ভোজবিহার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:


[[Image:BhojaBiharPlan.jpg|thumb|right|ভূমি নকশা, ভোজবিহার]]
[[Image:BhojaBiharPlan.jpg|thumb|right|ভূমি নকশা, ভোজবিহার]]
তবে এ যাবৎ খননকাজ যতটুকু এগিয়েছে তাতে মধ্যস্থলের মন্দিরের উপরের অংশ এবং বর্গাকার বিহারের রূপরেখা ও এর উত্তরাংশের মধ্যস্থলে অবস্থিত আকর্ষণীয় এক প্রবেশদ্বার লক্ষ্য করা যায়। কেবল সামান্য ছোটখাটো পার্থক্য ছাড়া এ বৌদ্ধমঠটি সবদিক দিয়েই অবিকল শালবন বিহার ও [[আনন্দবিহার|আনন্দ বিহার]]এর অনুরূপ। যে স্থাপত্যশৈলী এটিকে এখানকার আর সব বিহার থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে তাহলো এটি একটি বর্গাকার [[মঠ|মঠ]]। পাঁচ মিটার বা তারও বেশি পুরু এক পশ্চাৎ প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত। এর প্রবেশপথ মাত্র একটি। যথেষ্ট মজবুত এ প্রবেশপথের সম্মুখভাগ প্রশস্ত ও আকর্ষণীয়। আর প্রহরী কক্ষগুলি রয়েছে উত্তরদিকের মধ্যস্থলে অভিক্ষিপ্ত আকারে। বিহারের মধ্যস্থলের ক্রুশাকার মন্দিরটি হলো এ প্রত্নস্থলের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সৌধ। বিহারের আঙিনায় আরও রয়েছে অনেক আনুষঙ্গিক ভবন, উপাসনা  [[স্তূপ|সূতপ]], গৌণ মন্দিরসমূহ ও ভজনালয়।
তবে এ যাবৎ খননকাজ যতটুকু এগিয়েছে তাতে মধ্যস্থলের মন্দিরের উপরের অংশ এবং বর্গাকার বিহারের রূপরেখা ও এর উত্তরাংশের মধ্যস্থলে অবস্থিত আকর্ষণীয় এক প্রবেশদ্বার লক্ষ্য করা যায়। কেবল সামান্য ছোটখাটো পার্থক্য ছাড়া এ বৌদ্ধমঠটি সবদিক দিয়েই অবিকল শালবন বিহার ও [[আনন্দবিহার|আনন্দ বিহার]]এর অনুরূপ। যে স্থাপত্যশৈলী এটিকে এখানকার আর সব বিহার থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে তাহলো এটি একটি বর্গাকার [[মঠ|মঠ]]। পাঁচ মিটার বা তারও বেশি পুরু এক পশ্চাৎ প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত। এর প্রবেশপথ মাত্র একটি। যথেষ্ট মজবুত এ প্রবেশপথের সম্মুখভাগ প্রশস্ত ও আকর্ষণীয়। আর প্রহরী কক্ষগুলি রয়েছে উত্তরদিকের মধ্যস্থলে অভিক্ষিপ্ত আকারে। বিহারের মধ্যস্থলের ক্রুশাকার মন্দিরটি হলো এ প্রত্নস্থলের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সৌধ। বিহারের আঙিনায় আরও রয়েছে অনেক আনুষঙ্গিক ভবন, উপাসনা  [[স্তূপ|সূতপ]], গৌণ মন্দিরসমূহ ও ভজনালয়।



০৫:৫২, ২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ভোজবিহার  কুমিল্লার কাছে ময়নামতীর শালবন বিহার ও আনন্দ বিহারের পর তৃতীয় বৃহদায়তন ভিক্ষু নিবাস ও স্থাপনা। এটি কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমী সংলগ্ন কোটবাড়ির কেন্দ্রে অবস্থিত। স্থানটির পূর্বে রয়েছে এক বিরাট আকারের জলাশয়। সাম্প্রতিককালের খননকার্যের ফলে এখানে ১৩৭.২ বর্গমিটার আয়তনের বৌদ্ধ মঠের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ মঠ বা বিহারের কেন্দ্রস্থলে খোলা আঙিনায় ছিল একটি বড় আকারের মন্দির। ১৯৪৪-৪৫ সালের দিকে লুটেরারা এ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এখানকার খননকাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, অনেক কিছুই এখনও উদ্ঘাটিত হয় নি।

ভূমি নকশা, ভোজবিহার

তবে এ যাবৎ খননকাজ যতটুকু এগিয়েছে তাতে মধ্যস্থলের মন্দিরের উপরের অংশ এবং বর্গাকার বিহারের রূপরেখা ও এর উত্তরাংশের মধ্যস্থলে অবস্থিত আকর্ষণীয় এক প্রবেশদ্বার লক্ষ্য করা যায়। কেবল সামান্য ছোটখাটো পার্থক্য ছাড়া এ বৌদ্ধমঠটি সবদিক দিয়েই অবিকল শালবন বিহার ও আনন্দ বিহারএর অনুরূপ। যে স্থাপত্যশৈলী এটিকে এখানকার আর সব বিহার থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে তাহলো এটি একটি বর্গাকার মঠ। পাঁচ মিটার বা তারও বেশি পুরু এক পশ্চাৎ প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত। এর প্রবেশপথ মাত্র একটি। যথেষ্ট মজবুত এ প্রবেশপথের সম্মুখভাগ প্রশস্ত ও আকর্ষণীয়। আর প্রহরী কক্ষগুলি রয়েছে উত্তরদিকের মধ্যস্থলে অভিক্ষিপ্ত আকারে। বিহারের মধ্যস্থলের ক্রুশাকার মন্দিরটি হলো এ প্রত্নস্থলের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সৌধ। বিহারের আঙিনায় আরও রয়েছে অনেক আনুষঙ্গিক ভবন, উপাসনা  সূতপ, গৌণ মন্দিরসমূহ ও ভজনালয়।

কেন্দ্রস্থলের মন্দিরের উত্তরাংশ এখন খননের ফলে পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয়েছে। এখানে পাওয়া গেছে ব্রোঞ্জ নির্মিত বজ্রসত্ত্ব মূর্তি। এ মূর্তিটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ও স্পষ্টত একটি বিশেষ ধর্মীয় মতবাদীদের পবিত্র আরাধ্য দেবতা। দেবতার এ অধিষ্ঠানস্থলের দুটি প্রদক্ষিণ পথ থাকায় তা আরও পবিত্রতার মাহাত্ম্যমন্ডিত।  [এম হারুনুর রশিদ]