মাষকলাই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
মাষকলাই বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। এর রান্না ডাল খুবই জনপ্রিয়। এটির ময়দা দিয়ে রুটিও বানানো যায়। শুকনো এই ডালে আছে প্রায় ৯.৭% পানি, ২৩.৪% প্রোটিন, ১% চর্বি, ৫৭.৩% শর্করা, ৩.৮% অাঁশ ও ৪.৯% ছাই। এটি সবুজ সার, আচ্ছাদক শস্য এবং পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহার্য। এর রোগবালাইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাউনি মিলডিউ, রাস্ট, পাতার দাগপড়া রোগ এবং শুঁয়োপোকার প্রকোপ। [নিশীথ কুমার পাল] | মাষকলাই বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। এর রান্না ডাল খুবই জনপ্রিয়। এটির ময়দা দিয়ে রুটিও বানানো যায়। শুকনো এই ডালে আছে প্রায় ৯.৭% পানি, ২৩.৪% প্রোটিন, ১% চর্বি, ৫৭.৩% শর্করা, ৩.৮% অাঁশ ও ৪.৯% ছাই। এটি সবুজ সার, আচ্ছাদক শস্য এবং পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহার্য। এর রোগবালাইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাউনি মিলডিউ, রাস্ট, পাতার দাগপড়া রোগ এবং শুঁয়োপোকার প্রকোপ। [নিশীথ কুমার পাল] | ||
''আরও দেখুন'' ডাল, | ''আরও দেখুন'' [[ডাল|ডাল]], [[ফসল|ফসল]]। | ||
[[en:Black Gram]] | [[en:Black Gram]] |
০৫:২৭, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মাষকলাই ডালজাতীয় শস্য। Leguminosae গোত্রের গুল্ম, vigna mungo। এ ডালশস্যটির চাষ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই চলছে। এটি বনেও জন্মে, তবে এঁটেল মাটিতে ভাল ফলে। খরাসহিষ্ণু এই ডাল বর্ষা ও শীত মৌসুমের ফসল। ধানের সঙ্গে প্রায়শ পর্যায়িক চাষে এবং কখনও কখনও মিশ্রচাষেও ফলানো হয়। অগভীর চষা জমিতেই ভাল ফলন দেয়, গভীর চষা জমিতে ফলের বদলে ডালপালাই বেশি বাড়ে। ফসল পাকে ৮০-১২০ দিনের মধ্যে। ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৭১৪ কেজি শুকনো ডাল। দেশে মাষকলাই চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ১,৪৮,৩৮০ হেক্টর ও বার্ষিক মোট উৎপাদন প্রায় ১,৩৬,০৮৫ মে টন।
প্রায় ৪০ সেমি লম্বা মাষকলাই গাছ খাড়া, আংশিক খাড়া বা গড়ানো হয়। ফুলের রং ফ্যাকাসে হলুদ। শুঁটিগুলি খাড়া বা আংশিক খাড়া; পাকলে হালকা বা গাঢ় বাদামি। বীজ সাধারণত কালো, তবে সবুজও হয়ে থাকে।
মাষকলাই বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল। এর রান্না ডাল খুবই জনপ্রিয়। এটির ময়দা দিয়ে রুটিও বানানো যায়। শুকনো এই ডালে আছে প্রায় ৯.৭% পানি, ২৩.৪% প্রোটিন, ১% চর্বি, ৫৭.৩% শর্করা, ৩.৮% অাঁশ ও ৪.৯% ছাই। এটি সবুজ সার, আচ্ছাদক শস্য এবং পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহার্য। এর রোগবালাইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাউনি মিলডিউ, রাস্ট, পাতার দাগপড়া রোগ এবং শুঁয়োপোকার প্রকোপ। [নিশীথ কুমার পাল]