কূটনৈতিক মিশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিম্নোক্ত কূটনৈতিক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা থাকেন:
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিম্নোক্ত কূটনৈতিক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা থাকেন:


১.#রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার;
১. রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার;


২.#মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান অথবা হাইকমিশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি হাইকমিশনার (গ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার);
২. মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান অথবা হাইকমিশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি হাইকমিশনার (গ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার);


৩.#কাউন্সিলর (উপসচিব পদমর্যাদার);
৩. কাউন্সিলর (উপসচিব পদমর্যাদার);


৪.#প্রথম সচিব (ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব পদমর্যাদার);
৪. প্রথম সচিব (ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব পদমর্যাদার);


৫.#দ্বিতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার);
৫. দ্বিতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার);


৬.#তৃতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার)।
৬. তৃতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার)।


যেসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস সেসব দেশের দূতাবাস/হাইকমিশন ছাড়াও উক্ত শহরগুলোতে, বিশেষত ব্যবসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কনস্যুলার জেনারেল/ডেপুটি হাইকমিশন স্থাপন করে। সাধারণত এসব মিশনের প্রধান থাকেন সরকারের যুগ্মসচিব বা ‘গ’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার কনসাল জেনারেল বা ডেপুটি হাইকমিশনার।
যেসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস সেসব দেশের দূতাবাস/হাইকমিশন ছাড়াও উক্ত শহরগুলোতে, বিশেষত ব্যবসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কনস্যুলার জেনারেল/ডেপুটি হাইকমিশন স্থাপন করে। সাধারণত এসব মিশনের প্রধান থাকেন সরকারের যুগ্মসচিব বা ‘গ’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার কনসাল জেনারেল বা ডেপুটি হাইকমিশনার।
৩১ নং লাইন: ৩১ নং লাইন:
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কিছু অকূটনৈতিক টেকনিক্যাল কর্মচারীও থাকেন। এদের স্বাগতিক দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। একইভাবে কূটনৈতিক অফিসারদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তার জন্য মিশনের বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য অকূটনৈতিক পদেও দেশীয় বা স্থানীয় লোক নিয়োগ পেয়ে থাকে।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কিছু অকূটনৈতিক টেকনিক্যাল কর্মচারীও থাকেন। এদের স্বাগতিক দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। একইভাবে কূটনৈতিক অফিসারদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তার জন্য মিশনের বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য অকূটনৈতিক পদেও দেশীয় বা স্থানীয় লোক নিয়োগ পেয়ে থাকে।


আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রথানুসারে কূটনৈতিক মিশনের অফিসকে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসস্থানকে দূতাবাস    বলা হয়।  [এ.কে.এম ফারুক]
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রথানুসারে কূটনৈতিক মিশনের অফিসকে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসস্থানকে দূতাবাস বলা হয়।  [এ.কে.এম ফারুক]


[[en:Diplomatic Missions]]
[[en:Diplomatic Missions]]

১০:২৭, ২৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কূটনৈতিক মিশন  বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৪৯টি আবাসিক কূটনৈতিক মিশন আছে। তদুপরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন কনস্যুলেট জেনারেল, ডেপুটি হাইকমিশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও বিভিন্ন ভিসা অফিস ধরনের ১১টি সাব-মিশনও রয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি অনাবাসিক কূটনৈতিক মিশনও আছে যেগুলো সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস/হাইকমিশন দ্বারা পরিচালিত হয়। বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার অথবা মিশনপ্রধানদের নিয়োগ প্রদান করেন সরকার প্রধান বা  প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদে যোগ্য ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠায় এবং তার অনুমোদনের পরই এ নিয়োগসমূহ চূড়ান্ত হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মিশনপ্রধানের ৭০ ভাগ পেশাজীবী কূটনীতিকদের মধ্য থেকে এবং বাকি ৩০ ভাগ সরকার প্রধানের ইচ্ছানুযায়ী অকূটনীতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিদেশে প্রেরিত রাষ্ট্রদূতগণ ক, খ, গ শ্রেণিতে বিভক্ত। ক, খ ও গ শ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা যথাক্রমে সরকারের সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন। সাধারণত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। ‘ক’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূতদের পাঠানো হয় সেসব দেশের রাজধানীতে যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা সাধারণত প্রথম নিয়োগ পান ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ দেশে।

বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোর দায়িত্বে থাকেন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার এবং তাদের অনুপস্থিতিতে একজন অস্থায়ী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। মিশনগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদেরও নিয়োগ করা হয়।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে নিম্নোক্ত কূটনৈতিক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা থাকেন:

১. রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার;

২. মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান অথবা হাইকমিশনের ক্ষেত্রে ডেপুটি হাইকমিশনার (গ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার);

৩. কাউন্সিলর (উপসচিব পদমর্যাদার);

৪. প্রথম সচিব (ঊর্ধ্বতন সহকারি সচিব পদমর্যাদার);

৫. দ্বিতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার);

৬. তৃতীয় সচিব (সহকারি সচিব পদমর্যাদার)।

যেসব গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর বাস সেসব দেশের দূতাবাস/হাইকমিশন ছাড়াও উক্ত শহরগুলোতে, বিশেষত ব্যবসা ও কনস্যুলার সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার কনস্যুলার জেনারেল/ডেপুটি হাইকমিশন স্থাপন করে। সাধারণত এসব মিশনের প্রধান থাকেন সরকারের যুগ্মসচিব বা ‘গ’ শ্রেণির রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদার কনসাল জেনারেল বা ডেপুটি হাইকমিশনার।

কোনো বন্ধুরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পান এবং স্বাগতিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা স্বীকৃত হন। সেজন্য তিনি ওই দেশের সকল ঊর্ধ্বতন মহলে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ পান এবং উভয় দেশ ও সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকেন। বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান, সরকারি দলিলে স্বাক্ষর দান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষর করার পূর্ণ ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়। ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী তিনি ও অন্যান্য সকল কূটনীতিক ও অকূটনীতিক কর্মচারী পূর্ণ কূটনৈতিক স্বাধীনতা ও সুযোগ লাভ করেন। এ সুবিধা বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল বিদেশি কূটনীতিকও পারস্পরিক ভিত্তিতে ভোগ করে থাকেন।

কূটনৈতিক মিশনের দ্বিতীয় প্রধানের পদে থাকেন রাজনৈতিক বিভাগ থেকে একজন মিনিস্টার/মিশনের উপপ্রধান।  কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশে তাকে ডেপুটি হাইকমিশনার বলা হয়। মিশনের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন পেশাজীবী কূটনীতিক ও অন্তর্বর্তীকালে মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অথবা ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যান্য অফিসার, যেমন কাউন্সিলর, প্রথম সচিব, দ্বিতীয় সচিব ও তৃতীয় সচিবের দায়িত্ব মিশনের প্রধানই নির্ধারণ করেন এবং তারা সর্বদা তার কাছ থেকে নিয়মিত নির্দেশনা পেয়ে থাকেন। একজন ঊর্ধ্বতন অফিসার, মিনিস্টার অথবা কাউন্সিলর সাধারণত দূতাবাসের প্রধানের দায়িত্বে থাকেন এবং মিশনের রাজনৈতিক বিষয় দেখাশুনা করেন। রাজনৈতিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা ‘আয়ন ও ব্যয়ন অফিসার’ হিসেবে মিশনের আর্থিক ও হিসাবসংক্রান্ত বিষয় দেখাশুনা করেন। তবে মিশনের সার্বিক আর্থিক ক্ষমতা মিশনপ্রধানের হাতেই ন্যস্ত থাকে।

বড় বড় মিশনগুলোতে বিভিন্ন বিভাগের অফিসারদের কূটনৈতিক পদমর্যাদা তাদের দেশে থাকাকালীন জ্যেষ্ঠতা অনুসারে নির্ধারিত হয়ে থাকে। মিশনের প্রতিরক্ষা অ্যাটাচি সাধারণত সেনাবাহিনীর একজন বিগ্রেডিয়ার অথবা নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীর সম পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। তিনি মিনিস্টারের কূটনৈতিক মর্যাদা ভোগ করেন। অন্যদিকে যুগ্মসচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধানকেও মিনিস্টারের কূটনৈতিক মর্যাদা প্রদান করা হয়। অনুরূপভাবে তথ্য, শ্রম, কনস্যুলার ও শিক্ষা বিভাগ ইত্যাদির কর্মকর্তাগণ তাদের স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কূটনৈতিক মর্যাদা পেয়ে থাকেন। তাদের নিয়োগপত্রেও এসব কূটনৈতিক মর্যাদার উল্লেখ থাকে।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কিছু অকূটনৈতিক টেকনিক্যাল কর্মচারীও থাকেন। এদের স্বাগতিক দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। একইভাবে কূটনৈতিক অফিসারদের দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তার জন্য মিশনের বিভিন্ন বিভাগের অন্যান্য অকূটনৈতিক পদেও দেশীয় বা স্থানীয় লোক নিয়োগ পেয়ে থাকে।

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রথানুসারে কূটনৈতিক মিশনের অফিসকে চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূতের বাসস্থানকে দূতাবাস বলা হয়।  [এ.কে.এম ফারুক]