বারডেম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিল মনোনিত বোর্ড অব ম্যানেজমেণ্ট (BOM) এর অধীন একজন মহাপরিচালক বারডেমের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস চিকিৎসা হয় জনগনের এমন ধারণা পাল্টাতে সম্প্রতি হাসপাতাল অংশের নামকরণ হয়েছে' ‘বারডেম জেনারেল হাসপাতাল’। [সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ও এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী] | বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিল মনোনিত বোর্ড অব ম্যানেজমেণ্ট (BOM) এর অধীন একজন মহাপরিচালক বারডেমের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস চিকিৎসা হয় জনগনের এমন ধারণা পাল্টাতে সম্প্রতি হাসপাতাল অংশের নামকরণ হয়েছে' ‘বারডেম জেনারেল হাসপাতাল’। [সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ও এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী] | ||
''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি|বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি]]; [[ইব্রাহিম, মোহাম্মদ|মোহাম্মদ ইব্রাহিম | ''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি|বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি]]; [[ইব্রাহিম, মোহাম্মদ|মোহাম্মদ ইব্রাহিম]]; [[গিরা প্রতিস্থাপন|গিরা প্রতিস্থাপন]]। | ||
[[en:BIRDEM]] | [[en:BIRDEM]] |
১০:৫৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বারডেম (Bangladesh Institute of Research and Rehabilitation in Diabetes Endocrine and Metabolic Disorders/BIRDEM) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত একটি বহুমুখী চিকিৎসা সেবা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত জমিতে সরকারী অর্থানুকুল্যে ১৯৮০ সালে চালু বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটি তিনটি বৃহৎ ভবনে অবস্থিত। পনেরো তলা একটি ভবনে অবস্থিত হাসপাতালে বর্তমানে রয়েছে ৫৪২টি শয্যা, এর মধ্যে ৮০টি ফ্রি শয্যা দরিদ্র রোগীদের জন্য। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবার জন্য এখানে আসেন। প্রায় সব ধরনের ক্লিনিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সুযোগ-সুবিধাসহ এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া হাসপাতালটিতে দক্ষ জনবল ও উন্নত যন্ত্রপাতিসহ ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রায় সকল শাখা রয়েছে এবং ডায়াবেটিস নন্ডায়াবেটিস সব রোগীদেরই চিকিৎসা দেয়া হয় তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। পূর্ণকালীন নিয়োজিত জনবলসহ বারডেমে রয়েছে একটি পৃথক গবেষণা বিভাগ। বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতায় এসব কর্মকান্ড চলে।
বারডেমে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা ও নির্ধারিত কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। ‘ক্রস ফিনান্সিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থাৎ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক সেবা দেয়ার মাধ্যমে অর্জিত আয় ডায়াবেটিক রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করা হয়। রোগীরা ডাক্তারি তদারকি, পরামর্শ, বহুমূত্র বিষয়ক শিক্ষা (সার্বিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক ধারণাসহ), পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শ, সামাজিক সহযোগিতা এবং প্রয়োজনে পুনর্বাসন পায়। বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে ইনসুলিন, ওরাল হাইপোগ্লিসিমিক এজেন্টস ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।
বারডেমসহ দেশের অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতাসম্পন্ন লোকবল সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৮৬ বারডেম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বারডেম একাডেমিতে ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিজম বিষয়ে এম.ফিল, এম.ডি ও পিএইচ.ডি সহ ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি কোর্স পরিচালিত হয়। এছাড়া জেনারেল সার্জারি, চক্ষু, মেডিসিন, গাইনি, এনেস্থেসিয়া, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন প্রভৃতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ১৯৮২ সালে বারডেম বহুমূত্র প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কম্যুনিটিভিত্তিক কর্মসূচি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে। ইউরোপের বাইরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এটাই প্রথম।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ন্যাশনাল কাউন্সিল মনোনিত বোর্ড অব ম্যানেজমেণ্ট (BOM) এর অধীন একজন মহাপরিচালক বারডেমের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস চিকিৎসা হয় জনগনের এমন ধারণা পাল্টাতে সম্প্রতি হাসপাতাল অংশের নামকরণ হয়েছে' ‘বারডেম জেনারেল হাসপাতাল’। [সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ও এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী]
আরও দেখুন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি; মোহাম্মদ ইব্রাহিম; গিরা প্রতিস্থাপন।