পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২'''  বিষ বা বিষাক্ত পদার্থ আমদানি, জমা রাখা ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের আইন। ভারত সরকার সর্বপ্রথম ১৯১৯ সালে বিষ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯১৯ জারি করে। পরবর্তীকালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর প্রয়োজনে আইনটি সংশোধিত হয়ে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২ হিসেবে গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইনটি সংশোধন করে।
'''পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২''' বিষ বা বিষাক্ত পদার্থ আমদানি, জমা রাখা ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের আইন। ভারত সরকার সর্বপ্রথম ১৯১৯ সালে বিষ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯১৯ জারি করে। পরবর্তীকালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর প্রয়োজনে আইনটি সংশোধিত হয়ে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২ হিসেবে গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইনটি সংশোধন করে।


আইনের দৃষ্টিতে ‘বিষ’ বলতে এমন দ্রব্য বোঝায় যা অপেক্ষাকৃত অল্পমাত্রায় গ্রহণ করলেও মৃত্যুর বা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আইনে বর্ণিত বিষকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
আইনের দৃষ্টিতে ‘বিষ’ বলতে এমন দ্রব্য বোঝায় যা অপেক্ষাকৃত অল্পমাত্রায় গ্রহণ করলেও মৃত্যুর বা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আইনে বর্ণিত বিষকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
যে কোন বিষের ক্ষেত্রে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই বিষ এবং সংশ্লিষ্ট মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হবে। কোন ব্যক্তি বা পশুপাখির চিকিৎসায় চিকিৎসক কর্তৃক সরল বিশ্বাসে ব্যবহূত বিষের ক্ষেত্রে এ আইনের বিধিবিধান প্রযোজ্য নয়।  [আবদুল গণি]
যে কোন বিষের ক্ষেত্রে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই বিষ এবং সংশ্লিষ্ট মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হবে। কোন ব্যক্তি বা পশুপাখির চিকিৎসায় চিকিৎসক কর্তৃক সরল বিশ্বাসে ব্যবহূত বিষের ক্ষেত্রে এ আইনের বিধিবিধান প্রযোজ্য নয়।  [আবদুল গণি]


''আরও দেখুন'' ঔষধ; কীটনাশক; বিষাক্ত উদ্ভিদ।
''আরও দেখুন'' [[ঔষধ|ঔষধ]]; [[কীটনাশক|কীটনাশক]]; [[বিষাক্ত উদ্ভিদ|বিষাক্ত উদ্ভিদ]]।


[[en:Poisons Act, 1952]]
[[en:Poisons Act, 1952]]


[[en:Poisons Act, 1952]]
[[en:Poisons Act, 1952]]

১০:১১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২ বিষ বা বিষাক্ত পদার্থ আমদানি, জমা রাখা ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের আইন। ভারত সরকার সর্বপ্রথম ১৯১৯ সালে বিষ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯১৯ জারি করে। পরবর্তীকালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর প্রয়োজনে আইনটি সংশোধিত হয়ে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক পয়জন্স অ্যাক্ট, ১৯৫২ হিসেবে গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আইনটি সংশোধন করে।

আইনের দৃষ্টিতে ‘বিষ’ বলতে এমন দ্রব্য বোঝায় যা অপেক্ষাকৃত অল্পমাত্রায় গ্রহণ করলেও মৃত্যুর বা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আইনে বর্ণিত বিষকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।

গ্রুপ ১ মানুষের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত বিষাক্ত দ্রব্য এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। কেবল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসকরাই এ ধরনের বিষ ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থাপত্র দিতে এবং লাইসেন্সধারী বিক্রেতারা বিক্রয় করতে পারেন।

গ্রুপ ২ এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত বিষাক্ত দ্রব্যগুলি মানুষের বিভিন্ন রোগের ঔষধ এবং জীবাণু প্রতিরোধক ও বালাইনাশক (যেমন কীটনাশক, ইঁদুরজাতীয় প্রাণিনাশক, ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক) হিসেবে ব্যবহূত হয়। এগুলি লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন বিক্রেতা উভয়ে বিক্রি করেন।

বিষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিষ আইনের আওতাভুক্ত বিধিসমূহকে ১৭টি তফসিলে ভাগ করা হয়েছে। এ আইনের বিধিবিধান ছাড়াও ঔষধ আইন, ১৯৪০ অনুযায়ী বিষ বিতরণ ও বিক্রির সংস্থান রাখা হয়েছে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত লাইসেন্সের অধীনেই কেবল বাংলাদেশে বিষ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়। লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের একটি নির্দিষ্ট শুল্কপথে বিষ আমদানি করতে হয়।

সরকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিষ আয়ত্তে রাখা ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করে। আইনের অধীনে বিধিসমূহে নির্দিষ্ট শ্রেণীর বিষ জমা রাখার ও বিক্রির লাইসেন্স অনুমোদনের সংস্থান রয়েছে। বিধিসমূহে বিষ আয়ত্তে রাখা ও বিক্রির জন্য কোন শ্রেণীর ব্যক্তিকে লাইসেন্স প্রদান করা যাবে, কোন ধরনের ব্যক্তির নিকট বিষ বিক্রয় করা যাবে এবং একজন ব্যক্তির নিকট কোন বিষের সর্বোচ্চ কতটুকু বিক্রয় করা যাবে প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ রয়েছে। বিধি অনুযায়ী বিক্রির জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিষ বিক্রির হিসাব ও ক্রেতার নাম নিবন্ধন বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। বিষের নিরাপদ তত্ত্বাবধান এবং গুদামজাতকরণ বা বিক্রির জন্য ব্যবহূত ছোট বড় আধার, ঢাকনা ইত্যাদিতে লেবেল লাগানোর বিধি রয়েছে।

আইনের যে কোন শর্ত লঙ্ঘনকারী প্রথমবার দোষী প্রমাণিত হলে তার তিন মাস পর্যন্ত কারাবাস বা ৫০০ টাকা জরিমানা বা একসঙ্গে উভয় সাজা ভোগ করতে হবে। এরপর কখনও দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যেকবার ছয় মাস পর্যন্ত কারাবাস বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় সাজাই ভোগ করতে হবে।

যে কোন বিষের ক্ষেত্রে অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই বিষ এবং সংশ্লিষ্ট মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হবে। কোন ব্যক্তি বা পশুপাখির চিকিৎসায় চিকিৎসক কর্তৃক সরল বিশ্বাসে ব্যবহূত বিষের ক্ষেত্রে এ আইনের বিধিবিধান প্রযোজ্য নয়।  [আবদুল গণি]

আরও দেখুন ঔষধ; কীটনাশক; বিষাক্ত উদ্ভিদ