চন্দনা নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
অতীতে চন্দনার সঙ্গে গড়াই এবং [[কুমার নদী|কুমার]] নদীর সংযোগ ছিল। গড়াই এবং কুমার উভয়ই পদ্মার শাখানদী। বস্ত্তত গড়াই-এর প্রবাহ চন্দনা বয়ে নিয়ে তার কিয়দংশ কুমার নদীকে প্রদান করতো। কিন্তু নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ [[বাঁধ|বাঁধ]] নির্মাণ, ভূমি বন্ধুরতার পরিবর্তন ইত্যাদির ফলে গড়াই এবং কুমারের সঙ্গে চন্দনার সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্ষার প্রবাহে চন্দনার দুকূল ছাপিয়ে যায়, কিন্তু শুকনা মৌসুমে উৎস মুখ থাকে শুকনা। স্রোতহীন চন্দনাকে তখন মনে হয় মৃতপ্রায়। ফরিদপুরের চিনি কলে আখ পরিবহণের জন্য শুকনা মৌসুমে নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয় এবং তখন এটি এক খন্ড জলাভূমিতে পরিণত হয়। | অতীতে চন্দনার সঙ্গে গড়াই এবং [[কুমার নদী|কুমার]] নদীর সংযোগ ছিল। গড়াই এবং কুমার উভয়ই পদ্মার শাখানদী। বস্ত্তত গড়াই-এর প্রবাহ চন্দনা বয়ে নিয়ে তার কিয়দংশ কুমার নদীকে প্রদান করতো। কিন্তু নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ [[বাঁধ|বাঁধ]] নির্মাণ, ভূমি বন্ধুরতার পরিবর্তন ইত্যাদির ফলে গড়াই এবং কুমারের সঙ্গে চন্দনার সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্ষার প্রবাহে চন্দনার দুকূল ছাপিয়ে যায়, কিন্তু শুকনা মৌসুমে উৎস মুখ থাকে শুকনা। স্রোতহীন চন্দনাকে তখন মনে হয় মৃতপ্রায়। ফরিদপুরের চিনি কলে আখ পরিবহণের জন্য শুকনা মৌসুমে নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয় এবং তখন এটি এক খন্ড জলাভূমিতে পরিণত হয়। | ||
সার্বিকভাবে নদীটি অনাব্য এবং ভাঙন বা বন্যা প্রবণতা কম। [[বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড|বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড]] বিভিন্ন সময়ে এর সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করেছে। বোর্ড কতৃক গৃহীত ফরিদপুর-বরিশাল প্রজেক্ট-এর ফরিদপুর ইউনিটে চন্দনা-বারাশিয়াকে একটি নিষ্কাশন [[খাল|খাল]] হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে পদ্মা, পূর্বে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেল লাইন এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে গড়াই-মধুমতি নদী দিয়ে এ নিষ্কাশন এলাকা বেষ্টিত। | সার্বিকভাবে নদীটি অনাব্য এবং ভাঙন বা বন্যা প্রবণতা কম। [[বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড|বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড]] বিভিন্ন সময়ে এর সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করেছে। বোর্ড কতৃক গৃহীত ফরিদপুর-বরিশাল প্রজেক্ট-এর ফরিদপুর ইউনিটে চন্দনা-বারাশিয়াকে একটি নিষ্কাশন [[খাল|খাল]] হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে পদ্মা, পূর্বে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেল লাইন এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে গড়াই-মধুমতি নদী দিয়ে এ নিষ্কাশন এলাকা বেষ্টিত। [মাসুদ হাসান চৌধুরী] | ||
[মাসুদ হাসান চৌধুরী] | |||
[[en:Chandana River]] | [[en:Chandana River]] |
০৯:৫০, ১২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
চন্দনা নদী (Chandana River) পাংশা উপজেলার (রাজবাড়ী জেলা) ডাহুকা গ্রামে উদ্ভূত পদ্মার একটি শাখানদী। উৎপত্তিস্থান থেকে পাংশা উপজেলার ভেতর দিয়ে কালুখালী পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিমি প্রবাহ এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়েছে। তারপর প্রায় সোজাসুজি দক্ষিণ দিকে ২০ কিমি প্রবাহিত হয়ে কামারখালী ও মধুখালীর মধ্যবর্তী আড়কান্দি গ্রামে বারাশিয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এখানে এ নদীর নাম হয় চন্দনা-বারাশিয়া বা চন্দনা-আড়কান্দি। চন্দনা ও বারাশিয়ার এ মিলিত স্রোত আরও দক্ষিণে বোয়ালমারী ও কাশিয়ানী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে গড়াই-মধুমতি নদীতে মিশেছে। নদীর এ অংশটুকুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ কিমি।
অতীতে চন্দনার সঙ্গে গড়াই এবং কুমার নদীর সংযোগ ছিল। গড়াই এবং কুমার উভয়ই পদ্মার শাখানদী। বস্ত্তত গড়াই-এর প্রবাহ চন্দনা বয়ে নিয়ে তার কিয়দংশ কুমার নদীকে প্রদান করতো। কিন্তু নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, ভূমি বন্ধুরতার পরিবর্তন ইত্যাদির ফলে গড়াই এবং কুমারের সঙ্গে চন্দনার সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বর্ষার প্রবাহে চন্দনার দুকূল ছাপিয়ে যায়, কিন্তু শুকনা মৌসুমে উৎস মুখ থাকে শুকনা। স্রোতহীন চন্দনাকে তখন মনে হয় মৃতপ্রায়। ফরিদপুরের চিনি কলে আখ পরিবহণের জন্য শুকনা মৌসুমে নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ দেওয়া হয় এবং তখন এটি এক খন্ড জলাভূমিতে পরিণত হয়।
সার্বিকভাবে নদীটি অনাব্য এবং ভাঙন বা বন্যা প্রবণতা কম। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন সময়ে এর সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করেছে। বোর্ড কতৃক গৃহীত ফরিদপুর-বরিশাল প্রজেক্ট-এর ফরিদপুর ইউনিটে চন্দনা-বারাশিয়াকে একটি নিষ্কাশন খাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরে পদ্মা, পূর্বে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেল লাইন এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমে গড়াই-মধুমতি নদী দিয়ে এ নিষ্কাশন এলাকা বেষ্টিত। [মাসুদ হাসান চৌধুরী]