নর্থব্রুক হল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
[[Image:NorthbrookHallDhaka.jpg|thumb|400px|right|নর্থব্রুক হল (লালকুঠি), ঢাকা]] | |||
'''নর্থব্রুক হল''' লালকুঠি হিসেবে পরিচিত একটি সুদৃশ্য ভবন, ঢাকার [[বুড়িগঙ্গা নদী|বুড়িগঙ্গা]] নদীর তীরে ওয়াইজঘাট এলাকায় অবস্থিত। মূলত একটি নগর মিলনায়তন হিসেবে এটিকে নির্মাণ করা হয় এবং ১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে কোন এক সময় গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় নর্থব্রুক হল। পরবর্তীকালে হলটিকে একটি গণগ্রন্থাগারে রূপান্তর করে এর সাথে জনসন হল নামে একটি ক্লাবঘর সংযুক্ত করা হয়। ভবনটির নির্মাণকলায় মুগল স্থাপত্যরীতির সাথে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সংমিশ্রণ ঘটেছে। | '''নর্থব্রুক হল''' লালকুঠি হিসেবে পরিচিত একটি সুদৃশ্য ভবন, ঢাকার [[বুড়িগঙ্গা নদী|বুড়িগঙ্গা]] নদীর তীরে ওয়াইজঘাট এলাকায় অবস্থিত। মূলত একটি নগর মিলনায়তন হিসেবে এটিকে নির্মাণ করা হয় এবং ১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে কোন এক সময় গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় নর্থব্রুক হল। পরবর্তীকালে হলটিকে একটি গণগ্রন্থাগারে রূপান্তর করে এর সাথে জনসন হল নামে একটি ক্লাবঘর সংযুক্ত করা হয়। ভবনটির নির্মাণকলায় মুগল স্থাপত্যরীতির সাথে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সংমিশ্রণ ঘটেছে। | ||
এর অশ্বক্ষুরাকৃতির অর্ধবৃত্তাকার খিলান, উত্তরে প্রশস্ত প্রবেশদ্বার, খাড়া উত্তরে চারটি অষ্টভুজ মিনার, আলঙ্করিক নক্সামন্ডিত নিচু পাঁচিল এবং সুউচ্চ চূড়াসমূহ মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন বহন করছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে পরিদৃষ্ট হয় ভবনটির একধাপবিশিষ্ট গাঢ় লাল রঙের বিশাল গম্বুজ, সুউচ্চ চূড়া ও নিচু পাঁচিল। পুরো দৃশ্যটি জমকালো ও রাজসিক মহিমার পরিচায়ক। অবশ্য বর্তমানে একই চত্বরে এর চারদিক ঘিরে নির্মিত সম্মেলন কেন্দ্র এবং গণ মিলনায়তনের মতো বহু নতুন ধরনের কাঠামো এই আকর্ষণকে আনেকখানি ম্লান করে দিয়েছে। | এর অশ্বক্ষুরাকৃতির অর্ধবৃত্তাকার খিলান, উত্তরে প্রশস্ত প্রবেশদ্বার, খাড়া উত্তরে চারটি অষ্টভুজ মিনার, আলঙ্করিক নক্সামন্ডিত নিচু পাঁচিল এবং সুউচ্চ চূড়াসমূহ মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন বহন করছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে পরিদৃষ্ট হয় ভবনটির একধাপবিশিষ্ট গাঢ় লাল রঙের বিশাল গম্বুজ, সুউচ্চ চূড়া ও নিচু পাঁচিল। পুরো দৃশ্যটি জমকালো ও রাজসিক মহিমার পরিচায়ক। অবশ্য বর্তমানে একই চত্বরে এর চারদিক ঘিরে নির্মিত সম্মেলন কেন্দ্র এবং গণ মিলনায়তনের মতো বহু নতুন ধরনের কাঠামো এই আকর্ষণকে আনেকখানি ম্লান করে দিয়েছে। [এস.এম মাহফুজুর রহমান] | ||
[এস.এম মাহফুজুর রহমান | |||
[[en:Northbrook Hall]] | [[en:Northbrook Hall]] |
০৬:০২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
নর্থব্রুক হল লালকুঠি হিসেবে পরিচিত একটি সুদৃশ্য ভবন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াইজঘাট এলাকায় অবস্থিত। মূলত একটি নগর মিলনায়তন হিসেবে এটিকে নির্মাণ করা হয় এবং ১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সালের মধ্যে কোন এক সময় গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুকের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় নর্থব্রুক হল। পরবর্তীকালে হলটিকে একটি গণগ্রন্থাগারে রূপান্তর করে এর সাথে জনসন হল নামে একটি ক্লাবঘর সংযুক্ত করা হয়। ভবনটির নির্মাণকলায় মুগল স্থাপত্যরীতির সাথে ইউরোপীয় রেনেসাঁর সংমিশ্রণ ঘটেছে।
এর অশ্বক্ষুরাকৃতির অর্ধবৃত্তাকার খিলান, উত্তরে প্রশস্ত প্রবেশদ্বার, খাড়া উত্তরে চারটি অষ্টভুজ মিনার, আলঙ্করিক নক্সামন্ডিত নিচু পাঁচিল এবং সুউচ্চ চূড়াসমূহ মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন বহন করছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে পরিদৃষ্ট হয় ভবনটির একধাপবিশিষ্ট গাঢ় লাল রঙের বিশাল গম্বুজ, সুউচ্চ চূড়া ও নিচু পাঁচিল। পুরো দৃশ্যটি জমকালো ও রাজসিক মহিমার পরিচায়ক। অবশ্য বর্তমানে একই চত্বরে এর চারদিক ঘিরে নির্মিত সম্মেলন কেন্দ্র এবং গণ মিলনায়তনের মতো বহু নতুন ধরনের কাঠামো এই আকর্ষণকে আনেকখানি ম্লান করে দিয়েছে। [এস.এম মাহফুজুর রহমান]