শাহ সুলতান রুমী (রঃ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''শাহ সুলতান রুমী .রঃ'''''')'''  একজন সুফি দরবেশ। তাঁর দরগাহ নেত্রকোণা জেলার মদনপুরে অবস্থিত। প্রায় একশ বছর আগে সংগৃহীত এই অঞ্চলের একটি লোককাহিনী থেকে বাংলায় তাঁর জীবন ও কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যায়। কাহিনী অনুসারে রুমী যখন এখানে এসে স্থিত হন তখন নেত্রকোণা এলাকা জনৈক কোচ রাজার শাসনাধীন ছিল। দরবেশ ও তাঁর অনুসারিগণ ছাড়া সে সময়ে ওই অঞ্চলে আর কোন মুসলমান ছিল না। কিন্তু দরবেশের বসতি স্থাপনের পর পরই তাঁর ধার্মিকতা বিপুল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে। বলা হয় যে, কোন লোক তাঁর সাহচর্যে আসলেই তাঁর অলৌকিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে একান্ত ভক্ত-অনুসারী হয়ে পড়ত। রাজার নিকট যখন এ খবর পৌঁছায় তখন তিনি দরবেশকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর কাজকর্ম ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। দরবেশ জানালেন আল্লাহ তাঁকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বলীয়ান করেছেন। রাজার আদেশে দরবেশকে বিষ পরিবেশন করা হয়। তিনি বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নামে) বলে তা পান করেন। রাজা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে, দরবেশের কিছুই হয় নি, বরং তিনি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত রয়েছেন। এতে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত সকল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং রাজা মদনপুর গ্রাম দরবেশকে নিষ্কর দান করেন।
'''শাহ সুলতান রুমী (রঃ)'''  একজন সুফি দরবেশ। তাঁর দরগাহ নেত্রকোণা জেলার মদনপুরে অবস্থিত। প্রায় একশ বছর আগে সংগৃহীত এই অঞ্চলের একটি লোককাহিনী থেকে বাংলায় তাঁর জীবন ও কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যায়। কাহিনী অনুসারে রুমী যখন এখানে এসে স্থিত হন তখন নেত্রকোণা এলাকা জনৈক কোচ রাজার শাসনাধীন ছিল। দরবেশ ও তাঁর অনুসারিগণ ছাড়া সে সময়ে ওই অঞ্চলে আর কোন মুসলমান ছিল না। কিন্তু দরবেশের বসতি স্থাপনের পর পরই তাঁর ধার্মিকতা বিপুল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে। বলা হয় যে, কোন লোক তাঁর সাহচর্যে আসলেই তাঁর অলৌকিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে একান্ত ভক্ত-অনুসারী হয়ে পড়ত। রাজার নিকট যখন এ খবর পৌঁছায় তখন তিনি দরবেশকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর কাজকর্ম ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। দরবেশ জানালেন আল্লাহ তাঁকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বলীয়ান করেছেন। রাজার আদেশে দরবেশকে বিষ পরিবেশন করা হয়। তিনি বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নামে) বলে তা পান করেন। রাজা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে, দরবেশের কিছুই হয় নি, বরং তিনি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত রয়েছেন। এতে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত সকল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং রাজা মদনপুর গ্রাম দরবেশকে নিষ্কর দান করেন।


মদনপুর দরগাহর সঙ্গে রাজস্বমুক্ত বিস্তীর্ণ এস্টেট সংযুক্ত। ১৮২৯ সালে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] যখন দরগাহর সম্পত্তি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে তখন এর পরিচালকবৃন্দ ফারসি ভাষায় লেখা ১০৮২ হিজরির (১৬৭১ খ্রিস্টাব্দ) এক পুরানো দলিল প্রদর্শন করে এবং মদনপুর এস্টেট ভোগ-দখলের অধিকার স্বত্বাধিকারীদের প্রত্যর্পণ করা হয়।
মদনপুর দরগাহর সঙ্গে রাজস্বমুক্ত বিস্তীর্ণ এস্টেট সংযুক্ত। ১৮২৯ সালে [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]] যখন দরগাহর সম্পত্তি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে তখন এর পরিচালকবৃন্দ ফারসি ভাষায় লেখা ১০৮২ হিজরির (১৬৭১ খ্রিস্টাব্দ) এক পুরানো দলিল প্রদর্শন করে এবং মদনপুর এস্টেট ভোগ-দখলের অধিকার স্বত্বাধিকারীদের প্রত্যর্পণ করা হয়।

০৫:৫৮, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শাহ সুলতান রুমী (রঃ)  একজন সুফি দরবেশ। তাঁর দরগাহ নেত্রকোণা জেলার মদনপুরে অবস্থিত। প্রায় একশ বছর আগে সংগৃহীত এই অঞ্চলের একটি লোককাহিনী থেকে বাংলায় তাঁর জীবন ও কার্যক্রম সম্বন্ধে জানা যায়। কাহিনী অনুসারে রুমী যখন এখানে এসে স্থিত হন তখন নেত্রকোণা এলাকা জনৈক কোচ রাজার শাসনাধীন ছিল। দরবেশ ও তাঁর অনুসারিগণ ছাড়া সে সময়ে ওই অঞ্চলে আর কোন মুসলমান ছিল না। কিন্তু দরবেশের বসতি স্থাপনের পর পরই তাঁর ধার্মিকতা বিপুল সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করে। বলা হয় যে, কোন লোক তাঁর সাহচর্যে আসলেই তাঁর অলৌকিকতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে একান্ত ভক্ত-অনুসারী হয়ে পড়ত। রাজার নিকট যখন এ খবর পৌঁছায় তখন তিনি দরবেশকে ডেকে পাঠান এবং তাঁর কাজকর্ম ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। দরবেশ জানালেন আল্লাহ তাঁকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বলীয়ান করেছেন। রাজার আদেশে দরবেশকে বিষ পরিবেশন করা হয়। তিনি বিসমিল্লাহ (আল্লাহর নামে) বলে তা পান করেন। রাজা অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যে, দরবেশের কিছুই হয় নি, বরং তিনি নিরাপদ ও বিপদমুক্ত রয়েছেন। এতে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত সকল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং রাজা মদনপুর গ্রাম দরবেশকে নিষ্কর দান করেন।

মদনপুর দরগাহর সঙ্গে রাজস্বমুক্ত বিস্তীর্ণ এস্টেট সংযুক্ত। ১৮২৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন দরগাহর সম্পত্তি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে তখন এর পরিচালকবৃন্দ ফারসি ভাষায় লেখা ১০৮২ হিজরির (১৬৭১ খ্রিস্টাব্দ) এক পুরানো দলিল প্রদর্শন করে এবং মদনপুর এস্টেট ভোগ-দখলের অধিকার স্বত্বাধিকারীদের প্রত্যর্পণ করা হয়।

মনে হয়, শাহ সুলতান রুমী প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলায় আগমনকারী আওলিয়া-দরবেশদের অন্যতম। কোন কোন পন্ডিত মনে করেন যে, তিনি বাংলায় মুসলিম বিজয়ের পূর্বেই মদনপুর আসেন, অবশ্য অনুরূপ ধারণা সত্য নাও হতে পারে।  [আবদুল করিম]