খান, আবদুস সবুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:KhanAbdusSabur.jpg|thumb|400px|right|আবদুস সবুর খান]]
'''খান, আবদুস সবুর''' (১৯০৮-১৯৮২)  রাজনীতিক। তিনি ১৯০৮ সালের ১০ অক্টোবর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (১৯২৯), কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (১৯৩১) এবং ১৯৩৩ সালে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন।
'''খান, আবদুস সবুর''' (১৯০৮-১৯৮২)  রাজনীতিক। তিনি ১৯০৮ সালের ১০ অক্টোবর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (১৯২৯), কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (১৯৩১) এবং ১৯৩৩ সালে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন।


১৯৩৭ সালে কৃষক-প্রজা পার্টিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে''' '''সবুর খানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ওই বছরই তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগে যোগদান করেন এবং পরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন (১৯৩৮)। মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি খুলনা থেকে ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সবুর খান ১৯৬২ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং আইয়ুব খানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত [[ছয়দফা কর্মসূচি|ছয়দফা কর্মসূচি]] তথা পূর্ব বাংলার স্বাধিকার ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেন সবুর খান। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারাভিযান চালান।
১৯৩৭ সালে কৃষক-প্রজা পার্টিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে''' '''সবুর খানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ওই বছরই তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগে যোগদান করেন এবং পরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন (১৯৩৮)। মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি খুলনা থেকে ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সবুর খান ১৯৬২ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং আইয়ুব খানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত [[ছয়দফা কর্মসূচি|ছয়দফা কর্মসূচি]] তথা পূর্ব বাংলার স্বাধিকার ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেন সবুর খান। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারাভিযান চালান।
[[Image:KhanAbdusSabur.jpg|thumb|400px|right|আবদুস সবুর খান]]


পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার অপরাধে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দালাল আইনে তিনি গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুর সরকার কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ফলে তিনি মুক্তি পান। সবুর খান ১৯৭৬ সালে মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে খুলনার তিনটি আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চিরকুমার সবুর খান মৃত্যুর পূর্বে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দান করে যান।  [মোঃ আজম বেগ]
পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার অপরাধে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দালাল আইনে তিনি গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুর সরকার কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ফলে তিনি মুক্তি পান। সবুর খান ১৯৭৬ সালে মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে খুলনার তিনটি আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চিরকুমার সবুর খান মৃত্যুর পূর্বে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দান করে যান।  [মোঃ আজম বেগ]


[[en:Khan, Abdus Sabur]]
[[en:Khan, Abdus Sabur]]

০৫:৫৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

আবদুস সবুর খান

খান, আবদুস সবুর (১৯০৮-১৯৮২)  রাজনীতিক। তিনি ১৯০৮ সালের ১০ অক্টোবর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী। তিনি খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা (১৯২৯), কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (১৯৩১) এবং ১৯৩৩ সালে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি (১৯৩৩) লাভ করেন।

১৯৩৭ সালে কৃষক-প্রজা পার্টিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে সবুর খানের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। ওই বছরই তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগে যোগদান করেন এবং পরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন (১৯৩৮)। মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি খুলনা থেকে ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সবুর খান ১৯৬২ সালে মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং আইয়ুব খানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ছয়দফা কর্মসূচি তথা পূর্ব বাংলার স্বাধিকার ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সরাসরি বিরোধিতা করেন সবুর খান। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে প্রচারাভিযান চালান।

পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার অপরাধে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দালাল আইনে তিনি গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুর সরকার কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ফলে তিনি মুক্তি পান। সবুর খান ১৯৭৬ সালে মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে খুলনার তিনটি আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চিরকুমার সবুর খান মৃত্যুর পূর্বে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দান করে যান।  [মোঃ আজম বেগ]