দারিয়া মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''দারিয়া মসজিদ''' দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটির অবস্থান নবাবগঞ্জ থেকে ১৫ কিমি পূর্বদিকে। এ গ্রামের মৃতপ্রায় করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মসজিদটি অবস্থিত।
'''দারিয়া মসজিদ''' দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটির অবস্থান নবাবগঞ্জ থেকে ১৫ কিমি পূর্বদিকে। এ গ্রামের মৃতপ্রায় করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মসজিদটি অবস্থিত।


[[Image:DariaMosque.jpg|thumb|400px|right|দারিয়া মসজিদ]]
মসজিদটির সময় নির্দেশক কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] পাওয়া যায়নি। তবে [[নয়াবাদ মসজিদ|নয়াবাদ মসজিদ]]এর গঠনরীতির সঙ্গে এ মসজিদের মিল রয়েছে। তাই গঠনরীতি অনুযায়ী মসজিদটি মুগল আমলের শেষ দিকে নির্মিত মসজিদ বলা যায়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এখানকার একজন ব্যবসায়ী মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের পাশেই নির্মাতার কবর রয়েছে।  
মসজিদটির সময় নির্দেশক কোনো [[শিলালিপি|শিলালিপি]] পাওয়া যায়নি। তবে [[নয়াবাদ মসজিদ|নয়াবাদ মসজিদ]]এর গঠনরীতির সঙ্গে এ মসজিদের মিল রয়েছে। তাই গঠনরীতি অনুযায়ী মসজিদটি মুগল আমলের শেষ দিকে নির্মিত মসজিদ বলা যায়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এখানকার একজন ব্যবসায়ী মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের পাশেই নির্মাতার কবর রয়েছে।  


সংস্কারের অভাবে মসজিদটি জরাজীর্ণ। মসজিদের গম্বুজগুলি আগাছায় পরিপূর্ণ। তিনটি গম্বুজ ধ্বংসপ্রায়। বেশিরভাগ পোড়ামাটির ফলক ধ্বংসপ্রাপ্ত। মসজিদের ভিত্তি মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। #[[Image:দারিয়া মসজিদ_html_88407781.png]]
সংস্কারের অভাবে মসজিদটি জরাজীর্ণ। মসজিদের গম্বুজগুলি আগাছায় পরিপূর্ণ। তিনটি গম্বুজ ধ্বংসপ্রায়। বেশিরভাগ পোড়ামাটির ফলক ধ্বংসপ্রাপ্ত। মসজিদের ভিত্তি মাটির নিচে তলিয়ে গেছে।
 
[[Image:DariaMosque.jpg]]
 
#দারিয়া মসজিদ


মসজিদটির বাইরের আয়তন ৯.৭৫ মি. ও ৩.৪১ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্বদিকে তিনটি দরজা রয়েছে। মাঝের খিলানযুক্ত প্রবেশপথটির উচ্চতা ১.৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ১.৭১ মিটার। পাশের দুটি সমমাপের ও অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের ভেতরে রয়েছে তিনটি মিহরাব। প্রধান মিহরাবটি পাশের মিহরাব দুটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের চারকোণে চারটি কর্নার টাওয়ার রয়েছে। পূর্বদিকের দেয়াল প্যানেল দিয়ে সুন্দরভাবে অলংকৃত। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এসব প্যানেলে ফুল, লতাপাতা, ঘোড়া, জোড়া ময়ূর, হাতির নকশার পোড়ামাটির ফলক সংস্থাপিত রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের গায়ে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী সংযোজন। সাধারণত মসজিদের গায়ে কোনো জীবজন্তুর নকশা থাকে না। স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এ মসজিদে নামায পড়া হতো। কিন্তু গ্রামের নতুন মসজিদের ইমাম এ মসজিদে নামায পড়া জায়েজ না বলে [[ফতোয়া|ফতোয়া]] দেওয়ার পর নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে।  [সানিয়া সিতারা]
মসজিদটির বাইরের আয়তন ৯.৭৫ মি. ও ৩.৪১ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্বদিকে তিনটি দরজা রয়েছে। মাঝের খিলানযুক্ত প্রবেশপথটির উচ্চতা ১.৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ১.৭১ মিটার। পাশের দুটি সমমাপের ও অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের ভেতরে রয়েছে তিনটি মিহরাব। প্রধান মিহরাবটি পাশের মিহরাব দুটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের চারকোণে চারটি কর্নার টাওয়ার রয়েছে। পূর্বদিকের দেয়াল প্যানেল দিয়ে সুন্দরভাবে অলংকৃত। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এসব প্যানেলে ফুল, লতাপাতা, ঘোড়া, জোড়া ময়ূর, হাতির নকশার পোড়ামাটির ফলক সংস্থাপিত রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের গায়ে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী সংযোজন। সাধারণত মসজিদের গায়ে কোনো জীবজন্তুর নকশা থাকে না। স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এ মসজিদে নামায পড়া হতো। কিন্তু গ্রামের নতুন মসজিদের ইমাম এ মসজিদে নামায পড়া জায়েজ না বলে [[ফতোয়া|ফতোয়া]] দেওয়ার পর নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে।  [সানিয়া সিতারা]
<!-- imported from file: দারিয়া মসজিদ.html-->


[[en:Dariya Mosque]]
[[en:Dariya Mosque]]


[[en:Dariya Mosque]]
[[en:Dariya Mosque]]

১০:৩৬, ১১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

দারিয়া মসজিদ দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটির অবস্থান নবাবগঞ্জ থেকে ১৫ কিমি পূর্বদিকে। এ গ্রামের মৃতপ্রায় করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মসজিদটি অবস্থিত।

দারিয়া মসজিদ

মসজিদটির সময় নির্দেশক কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে নয়াবাদ মসজিদএর গঠনরীতির সঙ্গে এ মসজিদের মিল রয়েছে। তাই গঠনরীতি অনুযায়ী মসজিদটি মুগল আমলের শেষ দিকে নির্মিত মসজিদ বলা যায়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এখানকার একজন ব্যবসায়ী মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের পাশেই নির্মাতার কবর রয়েছে।

সংস্কারের অভাবে মসজিদটি জরাজীর্ণ। মসজিদের গম্বুজগুলি আগাছায় পরিপূর্ণ। তিনটি গম্বুজ ধ্বংসপ্রায়। বেশিরভাগ পোড়ামাটির ফলক ধ্বংসপ্রাপ্ত। মসজিদের ভিত্তি মাটির নিচে তলিয়ে গেছে।

মসজিদটির বাইরের আয়তন ৯.৭৫ মি. ও ৩.৪১ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্বদিকে তিনটি দরজা রয়েছে। মাঝের খিলানযুক্ত প্রবেশপথটির উচ্চতা ১.৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ১.৭১ মিটার। পাশের দুটি সমমাপের ও অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের ভেতরে রয়েছে তিনটি মিহরাব। প্রধান মিহরাবটি পাশের মিহরাব দুটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের চারকোণে চারটি কর্নার টাওয়ার রয়েছে। পূর্বদিকের দেয়াল প্যানেল দিয়ে সুন্দরভাবে অলংকৃত। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এসব প্যানেলে ফুল, লতাপাতা, ঘোড়া, জোড়া ময়ূর, হাতির নকশার পোড়ামাটির ফলক সংস্থাপিত রয়েছে। মসজিদের দেয়ালের গায়ে প্রাণীর চিত্র অঙ্কন এক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী সংযোজন। সাধারণত মসজিদের গায়ে কোনো জীবজন্তুর নকশা থাকে না। স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এ মসজিদে নামায পড়া হতো। কিন্তু গ্রামের নতুন মসজিদের ইমাম এ মসজিদে নামায পড়া জায়েজ না বলে ফতোয়া দেওয়ার পর নামাজ পড়া বন্ধ রয়েছে।  [সানিয়া সিতারা]