বানু, লায়লা আর্জুমান্দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বানু, লায়লা আর্জুমান্দ '''(১৯২৯-১৯৯৫) গায়িকা ও সমাজকর্মী। তিনি ১৯২৯ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার ইডেন বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] এ ফারসি ও দর্শনশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৯ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। | [[Image:BanuLeilaArjumand.jpg|thumb|right|400px|লায়লা আর্জুমান্দ বানু]] | ||
'''বানু, লায়লা আর্জুমান্দ''' (১৯২৯-১৯৯৫) গায়িকা ও সমাজকর্মী। তিনি ১৯২৯ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার ইডেন বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] এ ফারসি ও দর্শনশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৯ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। | |||
লায়লা আর্জুমান্দ বানু ওস্তাদ গুল মুহম্মদ খানের তত্ত্বাবধানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রাথমিক তালিম গ্রহণ করেন। নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, গজল, আধুনিক ও লোক সঙ্গীতে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর অসাধারণ কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র [[ঢাকা|ঢাকা]] বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। দশ বছর বয়সে প্রথম মুসলিম কণ্ঠশিল্পি হিসেবে তিনি ঢাকা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। | লায়লা আর্জুমান্দ বানু ওস্তাদ গুল মুহম্মদ খানের তত্ত্বাবধানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রাথমিক তালিম গ্রহণ করেন। নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, গজল, আধুনিক ও লোক সঙ্গীতে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর অসাধারণ কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র [[ঢাকা|ঢাকা]] বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। দশ বছর বয়সে প্রথম মুসলিম কণ্ঠশিল্পি হিসেবে তিনি ঢাকা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। | ||
এমন এক সময় ছিল যখন [[পর্দা|পর্দা]] প্রথা নারীদেরকে ঘরের বাইরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করত তখন লায়লা আর্জুমান্দ বানু তাঁর পিতা বিশিষ্ট ঐতিহাসিক [[তৈফুর, সৈয়দ মোহাম্মদ|সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর]] ও মা সারা তৈফুরের সক্রিয় সহযোগিতায় সকল বাধা-নিষেধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ইরানের শাহ রেজা পাহলবীর নিকট থেকে ‘অভিষেক পদক’ এবং ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নিকট হতে ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সাল হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা সঙ্গীত কলেজের অবৈতনিক অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ঢাকা জাদুঘরের ট্রাস্টি, ‘নজরুল স্বরলিপি শুদ্ধীকরণ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে প্রকাশিত ঢাকা পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার-এর সংগঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন। | এমন এক সময় ছিল যখন [[পর্দা|পর্দা]] প্রথা নারীদেরকে ঘরের বাইরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করত তখন লায়লা আর্জুমান্দ বানু তাঁর পিতা বিশিষ্ট ঐতিহাসিক [[তৈফুর, সৈয়দ মোহাম্মদ|সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর]] ও মা সারা তৈফুরের সক্রিয় সহযোগিতায় সকল বাধা-নিষেধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ইরানের শাহ রেজা পাহলবীর নিকট থেকে ‘অভিষেক পদক’ এবং ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নিকট হতে ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সাল হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা সঙ্গীত কলেজের অবৈতনিক অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ঢাকা জাদুঘরের ট্রাস্টি, ‘নজরুল স্বরলিপি শুদ্ধীকরণ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে প্রকাশিত ঢাকা পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার-এর সংগঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন। | ||
বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে বহুবার তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারঁ মৃত্যু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। [শাহনাজ হুদা] | বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে বহুবার তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারঁ মৃত্যু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। [শাহনাজ হুদা] |
০৯:০৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বানু, লায়লা আর্জুমান্দ (১৯২৯-১৯৯৫) গায়িকা ও সমাজকর্মী। তিনি ১৯২৯ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার ইডেন বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ফারসি ও দর্শনশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৯ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
লায়লা আর্জুমান্দ বানু ওস্তাদ গুল মুহম্মদ খানের তত্ত্বাবধানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রাথমিক তালিম গ্রহণ করেন। নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, গজল, আধুনিক ও লোক সঙ্গীতে তাঁর বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর অসাধারণ কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র ঢাকা বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। দশ বছর বয়সে প্রথম মুসলিম কণ্ঠশিল্পি হিসেবে তিনি ঢাকা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এমন এক সময় ছিল যখন পর্দা প্রথা নারীদেরকে ঘরের বাইরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করত তখন লায়লা আর্জুমান্দ বানু তাঁর পিতা বিশিষ্ট ঐতিহাসিক সৈয়দ মোহাম্মদ তৈফুর ও মা সারা তৈফুরের সক্রিয় সহযোগিতায় সকল বাধা-নিষেধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ইরানের শাহ রেজা পাহলবীর নিকট থেকে ‘অভিষেক পদক’ এবং ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নিকট হতে ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সাল হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা সঙ্গীত কলেজের অবৈতনিক অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ঢাকা জাদুঘরের ট্রাস্টি, ‘নজরুল স্বরলিপি শুদ্ধীকরণ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে প্রকাশিত ঢাকা পাস্ট প্রেজেন্ট ফিউচার-এর সংগঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন।
বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে বহুবার তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারঁ মৃত্যু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫। [শাহনাজ হুদা]