বাগচী, যতীন্দ্রমোহন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বাগচী, যতীন্দ্রমোহন '''(১৮৭৮-১৯৪৮)  কবি, সম্পাদক। নদীয়া জেলার জমশেরপুর গ্রামে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস হুগলি জেলার বলাগড় গ্রামে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের সচিব, নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা''' '''কর্পোরেশনের লাইসেন্স-ইন্সপেক্টর, এফ.এন গুপ্ত কোম্পানির ম্যানেজার প্রভৃতি পদে চাকরি করেন।
[[Image:BagchiJatindramohan.jpg|thumb|400px|right|যতীন্দ্রমোহন বাগচী]]
'''বাগচী, যতীন্দ্রমোহন''' (১৮৭৮-১৯৪৮)  কবি, সম্পাদক। নদীয়া জেলার জমশেরপুর গ্রামে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস হুগলি জেলার বলাগড় গ্রামে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের সচিব, নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স-ইন্সপেক্টর, এফ.এন গুপ্ত কোম্পানির ম্যানেজার প্রভৃতি পদে চাকরি করেন।


যতীন্দ্রমোহন অল্প বয়স থেকেই কাব্যচর্চা শুরু করেন।  [[ভারতী|ভারতী]], সাহিত্য প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি কবি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি  [[মানসী|মানসী]] পত্রিকার সম্পাদক (১৯০৯-১৯১৩), যমুনা পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক (১৯২১-১৯২২) এবং পূর্বাচল পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী (১৯৪৭-১৯৪৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
যতীন্দ্রমোহন অল্প বয়স থেকেই কাব্যচর্চা শুরু করেন।  [[ভারতী|ভারতী]], সাহিত্য প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি কবি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি  [[মানসী|মানসী]] পত্রিকার সম্পাদক (১৯০৯-১৯১৩), যমুনা পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক (১৯২১-১৯২২) এবং পূর্বাচল পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী (১৯৪৭-১৯৪৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


যতীন্দ্রমোহন ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের শক্তিমান কবিদের অন্যতম। পল্লিপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে প্রকাশ করেন। ভাগ্যবিড়ম্বিত ও নিপীড়িত নারীদের কথা তিনি বিশেষ দরদের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। ‘কাজলাদিদি’ ও ‘অন্ধবন্ধু’ তাঁর এ ধরনের দুটি বিখ্যাত কবিতা।
যতীন্দ্রমোহন ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের শক্তিমান কবিদের অন্যতম। পল্লিপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে প্রকাশ করেন। ভাগ্যবিড়ম্বিত ও নিপীড়িত নারীদের কথা তিনি বিশেষ দরদের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। ‘কাজলাদিদি’ ও ‘অন্ধবন্ধু’ তাঁর এ ধরনের দুটি বিখ্যাত কবিতা।
[[Image:BagchiJatindramohan.jpg|thumb|400px|right|যতীন্দ্রমোহন বাগচী]]


তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো : লেখা (১৯০৬), রেখা (১৯১০), অপরাজিতা (১৯১৫), নাগকেশর (১৯১৭), জাগরণী (১৯২২), নীহারিকা (১৯২৭), মহাভারতী (১৯৩৬) ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য তাঁর একটি বিশেষ গদ্যগ্রন্থ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।  [তপন বাগচী]
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো : লেখা (১৯০৬), রেখা (১৯১০), অপরাজিতা (১৯১৫), নাগকেশর (১৯১৭), জাগরণী (১৯২২), নীহারিকা (১৯২৭), মহাভারতী (১৯৩৬) ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য তাঁর একটি বিশেষ গদ্যগ্রন্থ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।  [তপন বাগচী]

০৫:৫১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

যতীন্দ্রমোহন বাগচী

বাগচী, যতীন্দ্রমোহন (১৮৭৮-১৯৪৮)  কবি, সম্পাদক। নদীয়া জেলার জমশেরপুর গ্রামে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস হুগলি জেলার বলাগড় গ্রামে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার ডাফ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের সচিব, নাটোরের মহারাজার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স-ইন্সপেক্টর, এফ.এন গুপ্ত কোম্পানির ম্যানেজার প্রভৃতি পদে চাকরি করেন।

যতীন্দ্রমোহন অল্প বয়স থেকেই কাব্যচর্চা শুরু করেন।  ভারতী, সাহিত্য প্রভৃতি বিখ্যাত পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি কবি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি  মানসী পত্রিকার সম্পাদক (১৯০৯-১৯১৩), যমুনা পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক (১৯২১-১৯২২) এবং পূর্বাচল পত্রিকার সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী (১৯৪৭-১৯৪৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

যতীন্দ্রমোহন ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের শক্তিমান কবিদের অন্যতম। পল্লিপ্রকৃতির সৌন্দর্য ও পল্লিজীবনের সুখ-দুঃখের কথা তিনি দক্ষতার সঙ্গে প্রকাশ করেন। ভাগ্যবিড়ম্বিত ও নিপীড়িত নারীদের কথা তিনি বিশেষ দরদের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। ‘কাজলাদিদি’ ও ‘অন্ধবন্ধু’ তাঁর এ ধরনের দুটি বিখ্যাত কবিতা।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো : লেখা (১৯০৬), রেখা (১৯১০), অপরাজিতা (১৯১৫), নাগকেশর (১৯১৭), জাগরণী (১৯২২), নীহারিকা (১৯২৭), মহাভারতী (১৯৩৬) ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ও যুগসাহিত্য তাঁর একটি বিশেষ গদ্যগ্রন্থ। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।  [তপন বাগচী]