চন্দ, রাণী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:ChandaRani.jpg|thumbnail|300px|right|রাণী চন্দ]] | |||
'''চন্দ, রাণী''' (১৯১২-১৯৯৭) সাহিত্যিক, নৃত্যশিল্পী, চিত্রকর। ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে তাঁর জন্ম। পিতা কবি কুলচন্দ্র দে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। | '''চন্দ, রাণী''' (১৯১২-১৯৯৭) সাহিত্যিক, নৃত্যশিল্পী, চিত্রকর। ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে তাঁর জন্ম। পিতা কবি কুলচন্দ্র দে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। | ||
০৯:৪৮, ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চন্দ, রাণী (১৯১২-১৯৯৭) সাহিত্যিক, নৃত্যশিল্পী, চিত্রকর। ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে তাঁর জন্ম। পিতা কবি কুলচন্দ্র দে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
রাণী চন্দ শৈশবে পিতৃহারা হয়ে রবীন্দ্রনাথের আগ্রহে শান্তিনিকেতনে যান এবং নন্দলাল বসুর (১৮৮৩-১৯৬৬) সান্নিধ্যে চিত্রবিদ্যা, সঙ্গীত ও নৃত্যকলা সম্পর্কে শিক্ষালাভ করেন। পরবর্তীকালে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৭১-১৯৫১) নিকটও তিনি চিত্রাঙ্কনবিদ্যা শেখেন। ১৯৩৩ সালে রবীন্দ্রনাথের একান্ত সচিব অনিলকুমার চন্দের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
রাণী চন্দ দেশ-বিদেশে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন নৃত্যে অংশগ্রহণ করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি কিছুদিন কারাভোগও করেন। শান্তিনিকেতনে থাকার সুবাদে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু প্রমুখ মনীষীকে অতি কাছ থেকে জানার সুযোগ লাভ করেন এবং সেই আলোকে তিনি রচনা করেন আলাপচারী রবীন্দ্রনাথ (১৯৪২), গুরুদেব (১৯৬২) ও শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ (১৯৭২) শীর্ষক তথ্যপূর্ণ তিনটি জীবনীগ্রন্থ। তাঁর উল্লেখযোগ্য অন্যান্য গ্রন্থ হলো: পূর্ণকুম্ভ (১৯৫২), জেনানা ফাটক (১৯৮৩), হিমাদ্রি, আমার মায়ের বাপের বাড়ি (১৯৭৭), পথেঘাটে (১৯৭৮), সব হতে আপন (১৯৮৪) ইত্যাদি। তাঁর অঙ্কিত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে ‘রাধার বিরহ’ সিরিজ। সৃষ্টিশীল কর্মের জন্য তিনি ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ ও ‘রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সম্মাননা’ লাভ করেন। [সুশান্ত সরকার]