দাশগুপ্ত, শশিভূষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''দাশগুপ্ত | '''দাশগুপ্ত, শশিভূষণ''' (১৯১১-১৯৬৪) গবেষক, প্রাবন্ধিক, সমালোচক ও সাহিত্যিক। বরিশাল জেলার চন্দ্রহার গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি বরিশাল [[বি এম কলেজ|বি এম কলেজ]] থেকে আই.এ, কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে বি.এ (অনার্স) এবং [[১০০৮৯১|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ (১৯৩৫) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। | ||
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরপরই শশিভূষণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। গবেষণাকর্মে কৃতিত্বের জন্য তিনি [[ | স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরপরই শশিভূষণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। গবেষণাকর্মে কৃতিত্বের জন্য তিনি [[প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি|প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি]] লাভ (১৯৩৭) করেন এবং ১৯৩৮ সালে বাংলা বিভাগের লেকচারার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫৫ সালে শশিভূষণ রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং শেষে বিভাগের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। | ||
মননশীল গবেষণার মাধ্যমে ভারতীয় অধ্যাত্ম সাধনার স্বরূপ নির্ণয়, বৌদ্ধতান্ত্রিকতা ও শৈব-শাক্ত-বৈষ্ণব তত্ত্ববাদের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের সম্বন্ধ বিচার ছিল শশিভূষণের প্রধান কৃতিত্ব। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্মগুলি হলো: | মননশীল গবেষণার মাধ্যমে ভারতীয় অধ্যাত্ম সাধনার স্বরূপ নির্ণয়, বৌদ্ধতান্ত্রিকতা ও শৈব-শাক্ত-বৈষ্ণব তত্ত্ববাদের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের সম্বন্ধ বিচার ছিল শশিভূষণের প্রধান কৃতিত্ব। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্মগুলি হলো: 'Obscure Religious Cults: As a Background of Bengali Literature' (১৯৪৬), 'An Introduction to Tantric Buddhism' (১৯৫০), 'Aspects of Indian Religious Thought', 'শ্রীরাধার ক্রমবিকাশ: দর্শনে ও সাহিত্যে' (১৯৫২) এবং 'ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্ত সাহিত্য' (১৯৬০)। তাঁর সমালোচনামূলক প্রবন্ধগ্রন্থগুলি হলো: বাংলা সাহিত্যের নবযুগ, বাংলা সাহিত্যের একদিক, সাহিত্যের স্বরূপ, উপনিষদের পটভূমিকায় রবীন্দ্রমানস, উপমা কালিদাসস্য, কবি যতীন্দ্রনাথ ও আধুনিক বাঙলা কবিতার প্রথম পর্যায়, টলস্টয় গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ, শিল্প-লিপি, ভারতীয় সাধনার ঐক্য, বৌদ্ধধর্ম ও চর্যাগীতি ইত্যাদি। এছাড়াও [[উপন্যাস|উপন্যাস]], নাটক, অনুবাদ ও কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা এবং শিশুসাহিত্যের লেখক হিসেবে তাঁর পরিচিতি আছে। গবেষণা, গ্রন্থ রচনা এবং সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬১ সালে তিনি সাহিত্য আকাদমি পুরস্কার (১৯৬১) লাভ করেন। ১৯৬৪ সালের ২১ জুলাই কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। [মাহবুবুল হক] | ||
[[en:Dasgupta, Shashibhusan]] | [[en:Dasgupta, Shashibhusan]] |
০৪:৪২, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
দাশগুপ্ত, শশিভূষণ (১৯১১-১৯৬৪) গবেষক, প্রাবন্ধিক, সমালোচক ও সাহিত্যিক। বরিশাল জেলার চন্দ্রহার গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি বরিশাল বি এম কলেজ থেকে আই.এ, কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে বি.এ (অনার্স) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ (১৯৩৫) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরপরই শশিভূষণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। গবেষণাকর্মে কৃতিত্বের জন্য তিনি প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ (১৯৩৭) করেন এবং ১৯৩৮ সালে বাংলা বিভাগের লেকচারার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৫৫ সালে শশিভূষণ রামতনু লাহিড়ী অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং শেষে বিভাগের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন।
মননশীল গবেষণার মাধ্যমে ভারতীয় অধ্যাত্ম সাধনার স্বরূপ নির্ণয়, বৌদ্ধতান্ত্রিকতা ও শৈব-শাক্ত-বৈষ্ণব তত্ত্ববাদের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের সম্বন্ধ বিচার ছিল শশিভূষণের প্রধান কৃতিত্ব। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্মগুলি হলো: 'Obscure Religious Cults: As a Background of Bengali Literature' (১৯৪৬), 'An Introduction to Tantric Buddhism' (১৯৫০), 'Aspects of Indian Religious Thought', 'শ্রীরাধার ক্রমবিকাশ: দর্শনে ও সাহিত্যে' (১৯৫২) এবং 'ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্ত সাহিত্য' (১৯৬০)। তাঁর সমালোচনামূলক প্রবন্ধগ্রন্থগুলি হলো: বাংলা সাহিত্যের নবযুগ, বাংলা সাহিত্যের একদিক, সাহিত্যের স্বরূপ, উপনিষদের পটভূমিকায় রবীন্দ্রমানস, উপমা কালিদাসস্য, কবি যতীন্দ্রনাথ ও আধুনিক বাঙলা কবিতার প্রথম পর্যায়, টলস্টয় গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ, শিল্প-লিপি, ভারতীয় সাধনার ঐক্য, বৌদ্ধধর্ম ও চর্যাগীতি ইত্যাদি। এছাড়াও উপন্যাস, নাটক, অনুবাদ ও কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা এবং শিশুসাহিত্যের লেখক হিসেবে তাঁর পরিচিতি আছে। গবেষণা, গ্রন্থ রচনা এবং সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬১ সালে তিনি সাহিত্য আকাদমি পুরস্কার (১৯৬১) লাভ করেন। ১৯৬৪ সালের ২১ জুলাই কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। [মাহবুবুল হক]