জৈন্তিয়া রাজ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''জৈন্তিয়া রাজ্য''' আসামের এক প্রাচীন রাজ্য। বর্তমান বৃহত্তর সিলেট জেলার অধিকাংশ এলাকা মধ্যযুগে জৈন্তিয়া রাজার অধীনে ছিল। জাতিগতভাবে এ রাজ্যের অধিবাসীরা খাসিয়াদের অনুরূপ এবং তারা একই ভাষায় কথা বলে। [[খাসিয়া|খাসিয়া]] উপজাতি অতীতে এবং বর্তমানেও অনেকাংশে সর্বপ্রাণবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। কিন্তু রাজা ১৫০০ সালের দিকে সংস্কৃত অভিধা গ্রহণ করেন। সেসময় রাজা ছিলেন পর্বত রায় এবং [[জৈন্তাপুর|জৈন্তাপুর]] ছিল তাঁর রাজ্রধানী। ১৫৪৮ থেকে ১৫৬৪ সালের মধ্যে কোচবিহারের রাজা জৈন্তিয়া জয় করেন। ষোড়শ শতকের শেষদিকে রাজ্যটি কাছাড় রাজার কর্তৃত্বাধীনে আসে। অহম রাজার সাহায্য নিয়ে ১৬০৫ সালে রাজ্যটি পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে। লক্ষ্মীনারায়ণ (১৬৬৯-১৬৯৭) ছিলেন শক্তিমান রাজা; রাজধানী জৈন্তাপুরে একটি ইটের ইমারত নির্মাণ করে তিনি খ্যাতিমান হন। দেওয়ানি লাভের পর (১৭৬৫) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জৈন্তা রাজাকে সিলেটের সমভূমি থেকে বিতাড়িত করে। ১৮২৪ সালে বর্মিদের দ্বারা [[আসাম|আসাম]] বিজিত হওয়ার পর জৈন্তিয়া রাজ্য স্বাধীনতা হারায়। অচিরেই ইংরেজরা বর্মিদের বিতাড়ন করে এবং ১৮২৫ সালে এ রাজ্যের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। সিলেটে চুনাপাথর ও বেতের ব্যবসার সুবিধার কারণে কোম্পানি ১৮৩৫ সালে জৈন্তিয়া রাজ্যকে বাংলা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। | '''জৈন্তিয়া রাজ্য''' আসামের এক প্রাচীন রাজ্য। বর্তমান বৃহত্তর সিলেট জেলার অধিকাংশ এলাকা মধ্যযুগে জৈন্তিয়া রাজার অধীনে ছিল। জাতিগতভাবে এ রাজ্যের অধিবাসীরা খাসিয়াদের অনুরূপ এবং তারা একই ভাষায় কথা বলে। [[খাসিয়া|খাসিয়া]] উপজাতি অতীতে এবং বর্তমানেও অনেকাংশে সর্বপ্রাণবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। কিন্তু রাজা ১৫০০ সালের দিকে সংস্কৃত অভিধা গ্রহণ করেন। সেসময় রাজা ছিলেন পর্বত রায় এবং [[জৈন্তাপুর|জৈন্তাপুর]] ছিল তাঁর রাজ্রধানী। ১৫৪৮ থেকে ১৫৬৪ সালের মধ্যে কোচবিহারের রাজা জৈন্তিয়া জয় করেন। ষোড়শ শতকের শেষদিকে রাজ্যটি কাছাড় রাজার কর্তৃত্বাধীনে আসে। অহম রাজার সাহায্য নিয়ে ১৬০৫ সালে রাজ্যটি পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে। লক্ষ্মীনারায়ণ (১৬৬৯-১৬৯৭) ছিলেন শক্তিমান রাজা; রাজধানী জৈন্তাপুরে একটি ইটের ইমারত নির্মাণ করে তিনি খ্যাতিমান হন। দেওয়ানি লাভের পর (১৭৬৫) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জৈন্তা রাজাকে সিলেটের সমভূমি থেকে বিতাড়িত করে। ১৮২৪ সালে বর্মিদের দ্বারা [[আসাম|আসাম]] বিজিত হওয়ার পর জৈন্তিয়া রাজ্য স্বাধীনতা হারায়। অচিরেই ইংরেজরা বর্মিদের বিতাড়ন করে এবং ১৮২৫ সালে এ রাজ্যের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। সিলেটে চুনাপাথর ও বেতের ব্যবসার সুবিধার কারণে কোম্পানি ১৮৩৫ সালে জৈন্তিয়া রাজ্যকে বাংলা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। [সিরাজুল ইসলাম] | ||
[সিরাজুল ইসলাম] | |||
[[en:Jaintia, Kingdom of]] | [[en:Jaintia, Kingdom of]] |
১০:১৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
জৈন্তিয়া রাজ্য আসামের এক প্রাচীন রাজ্য। বর্তমান বৃহত্তর সিলেট জেলার অধিকাংশ এলাকা মধ্যযুগে জৈন্তিয়া রাজার অধীনে ছিল। জাতিগতভাবে এ রাজ্যের অধিবাসীরা খাসিয়াদের অনুরূপ এবং তারা একই ভাষায় কথা বলে। খাসিয়া উপজাতি অতীতে এবং বর্তমানেও অনেকাংশে সর্বপ্রাণবাদী ও মাতৃতান্ত্রিক। কিন্তু রাজা ১৫০০ সালের দিকে সংস্কৃত অভিধা গ্রহণ করেন। সেসময় রাজা ছিলেন পর্বত রায় এবং জৈন্তাপুর ছিল তাঁর রাজ্রধানী। ১৫৪৮ থেকে ১৫৬৪ সালের মধ্যে কোচবিহারের রাজা জৈন্তিয়া জয় করেন। ষোড়শ শতকের শেষদিকে রাজ্যটি কাছাড় রাজার কর্তৃত্বাধীনে আসে। অহম রাজার সাহায্য নিয়ে ১৬০৫ সালে রাজ্যটি পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে। লক্ষ্মীনারায়ণ (১৬৬৯-১৬৯৭) ছিলেন শক্তিমান রাজা; রাজধানী জৈন্তাপুরে একটি ইটের ইমারত নির্মাণ করে তিনি খ্যাতিমান হন। দেওয়ানি লাভের পর (১৭৬৫) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি জৈন্তা রাজাকে সিলেটের সমভূমি থেকে বিতাড়িত করে। ১৮২৪ সালে বর্মিদের দ্বারা আসাম বিজিত হওয়ার পর জৈন্তিয়া রাজ্য স্বাধীনতা হারায়। অচিরেই ইংরেজরা বর্মিদের বিতাড়ন করে এবং ১৮২৫ সালে এ রাজ্যের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। সিলেটে চুনাপাথর ও বেতের ব্যবসার সুবিধার কারণে কোম্পানি ১৮৩৫ সালে জৈন্তিয়া রাজ্যকে বাংলা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। [সিরাজুল ইসলাম]