চেমসফোর্ড, লর্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''চেমসফোর্ড, লর্ড''' (১৮৬৮-১৯৩৩)  ১৯১৬ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল। পুরো নাম ফ্রেডারিক জন থেসিয়ার (Frederic John Thesiger)। তিনি ১৮৬৮ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং উইনচেস্টার ও অক্সফোর্ডের ম্যাগডালেন কলেজে শিক্ষালাভ করেন। ১৯০৫ সালে তিনি ব্যারন হন, ১৯০৫ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এবং ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ভারতের ভাইসরয় হিসেবে [[হার্ডিঞ্জ, লর্ড|লডট্ট  ]][[হার্ডিঞ্জ, লর্ড|হার্ডিঞ্জ]]-এর স্থলাভিষিক্ত হন। মেসোপটেমিয়ায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পরাজয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যত এগোতে থাকে ভারতীয়দের তত পরিমাণ অসন্তোষ বৃদ্ধিকে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হিসেবে সাথে নিয়ে ভারতে তাঁর শাসনকাল শুরু হয়। ব্রিটিশদের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ভারতীয়দের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারতীয় বিষয়াদি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাজ্য সচিব এডউইন মন্টেগু হাউস অব কমন্সে ঘোষণা করেছিলেন যে, ভারতে ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘ভারতে ক্রমান্বয়ে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সফলকাম হওয়া।’
'''চেমসফোর্ড, লর্ড''' (১৮৬৮-১৯৩৩)  ১৯১৬ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল। পুরো নাম ফ্রেডারিক জন থেসিয়ার (Frederic John Thesiger)। তিনি ১৮৬৮ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং উইনচেস্টার ও অক্সফোর্ডের ম্যাগডালেন কলেজে শিক্ষালাভ করেন। ১৯০৫ সালে তিনি ব্যারন হন, ১৯০৫ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এবং ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ভারতের ভাইসরয় হিসেবে [[হার্ডিঞ্জ, লর্ড|লর্ড হার্ডিঞ্জ]]-এর স্থলাভিষিক্ত হন। মেসোপটেমিয়ায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পরাজয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যত এগোতে থাকে ভারতীয়দের তত পরিমাণ অসন্তোষ বৃদ্ধিকে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হিসেবে সাথে নিয়ে ভারতে তাঁর শাসনকাল শুরু হয়। ব্রিটিশদের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ভারতীয়দের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারতীয় বিষয়াদি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাজ্য সচিব এডউইন মন্টেগু হাউস অব কমন্সে ঘোষণা করেছিলেন যে, ভারতে ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘ভারতে ক্রমান্বয়ে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সফলকাম হওয়া।’


রাজ্য সচিবকে সাথে নিয়ে চেমসফোর্ড যুদ্ধের শেষ বছরে প্রতিশ্রুত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। ১৯১৮ সালে প্রকাশিত  [[মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট|মন্টেগু]][[মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট|-চেমসফোর্ড রিপোর্ট]] ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে সঙ্ঘবদ্ধ করা হয়। এতে সীমিত-পরিমাণ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার এবং প্রদেশসমূহের প্রশাসনে দ্বৈত-শাসন নামে পরিচিত বিভাজিত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ চেমসফোর্ডের শাসনামলের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে ১৯২১ সালে চালু হয়। কিন্তু এ সংস্কারসমূহ ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতাদের শান্ত করতে পারে নি। রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুবিস্তৃত হয়, যা বিচক্ষণ নীতি অনুসরণ করলে এড়ানো সম্ভব হতো।
[[Image:ChelmsfordLord.jpg|thumb|400px|right|লর্ড চেমসফোর্ড]]
রাজ্য সচিবকে সাথে নিয়ে চেমসফোর্ড যুদ্ধের শেষ বছরে প্রতিশ্রুত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। ১৯১৮ সালে প্রকাশিত  [[মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট|মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট]] ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে সঙ্ঘবদ্ধ করা হয়। এতে সীমিত-পরিমাণ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার এবং প্রদেশসমূহের প্রশাসনে দ্বৈত-শাসন নামে পরিচিত বিভাজিত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ চেমসফোর্ডের শাসনামলের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে ১৯২১ সালে চালু হয়। কিন্তু এ সংস্কারসমূহ ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতাদের শান্ত করতে পারে নি। রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুবিস্তৃত হয়, যা বিচক্ষণ নীতি অনুসরণ করলে এড়ানো সম্ভব হতো।


কিন্তু চেমসফোর্ড একটি অত্যন্ত অবিবেচনাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা গভীরভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে যে কমিটি গঠন করেন তাতে বিচারপতি রাওলাটকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ১৯১৯ সালে রাওলাট আইন পাস করে, যা জুরিদের সাহায্য না নিয়ে বিচারপতিদেরকে রাজনৈতিক মামলাসমূহ বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং প্রাদেশিক সরকারকে রাজনৈতিক অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন আইনটি কার্যকর করা হয় এবং জনগণ এ ধরনের দমনমূলক আইনের ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করতে গিয়ে অবাধ্য হয়ে পড়ে। সরকার পাঞ্জাবসহ, যেখানে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও’ডায়ার ও জিওসি জেনারেল ডায়ার তীব্র নৃশংসতা চালিয়েছিলেন, কয়েকটি স্থানে সামরিক আইন জারি করে।
কিন্তু চেমসফোর্ড একটি অত্যন্ত অবিবেচনাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা গভীরভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে যে কমিটি গঠন করেন তাতে বিচারপতি রাওলাটকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ১৯১৯ সালে রাওলাট আইন পাস করে, যা জুরিদের সাহায্য না নিয়ে বিচারপতিদেরকে রাজনৈতিক মামলাসমূহ বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং প্রাদেশিক সরকারকে রাজনৈতিক অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন আইনটি কার্যকর করা হয় এবং জনগণ এ ধরনের দমনমূলক আইনের ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করতে গিয়ে অবাধ্য হয়ে পড়ে। সরকার পাঞ্জাবসহ, যেখানে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও’ডায়ার ও জিওসি জেনারেল ডায়ার তীব্র নৃশংসতা চালিয়েছিলেন, কয়েকটি স্থানে সামরিক আইন জারি করে।
[[Image:ChelmsfordLord.jpg|thumb|400px|right|লর্ড চেমসফোর্ড]]


একটি রাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে আসা একদল জনতা অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে মিলিত হলে ইংরেজ সৈন্যেও মেশিনগানের গুলিতে অনেকে নিহত হয়। অন্যত্র অনেককে অপমানজনক শাস্তি ভোগ করতে হয়। এ দন্ডমূলক আচরণসমূহ বন্ধ করতে, অপরাধীদের সংযত রাখতে এবং সম্পাদিত নিষ্ঠুরতার প্রতিকার করতে চেমসফোর্ড কার্যত কিছুই করেন নি।
একটি রাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে আসা একদল জনতা অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে মিলিত হলে ইংরেজ সৈন্যেও মেশিনগানের গুলিতে অনেকে নিহত হয়। অন্যত্র অনেককে অপমানজনক শাস্তি ভোগ করতে হয়। এ দন্ডমূলক আচরণসমূহ বন্ধ করতে, অপরাধীদের সংযত রাখতে এবং সম্পাদিত নিষ্ঠুরতার প্রতিকার করতে চেমসফোর্ড কার্যত কিছুই করেন নি।


এ মনোভাব ভারতীয় আবেগ প্রবণতাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং ১৯২১ সালে চেমসফোর্ডকে স্বদেশে ডেকে পাঠানো হয়। একই বছর তাঁকে ভাইকাউন্ট করা হয় এবং ১৯২৪ সালে ম্যাকডোনাল্ডের শ্রমিক দলীয় সরকারে তিনি প্রধান নৌ-সেনাপতির দফতরের প্রথম লর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চেমসফোর্ড ১৯৩৩ সালের ১ এপ্রিল মারা যান।
এ মনোভাব ভারতীয় আবেগ প্রবণতাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং ১৯২১ সালে চেমসফোর্ডকে স্বদেশে ডেকে পাঠানো হয়। একই বছর তাঁকে ভাইকাউন্ট করা হয় এবং ১৯২৪ সালে ম্যাকডোনাল্ডের শ্রমিক দলীয় সরকারে তিনি প্রধান নৌ-সেনাপতির দফতরের প্রথম লর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চেমসফোর্ড ১৯৩৩ সালের ১ এপ্রিল মারা যান। [কে.এম মহসীন]
 
[কে.এম মহসীন]


[[en:Chelmsford, Lord]]
[[en:Chelmsford, Lord]]

০৯:৪৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

চেমসফোর্ড, লর্ড (১৮৬৮-১৯৩৩)  ১৯১৬ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল। পুরো নাম ফ্রেডারিক জন থেসিয়ার (Frederic John Thesiger)। তিনি ১৮৬৮ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং উইনচেস্টার ও অক্সফোর্ডের ম্যাগডালেন কলেজে শিক্ষালাভ করেন। ১৯০৫ সালে তিনি ব্যারন হন, ১৯০৫ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এবং ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলসের গভর্নর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ভারতের ভাইসরয় হিসেবে লর্ড হার্ডিঞ্জ-এর স্থলাভিষিক্ত হন। মেসোপটেমিয়ায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পরাজয় এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যত এগোতে থাকে ভারতীয়দের তত পরিমাণ অসন্তোষ বৃদ্ধিকে অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হিসেবে সাথে নিয়ে ভারতে তাঁর শাসনকাল শুরু হয়। ব্রিটিশদের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় ভারতীয়দের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারতীয় বিষয়াদি দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাজ্য সচিব এডউইন মন্টেগু হাউস অব কমন্সে ঘোষণা করেছিলেন যে, ভারতে ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘ভারতে ক্রমান্বয়ে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় সফলকাম হওয়া।’

লর্ড চেমসফোর্ড

রাজ্য সচিবকে সাথে নিয়ে চেমসফোর্ড যুদ্ধের শেষ বছরে প্রতিশ্রুত সংস্কারসমূহ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন। ১৯১৮ সালে প্রকাশিত  মন্টেগু-চেমসফোর্ড রিপোর্ট ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে সঙ্ঘবদ্ধ করা হয়। এতে সীমিত-পরিমাণ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার এবং প্রদেশসমূহের প্রশাসনে দ্বৈত-শাসন নামে পরিচিত বিভাজিত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ চেমসফোর্ডের শাসনামলের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে ১৯২১ সালে চালু হয়। কিন্তু এ সংস্কারসমূহ ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতাদের শান্ত করতে পারে নি। রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুবিস্তৃত হয়, যা বিচক্ষণ নীতি অনুসরণ করলে এড়ানো সম্ভব হতো।

কিন্তু চেমসফোর্ড একটি অত্যন্ত অবিবেচনাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা গভীরভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে যে কমিটি গঠন করেন তাতে বিচারপতি রাওলাটকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ১৯১৯ সালে রাওলাট আইন পাস করে, যা জুরিদের সাহায্য না নিয়ে বিচারপতিদেরকে রাজনৈতিক মামলাসমূহ বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করে এবং প্রাদেশিক সরকারকে রাজনৈতিক অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন আইনটি কার্যকর করা হয় এবং জনগণ এ ধরনের দমনমূলক আইনের ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করতে গিয়ে অবাধ্য হয়ে পড়ে। সরকার পাঞ্জাবসহ, যেখানে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ও’ডায়ার ও জিওসি জেনারেল ডায়ার তীব্র নৃশংসতা চালিয়েছিলেন, কয়েকটি স্থানে সামরিক আইন জারি করে।

একটি রাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে আসা একদল জনতা অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে মিলিত হলে ইংরেজ সৈন্যেও মেশিনগানের গুলিতে অনেকে নিহত হয়। অন্যত্র অনেককে অপমানজনক শাস্তি ভোগ করতে হয়। এ দন্ডমূলক আচরণসমূহ বন্ধ করতে, অপরাধীদের সংযত রাখতে এবং সম্পাদিত নিষ্ঠুরতার প্রতিকার করতে চেমসফোর্ড কার্যত কিছুই করেন নি।

এ মনোভাব ভারতীয় আবেগ প্রবণতাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং ১৯২১ সালে চেমসফোর্ডকে স্বদেশে ডেকে পাঠানো হয়। একই বছর তাঁকে ভাইকাউন্ট করা হয় এবং ১৯২৪ সালে ম্যাকডোনাল্ডের শ্রমিক দলীয় সরকারে তিনি প্রধান নৌ-সেনাপতির দফতরের প্রথম লর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চেমসফোর্ড ১৯৩৩ সালের ১ এপ্রিল মারা যান। [কে.এম মহসীন]