হোসেন, কাজী আকরম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
এ সময় প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে আকরম হোসেন দেশরক্ষী শিক্ষার্থী দলে যোগ দেন এবং [[বসু, সুভাষচন্দ্র|সুভাষচন্দ্র বসু]] প্রমুখের নৈকট্য লাভ করেন। কিছুদিন পর পুনরায় তিনি শিক্ষাজীবনে ফিরে আসেন এবং ইংরেজিতে এমএ (১৯২২) পাস করেন। পরে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ, করটিয়া [[সাদত কলেজ|সাদত কলেজ]] (১৯২৩-৩০), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯৩০-১৯৪০), [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজ]] (১৯৪১-৫৩), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ১৯৬১ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। | এ সময় প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে আকরম হোসেন দেশরক্ষী শিক্ষার্থী দলে যোগ দেন এবং [[বসু, সুভাষচন্দ্র|সুভাষচন্দ্র বসু]] প্রমুখের নৈকট্য লাভ করেন। কিছুদিন পর পুনরায় তিনি শিক্ষাজীবনে ফিরে আসেন এবং ইংরেজিতে এমএ (১৯২২) পাস করেন। পরে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ, করটিয়া [[সাদত কলেজ|সাদত কলেজ]] (১৯২৩-৩০), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯৩০-১৯৪০), [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী কলেজ]] (১৯৪১-৫৩), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ১৯৬১ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। | ||
প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে আকরম হোসেন শেখ হবিবর রহমানের সংস্পর্শে এসে সিদ্দিকীয়া সাহিত্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর প্রথম রচনা ইসলামের ইতিহাস (১৯২৪) ও প্রথম কাব্যগ্রন্থ নওরোজ (১৯৩৮)। এ ছাড়া অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হলো: পল্লীবাণী (১৯৪৩), পথের বাঁশী (১৯৪৫) ও আমরা বাঙ্গালি (১৯৪৫)। তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থ: যুগবাণী (১৯৪৩), মসনবী রুমী (১৯৪৮), করীমা-ই-সাদী (১৯৪৮) এবং দীউয়ান-ই-হাফিজ (১৯৬১)। আকরম হোসেনের রচনায় দেশাত্মবোধ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। | প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে আকরম হোসেন শেখ হবিবর রহমানের সংস্পর্শে এসে সিদ্দিকীয়া সাহিত্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর প্রথম রচনা ইসলামের ইতিহাস (১৯২৪) ও প্রথম কাব্যগ্রন্থ নওরোজ (১৯৩৮)। এ ছাড়া অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হলো: পল্লীবাণী (১৯৪৩), পথের বাঁশী (১৯৪৫) ও আমরা বাঙ্গালি (১৯৪৫)। তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থ: যুগবাণী (১৯৪৩), মসনবী রুমী (১৯৪৮), করীমা-ই-সাদী (১৯৪৮) এবং দীউয়ান-ই-হাফিজ (১৯৬১)। আকরম হোসেনের রচনায় দেশাত্মবোধ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। [বদিউজ্জামান] | ||
[বদিউজ্জামান] | |||
[[en:Hossain, Kazi Akram]] | [[en:Hossain, Kazi Akram]] |
১২:৩৪, ২৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
হোসেন, কাজী আকরম (১৮৯৬-১৯৬৩) শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক। ১৮৯৬ সালে খুলনা জেলার পয়গ্রামে তাঁর জন্ম। পয়গ্রাম হাই স্কুল থেকে ১৯১৫ সালে এন্ট্রান্স পাস করে তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় ফারসি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করে তিনি ইংরেজিতে এমএ শ্রেণীতে ভর্তি হন। কিন্তু ওই সময় খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তাতে যোগ দিয়ে তিনি লেখাপড়া ছাড়েন এবং ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি দৈনিক সেবক-এর সহসম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
এ সময় প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হলে আকরম হোসেন দেশরক্ষী শিক্ষার্থী দলে যোগ দেন এবং সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখের নৈকট্য লাভ করেন। কিছুদিন পর পুনরায় তিনি শিক্ষাজীবনে ফিরে আসেন এবং ইংরেজিতে এমএ (১৯২২) পাস করেন। পরে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দিয়ে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ, করটিয়া সাদত কলেজ (১৯২৩-৩০), কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯৩০-১৯৪০), রাজশাহী কলেজ (১৯৪১-৫৩), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হন এবং ১৯৬১ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়নকালে আকরম হোসেন শেখ হবিবর রহমানের সংস্পর্শে এসে সিদ্দিকীয়া সাহিত্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর প্রথম রচনা ইসলামের ইতিহাস (১৯২৪) ও প্রথম কাব্যগ্রন্থ নওরোজ (১৯৩৮)। এ ছাড়া অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হলো: পল্লীবাণী (১৯৪৩), পথের বাঁশী (১৯৪৫) ও আমরা বাঙ্গালি (১৯৪৫)। তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুবাদগ্রন্থ: যুগবাণী (১৯৪৩), মসনবী রুমী (১৯৪৮), করীমা-ই-সাদী (১৯৪৮) এবং দীউয়ান-ই-হাফিজ (১৯৬১)। আকরম হোসেনের রচনায় দেশাত্মবোধ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। [বদিউজ্জামান]