশদ্বার। এ ছাড়াও দক্ষিণে ছিল পাঁচটি, উত্তরে ছিল তিনটি প্রবেশদ্বার ও দু’টি কুলুঙ্গি এবং পশ্চিমদিকে ছিল একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার। মসজিদের মূল ইমারতটি ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। এর প্রার্থনা কক্ষটি ৭টি আইল ও পাঁচটি বে তে বিভক্ত এবং ৬ সারিতে মোট চারটি করে ২৪টি নিরাবলম্ব স্তম্ভে বিন্যাস্ত। চারকোণের চারটি স্তম্ভ ছিল গোলাকার টারেটে আচ্ছাদিত। ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট সাতগাছিয়া মসজিদটির সঙ্গে ষাটগম্বুজ মসজিদের সাদৃশ্য বিদ্যমান। | ||
মসজিদের সাতটি মিহরাবের মধ্যে চারটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এগুলি শেকল ও ঘন্টা, সূর্যমুখী ফুল, গোলাপ প্রভৃতির সমৃদ্ধ নকশা দ্বারা অলংকৃত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর দিকে একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার রয়েছে। এটি ষাটগম্বুজ মসজিদের প্রবেশদ্বারের সঙ্গে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। [খন্দকার আলমগীর] | মসজিদের সাতটি মিহরাবের মধ্যে চারটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এগুলি শেকল ও ঘন্টা, সূর্যমুখী ফুল, গোলাপ প্রভৃতির সমৃদ্ধ নকশা দ্বারা অলংকৃত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর দিকে একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার রয়েছে। এটি ষাটগম্বুজ মসজিদের প্রবেশদ্বারের সঙ্গে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। [খন্দকার আলমগীর] |
০৯:৫৫, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সাতগাছিয়া মসজিদ ঝিনাইদহ জেলার বারোবাজার এ অবস্থিত (কালিগঞ্জ উপজেলার কষ্টভঙ্গ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৬ কিমি পশ্চিমে)। সম্ভবত পনেরো শতকের শেষভাগে নির্মিত বা মুগলপূর্ব যুগের এ মসজিদটি ১৯৭৮ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে সাতগাছিয়ার গ্রামবাসীর সামনে উন্মোচিত হয়। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য চলে এবং বর্তমানে সাতগাছিয়া মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর-এর অধীনে একটি সংরক্ষিত ইমারত।
আয়তাকার সাতগাছিয়া মসজিদটির প্রতি দেয়ালের পুরুত্ব ১.৫ মিটার এবং দেয়ালের প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণে ২৪.২৫ মি. ও পূর্ব-পশ্চিমে ১৮.৫৫ মিটার। মসজিদের পূর্বদিকে ছিল সাতটি খিলান বিশিষ্ট প্রবেশদ্বার। এ ছাড়াও দক্ষিণে ছিল পাঁচটি, উত্তরে ছিল তিনটি প্রবেশদ্বার ও দু’টি কুলুঙ্গি এবং পশ্চিমদিকে ছিল একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার। মসজিদের মূল ইমারতটি ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। এর প্রার্থনা কক্ষটি ৭টি আইল ও পাঁচটি বে তে বিভক্ত এবং ৬ সারিতে মোট চারটি করে ২৪টি নিরাবলম্ব স্তম্ভে বিন্যাস্ত। চারকোণের চারটি স্তম্ভ ছিল গোলাকার টারেটে আচ্ছাদিত। ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট সাতগাছিয়া মসজিদটির সঙ্গে ষাটগম্বুজ মসজিদের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
মসজিদের সাতটি মিহরাবের মধ্যে চারটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এগুলি শেকল ও ঘন্টা, সূর্যমুখী ফুল, গোলাপ প্রভৃতির সমৃদ্ধ নকশা দ্বারা অলংকৃত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের উত্তর দিকে একটি বন্ধ প্রবেশদ্বার রয়েছে। এটি ষাটগম্বুজ মসজিদের প্রবেশদ্বারের সঙ্গে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ। [খন্দকার আলমগীর]