বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'''  বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ত্রৈমাসিক মুখপত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায়  [[বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি|বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি]] প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সাত বছর পর ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারি সমিতির কার্যকরী সভায় এর মুখপত্ররূপে একটি পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয় এবং পত্রিকা পরিচালনার জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন  [[হক, কাজী ইমদাদুল|কাজী ইমদাদুল হক]] এবং সম্পাদক দুজন  [[শহীদুল্লাহ, মুহম্মদ|মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্]] ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; আর সদস্য ছিলেন  [[আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন|মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ]], মঈনউদ্দীন হোসায়েন ও  [[আহমেদ, কমরেড মুজাফ্ফর|মুজফফ্র আহমদ]]। ১৩২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল ১৯১৮) কলকাতার ৪৭/২ মির্জাপুর স্ট্রিট থেকে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা প্রথম প্রকশিত হয়। পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৮০, মুদ্রণসংখ্যা ১০০০ এবং প্রতিসংখ্যার মূল্য ছয় আনা। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে  [[হক, মোহাম্মদ মোজাম্মেল|মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক]] চতুর্থ বর্ষ (১৯২১) থেকে এককভাবে পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ষষ্ঠ বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যা (কার্তিক ১৩৩০/ অক্টোবর ১৯২৩) পর্যন্ত পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত ছিল।
'''বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'''  বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ত্রৈমাসিক মুখপত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায়  [[বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি|বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি]] প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সাত বছর পর ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারি সমিতির কার্যকরী সভায় এর মুখপত্ররূপে একটি পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয় এবং পত্রিকা পরিচালনার জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন  [[হক, কাজী ইমদাদুল|কাজী ইমদাদুল হক]] এবং সম্পাদক দুজন  [[শহীদুল্লাহ, মুহম্মদ|মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্]] ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; আর সদস্য ছিলেন  [[আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন|মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ]], মঈনউদ্দীন হোসায়েন ও  [[আহমেদ, কমরেড মুজাফ্ফর|মুজাফ্ফর আহমদ]]। ১৩২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল ১৯১৮) কলকাতার ৪৭/২ মির্জাপুর স্ট্রিট থেকে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা প্রথম প্রকশিত হয়। পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৮০, মুদ্রণসংখ্যা ১০০০ এবং প্রতিসংখ্যার মূল্য ছয় আনা। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে  [[হক, মোহাম্মদ মোজাম্মেল|মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক]] চতুর্থ বর্ষ (১৯২১) থেকে এককভাবে পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ষষ্ঠ বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যা (কার্তিক ১৩৩০/ অক্টোবর ১৯২৩) পর্যন্ত পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত ছিল।


বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ও তার পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুসলমান সমাজের উন্নতি বিধান করা। তাই প্রধানত চিন্তাশীল ও গবেষণামূলক প্রবন্ধই এতে মুদ্রিত হতো। কাজী নজরুল ইসলাম, মুহম্মদ শহীদুল্লা্হ্, মুহম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, সৈয়দ এমদাদ আলী, ডাক্তার লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, শেখ ফজলুল করিম, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, কালিদাস রায়, কাজী ইমদাদুল হক, আবুল হুসেন, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ পন্ডিত ও কবি-সাহিত্যিকের রচনা এতে প্রকাশিত হতো।  [খোন্দকার সিরাজুল হক]
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ও তার পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুসলমান সমাজের উন্নতি বিধান করা। তাই প্রধানত চিন্তাশীল ও গবেষণামূলক প্রবন্ধই এতে মুদ্রিত হতো। কাজী নজরুল ইসলাম, মুহম্মদ শহীদুল্লা্হ্, মুহম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, সৈয়দ এমদাদ আলী, ডাক্তার লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, শেখ ফজলুল করিম, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, কালিদাস রায়, কাজী ইমদাদুল হক, আবুল হুসেন, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ পন্ডিত ও কবি-সাহিত্যিকের রচনা এতে প্রকাশিত হতো।  [খোন্দকার সিরাজুল হক]


[[en:Bangiya Mussalman Sahitya Patrika]]
[[en:Bangiya Mussalman Sahitya Patrika]]
[[en:Bangiya Mussalman Sahitya Patrika]]


[[en:Bangiya Mussalman Sahitya Patrika]]
[[en:Bangiya Mussalman Sahitya Patrika]]

০৭:০২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা  বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ত্রৈমাসিক মুখপত্র। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায়  বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সাত বছর পর ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রুয়ারি সমিতির কার্যকরী সভায় এর মুখপত্ররূপে একটি পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয় এবং পত্রিকা পরিচালনার জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন  কাজী ইমদাদুল হক এবং সম্পাদক দুজন  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; আর সদস্য ছিলেন  মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ, মঈনউদ্দীন হোসায়েন ও  মুজাফ্ফর আহমদ। ১৩২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল ১৯১৮) কলকাতার ৪৭/২ মির্জাপুর স্ট্রিট থেকে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা প্রথম প্রকশিত হয়। পত্রিকার পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৮০, মুদ্রণসংখ্যা ১০০০ এবং প্রতিসংখ্যার মূল্য ছয় আনা। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে  মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চতুর্থ বর্ষ (১৯২১) থেকে এককভাবে পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ষষ্ঠ বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যা (কার্তিক ১৩৩০/ অক্টোবর ১৯২৩) পর্যন্ত পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত ছিল।

বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি ও তার পত্রিকার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বাংলার মুসলমান সমাজের উন্নতি বিধান করা। তাই প্রধানত চিন্তাশীল ও গবেষণামূলক প্রবন্ধই এতে মুদ্রিত হতো। কাজী নজরুল ইসলাম, মুহম্মদ শহীদুল্লা্হ্, মুহম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, সৈয়দ এমদাদ আলী, ডাক্তার লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, শেখ ফজলুল করিম, গোলাম মোস্তফা, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, কালিদাস রায়, কাজী ইমদাদুল হক, আবুল হুসেন, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ পন্ডিত ও কবি-সাহিত্যিকের রচনা এতে প্রকাশিত হতো।  [খোন্দকার সিরাজুল হক]